- চুলকাইতে চুলকাইতে রক্তপাত অথচ কোন উদ্ভেদ নাই, স্নানে উপশম ও ঘর্মহীন দেহ এলুমিনা ৩০, ২০০।
- কাপড় খুলিলে চুলকানি, শরীরে স্থানে স্থানে চুলকায়, খোস-পাঁচড়া বা ফোস্কার মত উদ্ভেদ বাহির হয়, ঠাণ্ডায় চুলকানি বাড়ে রিউমেক্স ২০০। রিউমেক্স সাধারণত ঠাণ্ডা বাতাসে বা কাপড় সরালেই চুলকানিতে বেশি কার্যকর, তবে যদি এটি শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশে বেশি হয় (যেমন হাত-পা, ঘাড়), তাহলে আরও নির্দিষ্ট করা যেতে পারে।
- চর্মে কোন উদ্ভেদ নাই অথচ ভয়ানক চুলকানি ডলিকস ৬, ৩০। ডলিকস সাধারণত লিভারের সমস্যা থেকে আসা চুলকানিতে বেশি কার্যকর, যদি চুলকানি প্রধানত রাত্রে বাড়ে বা খাবারের পর বাড়ে, তাহলে এটি আরও নিশ্চিতভাবে প্রযোজ্য হবে।
- পায়ের তলায় ও গোড়ালিতে ভীষণ চুলকানি, চুলকাইলেই বাড়ে লিডাম ৬, ৩০।
- কোনও চর্মপীড়ায় অসহ্য চুলকানিতে মেজেরিয়াম ২০০ হইতে উচ্চশক্তি।
- পায়ের তালুতে চুলকানি ক্যাল্কে সালফ ১২০, ২০০, কস্টিকাম ২০০।
- হাতের তালুতে চুলকানি সেলিনিয়াম ৩০, ২০০।
- উদ্ভেদে অত্যন্ত চুলকায়, চুলকাইতে চুলকাইতে রক্ত বাহির হয় ও জ্বালা করে, সেজন্য সারারাত অনিদ্রা কফিয়া ৬, ৩০।
- শরীরের নানাস্থানে উদ্ভেদশূন্য চুলকানি এজাডিরেকটা ০-১০।
- শুষ্ক চুলকানি, শয্যাতাপে বাড়ে, কিন্তু চুলকানিতে জ্বালা না থাকিলে সোরিনাম ২০০, জ্বালা থাকিলে সালফার ৩০।
- চর্মে পোকা হাঁটা অনুভূতি মেজেরিয়াম, ক্যালেডিয়াম, রাস টক্স, সিপিয়া।
- মনে হয় কোন ছোট বস্তু বা পোকা চামড়ার নিচে রহিয়াছে কোকেন Q, 1x।
- সমস্ত শরীরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শুষ্ক ফুস্কুড়ি, গাত্রবস্ত্র খুলিলে ভয়ানক চুলকানি, অজীর্ণতা লক্ষণে কার্বোভেজ ৬, ৩০
- স্ত্রীলোকদের যোনিদেশে অসহ্য চুলকানিতে ক্যালেডিয়াম ২x, ৬, ৩০।
- জামা কাপড় খুলিলে, শয্যার গরমে ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় চুলকানি বৃদ্ধি, একস্থানে চুলকাইলে সর্বাঙ্গে চুলকায় মেজেরিয়াম ৩০। মেজেরিয়াম উচ্চশক্তি ভালো, তবে যদি খোস-পাঁচড়া জাতীয় চুলকানি থাকে, এবং ক্ষতস্থানে লিপিড জাতীয় আঠালো পদার্থ নিঃসৃত হয়, তাহলে এটি আরও নিশ্চিতভাবে কাজ করবে।
- ভ্রমণান্তে পরিধেয় বস্ত্র খুলিলে চুলকানি আরম্ভ রিউমেক্স, রাস টক্স, নেট্রাম সালফ, টিউবারকুলিনাম উচ্চশক্তি।
- সর্বাঙ্গে চুলকানি ও জ্বালা, জননেন্দ্রিয় অংশে অসহ্য চুলকানিতে রেডিয়াম ব্রোম ৩০।
- চুলকানির প্রাবল্যে রোগী পাগলের মত হইলে ফ্যাগোপাইরাম ৩০। ফ্যাগোপাইরাম মূলত চুলকানির প্রবলতা বাড়ার সাথে পাগলপ্রায় অবস্থা হলে কাজ করে, তবে যদি আঁচড়ানোর পর আরাম পাওয়া যায়, তাহলে এটি বেশি উপযোগী।
- চুলকানির পর আক্রান্ত স্থান ঝিনঝিন করিলে সেলিনিয়াম ২০০।
- হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে চুলকানিতে সিপিয়া, সেলিনিয়াম, সোরিনাম ২০০।
- ভীষণ চুলকানি, আঁচড়াইলে চুলকানি স্থান পরিবর্তন করে স্ট্যাফিসে, মেজেরি ৩০।
- হাতের তালু চুলকাইলে গ্রানেটাম, ল্যাকেসিস, এনাকার্ডি, এসিড নাইট, প্লাটিনাম ২০০।
🔹 সাধারণ চুলকানি (কোনও দাগ বা উদ্ভেদ নেই)
-
স্নানে উপশম, ঘর্মহীন দেহ → এলুমিনা ৩০, ২০০
-
কোনো দৃশ্যমান দাগ বা উদ্ভেদ নেই, কিন্তু ভয়ানক চুলকানি → ডলিকস ৬, ৩০
-
শয্যাতাপে চুলকানি বাড়ে, কিন্তু জ্বালা নেই → সোরিনাম ২০০
-
শয্যাতাপে চুলকানি বাড়ে, জ্বালা আছে → সালফার ৩০
-
গরমে ও পরিধেয় বস্ত্র খুললে চুলকানি বেড়ে যায় → মেজেরিয়াম ৩০
-
ঠাণ্ডা বাতাসে চুলকানি বাড়ে → রিউমেক্স ২০০
🔹 বিশেষ স্থানভেদে চুলকানি
-
পায়ের তলায় ও গোড়ালিতে ভীষণ চুলকানি, চুলকালে বাড়ে → লিডাম ৬, ৩০
-
পায়ের তালুতে চুলকানি → ক্যাল্কে সালফ ১২০, ২০০, কস্টিকাম ২০০
-
হাতের তালুতে চুলকানি → সেলিনিয়াম ৩০, ২০০
-
হাতের আঙুলের ফাঁকে চুলকানি → সিপিয়া, সেলিনিয়াম, সোরিনাম ২০০
-
স্ত্রীলোকদের যোনিদেশে অসহ্য চুলকানি → ক্যালেডিয়াম ২৫, ৬, ৩০
🔹 খোস-পাঁচড়া, ফোস্কা বা অন্যান্য চর্ম উদ্ভেদ সহ চুলকানি
-
কাপড় খুললে চুলকানি, খোস-পাঁচড়া বা ফোস্কার মতো উদ্ভেদ হয় → রিউমেক্স ২০০
-
উদ্ভেদ থেকে রক্ত বের হয় ও জ্বালা করে, সারারাত অনিদ্রা → কফিয়া ৬, ৩০
-
সারাঙ্গে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শুষ্ক ফুসকুড়ি, কাপড় খুললে ভয়ানক চুলকানি → কার্বোভেজ ৬, ৩০
-
উদ্ভেদ স্থান আঁচড়ানোর পর স্থান পরিবর্তন করে → স্ট্যাফিস্যাগ্রিয়া ৩০, মেজেরিয়াম ৩০
-
চর্মে পোকা হাঁটার অনুভূতি → মেজেরিয়াম, ক্যালেডিয়াম, রাস টক্স, সিপিয়া
-
মনে হয়, ছোট বস্তু বা পোকা চামড়ার নিচে রয়েছে → কোকেন ১৪
-
জামাকাপড় খুললে, শয্যার গরমে ও ঠাণ্ডায় চুলকানি বাড়ে → মেজেরিয়াম ৩০
-
ভ্রমণের পর পোশাক পরিবর্তনের সময় চুলকানি শুরু হয় → রিউমেক্স, রাস টক্স, নেট্রাম সালফ, টিউবারকুলিনাম উচ্চশক্তি
-
যে কোনো চর্মরোগে অসহ্য চুলকানি → মেজেরিয়াম ২০০ বা উচ্চশক্তি
-
গোসলের পর বা শরীর ভিজলে চুলকানি বেড়ে যায় → পেট্রোলিয়াম ৩০, ২০০
🔹 মানসিক অবস্থা ও চুলকানি
-
চুলকানির প্রাবল্যে রোগী পাগলের মতো আচরণ করে → ফ্যাগোপাইরাম ৩০
-
চুলকানির পর আক্রান্ত স্থানে ঝিনঝিন অনুভূতি হয় → সেলিনিয়াম ২০০
🔹 বিকল্প চিকিৎসা
-
চুলকানিতে লিভারের সমস্যা সম্পর্কিত যোগসূত্র থাকলে → কার্ডুয়াস মেরিয়ানা Q, চেলিডোনিয়াম ৬, ৩০
-
রক্তের দূষণের জন্য (যদি চুলকানির কারণ হয়) → বেরবারিস অ্যাকুইফোলিয়াম Q, আজাডিরেকটা ইন্ডিকা Q
-
যদি চুলকানির সাথে কিডনির সমস্যা যুক্ত থাকে → সার্সাপারিলা ৩০, ২০০
🔹 সাধারণ চুলকানি (কোনও দাগ বা উদ্ভেদ নেই)
✅ এলুমিনা ৩০, ২০০ – শুষ্ক ত্বক, স্নানে উপশম, ঘর্মহীন দেহ।
👉 ক্লিনিক্যাল টিপ:
-
সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা বা ধীর স্নায়ুবিক কার্যকলাপ যুক্ত থাকলে নিশ্চিতভাবে কাজ করে।
✅ ডলিকস ৬, ৩০ – কোনো দৃশ্যমান দাগ বা উদ্ভেদ নেই, কিন্তু ভয়ানক চুলকানি।
👉 ক্লিনিক্যাল টিপ:
-
লিভারের সমস্যার কারণে চুলকানি হলে আরও কার্যকর হয়।
-
চুলকানি বেশি হয় রাতে ও খাবারের পর।
✅ সোরিনাম ২০০ – শয্যাতাপে চুলকানি বাড়ে, কিন্তু জ্বালা নেই।
✅ সালফার ৩০ – শয্যাতাপে চুলকানি বাড়ে, জ্বালা আছে।
👉 ক্লিনিক্যাল টিপ:
-
সোরিনাম ভালোভাবে কাজ করে যখন রোগীর ঠাণ্ডা সহ্য হয় না, সব সময় গরম চায়।
-
সালফার কার্যকর যদি রোগী গরমে অস্বস্তিতে ভোগে, বেশি ঘামে এবং অপরিচ্ছন্ন ত্বক থাকে।
✅ মেজেরিয়াম ৩০ – গরমে ও পরিধেয় বস্ত্র খুললে চুলকানি বেড়ে যায়।
👉 ক্লিনিক্যাল টিপ:
-
যদি চুলকানির স্থানে আঁচড়ানোর পর পিচ্ছিল পদার্থ বের হয়, তাহলে মেজেরিয়াম ২০০ বা উচ্চশক্তি দিতে হবে।
✅ রিউমেক্স ২০০ – ঠাণ্ডা বাতাসে চুলকানি বাড়ে।
👉 ক্লিনিক্যাল টিপ:
-
সাধারণত ঘাড় ও উপরের বডিতে বেশি চুলকানি হলে কার্যকর।
🔹 বিশেষ স্থানভেদে চুলকানি
✅ লিডাম ৬, ৩০ – পায়ের তলায় ও গোড়ালিতে ভীষণ চুলকানি, চুলকালে বাড়ে।
✅ ক্যাল্কে সালফ ১২০, ২০০, কস্টিকাম ২০০ – পায়ের তালুতে চুলকানি।
✅ সেলিনিয়াম ৩০, ২০০ – হাতের তালুতে চুলকানি।
✅ সিপিয়া, সেলিনিয়াম, সোরিনাম ২০০ – হাতের আঙুলের ফাঁকে চুলকানি।
👉 ক্লিনিক্যাল টিপ:
-
লিডাম কেবলমাত্র ঠাণ্ডায় তীব্রতা পেলে এবং রোগী সাধারণত ঠাণ্ডা সহ্য না করতে পারলে কাজ করবে।
-
সিপিয়া হাতের তালু ও আঙুলের ফাঁকে চুলকানিতে ভালো কাজ করে যদি রোগী বিষন্ন প্রকৃতির হয়।
-
ক্যাল্কে সালফ ও কস্টিকাম পায়ের তালুতে চুলকানির ক্ষেত্রে যদি রোগীর হাঁটু বা জয়েন্টের সমস্যা থাকে।
✅ ক্যালেডিয়াম ২৫, ৬, ৩০ – স্ত্রীলোকদের যোনিদেশে অসহ্য চুলকানি।
✅ রেডিয়াম ব্রোম ৩০ – জননেন্দ্রিয় অংশে অসহ্য চুলকানি।
👉 ক্লিনিক্যাল টিপ:
-
রেডিয়াম ব্রোম বেশি কার্যকর যদি রোগী পূর্বে রেডিয়েশন বা কেমিক্যাল এক্সপোজারের কারণে চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
-
ক্যালেডিয়াম ব্যবহার করা ভালো যদি রোগীর ধূমপানের অভ্যাস থাকে অথবা শুক্রাণুর দুর্বলতা থাকে।
🔹 খোস-পাঁচড়া, ফোস্কা বা অন্যান্য চর্ম উদ্ভেদ সহ চুলকানি
✅ কফিয়া ৬, ৩০ – উদ্ভেদ থেকে রক্ত বের হয় ও জ্বালা করে, সারারাত অনিদ্রা।
✅ কার্বোভেজ ৬, ৩০ – সারাঙ্গে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শুষ্ক ফুসকুড়ি, কাপড় খুললে ভয়ানক চুলকানি।
✅ স্ট্যাফিস্যাগ্রিয়া ৩০, মেজেরিয়াম ৩০ – উদ্ভেদ স্থান আঁচড়ানোর পর স্থান পরিবর্তন করে।
✅ রাস টক্স ৩০, ২০০ – পানি বা আর্দ্র আবহাওয়ায় চুলকানি বাড়ে।
✅ নেট্রাম মিউর ৩০, ২০০ – রোগীর অতিরিক্ত লবণের ক্ষুধা থাকলে।
👉 ক্লিনিক্যাল টিপ:
-
রাস টক্স বিশেষভাবে কার্যকর যখন চুলকানি পানির সংস্পর্শে বেড়ে যায় এবং ফোস্কা ওঠে।
-
স্ট্যাফিস্যাগ্রিয়া তখন ব্যবহার করা ভালো যখন চুলকানি খুব বেশি হলে রোগী বারবার চুলকায় এবং তার ফলে স্থান পরিবর্তন হয়।
-
নেট্রাম মিউর যদি রোগীর চুলকানির সাথে ঠোঁট শুষ্ক থাকে, নুন খাওয়ার প্রবণতা থাকে তাহলে ভালো কাজ করবে।
🔹 মানসিক অবস্থা ও চুলকানি
✅ ফ্যাগোপাইরাম ৩০ – চুলকানির প্রাবল্যে রোগী পাগলের মতো আচরণ করে।
✅ সেলিনিয়াম ২০০ – চুলকানির পর আক্রান্ত স্থানে ঝিনঝিন অনুভূতি হয়।
👉 ক্লিনিক্যাল টিপ:
-
ফ্যাগোপাইরাম সাধারণত তীব্র চুলকানির কারণে ঘুম নষ্ট হলে ব্যবহার করা হয়।
-
সেলিনিয়াম বেশি কার্যকর যদি রোগীর যৌন দুর্বলতা বা ধাতুর দোষ থাকে।
🔹 বিকল্প চিকিৎসা ও সাধারণ টিপস
✅ চুলকানিতে লিভারের সমস্যা থাকলে → কার্ডুয়াস মেরিয়ানা Q, চেলিডোনিয়াম ৬, ৩০
✅ রক্তের দূষণের জন্য → বেরবারিস অ্যাকুইফোলিয়াম Q, আজাডিরেকটা ইন্ডিকা Q
✅ কিডনির সমস্যা থেকে আসা চুলকানিতে → সার্সাপারিলা ৩০, ২০০
📝 চুলকানির ক্ষেত্রে খাবার ও অন্যান্য পরামর্শ
✔ লবণ ও ঝালযুক্ত খাবার পরিহার করা ভালো।
✔ দেহ পরিষ্কার রাখতে নিমপাতার পানি দিয়ে গোসল করা উপকারী।
✔ আজাডিরেকটা ইন্ডিকা Q ও বেরবারিস অ্যাকুইফোলিয়াম Q সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার খাওয়া ভালো।
✔ চুলকানির জায়গায় ঘাম হলে দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে, কারণ ঘাম চুলকানি বাড়িয়ে দেয়।