অরাম মেটালিকাম
(Aurum metallicum)
১। অরাম মেটালিকামের সাধারণ পরিচিতি লিখ।
অরাম মেটালিকামের সাধারণ পরিচিতি:
রাসায়নিক সংকেত/রাসায়নিক ফর্মুলা (Formula): Au
সমনাম/প্রতিনাম (Synonyms): মেটালিক গোল্ড, গোল্ড।
উৎস (Source): অরাম মেটালিকামের উৎস খনিজ।
প্রাপ্তিস্থান (Habitat): খনিতে পাওয়া যায়।
প্রভার (Proved): ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান অরাম মেটালিকাম
ঔষধটি প্রুভ করেন।
২। অরাম মেটালিকামের প্রস্তুত প্রণালী লিখ।
অরাম মেটালিকামের প্রস্তুত প্রণালী (Preparation):
ক) ট্রাইটুরেশন ১০ অরাম মেটালিকাম ১০০ গ্রাম
দুগ্ধশর্করা
৯০০ গ্রাম
১ কিলোগ্রাম ট্রাইটুরেশন তৈরি হবে।
খ) পটেন্সি: ৬x কনর্ভাট ৮x, ৯x এবং উচ্চতরশক্তি ডিসপেন্সিং এলকোহল ব্যবহার করতে হয়। প্রস্তুত formula F-4 & F-7 (বিচূর্ণ)
৩। অরাম মেটালিকামের ক্রিয়াস্থল লিখ। ২০০৯, ১১, ১৩ বা, অরাম মেটালিকামের ক্রিয়াস্থল লিখ। সিফিলিসের উপর ইহার কার্যক্ষমতা বর্ণনা কর। ২০১৩
অরাম মেটালিকামের ক্রিয়াস্থল (Affinities) :
(i) শিরা (Veins), (ii) সরলান্ত্র (Rectum),(iii) লিভার(Liver),(iv) মাথা (Head),(v) কোমর (Lumbar region),
(vi) স্ত্রী অঙ্গ (Female organs).
সোরিক, সিফিলিটিক এবং ক্রোফুলাস ডায়াথেসিস। বৃদ্ধ, যাদের দৃষ্টি ক্ষীণ, মোটা দেহ, জীবনে বিতৃষ্ণা। পারদের অপব্যবহারে, সিফিলিসের কুফলে স্বাস্থ্য যাদের ভেঙ্গে গেছে এরূপ ক্ষেত্রে এটি উপযোগী।
৬। অরাম মেটালিকামের সার্বদৈহিক লক্ষণ লিখ। অরাম মেটালিকামের সার্বদৈহিক লক্ষণ:
অনিচ্ছা: মাংসে, ইচ্ছা: দুধ, কফি, এলকোহলিক ড্রিংকস।
নিদ্রা: নিদ্রাহীনতা, স্বপ্ন: মৃত ব্যক্তি, উচ্চ স্থান থেকে পতন, দুঃখের, বিভিন্ন প্রকার ভুলে যাওয়া স্বপ্ন দেখে।
ক্ষুধা: প্রচন্ড ক্ষুধা কিন্তু কোন স্বাভাবিক খাদ্যে অনাগ্রহ।
পিপাসা: প্রচন্ড পিপাসা।
আক্রান্ত সাইড: রাইট সাইড। এটি লেফট সাইডেও আক্রান্ত করে।
যেমন- অভ্যন্তরিন মাথা, চোখ, কান, নাক, দাঁত, মুখগহ্বর, মুখমন্ডল, হাইপোকন্ড্রিয়াক, এবডোমেন, সেক্সসুয়াল অর্গান, চেস্ট ইত্যাদি।
৭। অরাম মেটালিকামের প্রয়োগ ক্ষেত্র/রোগসমূহ লিখ।
অরাম মেটালিকামের প্রয়োগ ক্ষেত্র/রোগসমূহ (Disease): এ্যাজমা, গণোরিয়া, সিফিলিস, অর্শ, প্যারালাইসিস, লোকোমটর এ্যাটাক্সসিয়া, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, মাথাঘোরা, জেনিটাল অর্গান ডিসওডার, হার্ট ডিসওডার, ইউরিনারী ডিসওডার ইত্যাদি।
৮। অরাম মেটালিকামের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ।বা, অরাম মেটালিকামের মানসিক লক্ষণ বর্ণনা কর। ১৩
অরাম মেটালিকামের মানসিক লক্ষণাবলী:
(i) নিজের উপর তিরষ্কার করার ইচ্ছা এবং নিজেকে অপদার্থ বলে মনে করে। অত্যন্ত বিষণ্ণ। নিজের প্রতি ঘৃণা হয়।
(ii) অত্যধিক বিষাদ, তৎসহ রক্তের প্রচাপনের বৃদ্ধি এবং স্বীয় জীবনের প্রতি বিরক্তি বা ঘৃণা এবং আত্মহত্যা করার চিন্তা করে।
(iii) সর্বদা আত্মহত্যা করার জন্য চিন্তা করে (ন্যাজা)। (আত্মহত্যার কথা চিন্তা করে কিন্তু আত্মহত্যা করতে ভয় পায়- নাক্স-ভমিকা)
(iv) মৃত্যুর ভয়ে ভীষণ আতঙ্ক। খিটখিটে এবং সামান্য প্রতিবাদে রাগান্বিত। ঝগড়াটে, আত্মহত্যা করতে চায়। জীবন বোঝা মনে হয়।
(v) নরাতঙ্ক (Anthropophobia)। মানসিক বৈকল্য। উত্তরের প্রত্যাশা না করে নিরন্তন দ্রুত প্রশ্ন করে।
(vi) কাজ যথাসম্ভব দ্রুত করতে পারে না।
(vii) বোধাধিক্য বা সহজেই অভিভূত হবার প্রবনতা, শব্দ দুষণ সম্বন্ধে উত্তেজনা, বিভ্রান্তি। যে সব ব্যক্তির মুখ কালচে বাদামি বর্ণের, দুখিত, বিষণ্ণ, কম কথা বলে, কোষ্ঠবদ্ধতা ধাতু প্রকৃতির এবং যারা সামান্য মানসিক পরিশ্রমে মাথার যন্ত্রণা হলে এটি উপযোগী।
৯। অরাম মেটালিকামের নির্দেশক/পরিচায়ক লক্ষণাবলী লিখ। বা, অরাম মেটালিকামের ক্রিয়াস্থল ও চরিত্রগত লক্ষণ লিখ। ১১, ১৭
অরাম মেটালিকামের নির্দেশক/পরিচায়ক লক্ষণাবলীঃ
(i) মৃত্যুর ভয়ে ভীষণ আতঙ্ক। খিটখিট্, সামান্য প্রতিবাদে রাগান্বিত।
অস্বস্তি, ভীষণ ব্যস্তভাব-মানসিক ও দৈহিক পরিশ্রমে কাজ করতে ভীষণ
ইচ্ছা অথচ কোন কিছুই দ্রুত করতে পারে না। (আর্জে-নাই)
(ii) নিজের উপর তিরষ্কার করার ইচ্ছা এবং অপদার্থ বলে মনে করে।
(iii) শিরঃঘূর্ণন। মস্তিষ্কের ভিতর দিয়ে কপাল পর্যন্ত ছিঁড়ে যাবার মত ব্যথা। ব্যথা, গন্ধ, স্বাদ, শ্রবণ ও স্পর্শে অত্যানুভূতি (এনাকার্ডিয়াম)।
(iv) পাকস্থলী: ক্ষুধা এবং তৃষ্ণা বৃদ্ধি পায়, তৎসহ গা বমি করে। ইপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চলে স্ফীতি। পাকস্থলীতে জ্বালা এবং উত্তপ্ত উদ্গার।
(v) নাকের প্রদাহ-অস্থিক্ষত, স্রাব দূর্গন্ধযুক্ত, পুঁজযুক্ত এবং রক্তমিশ্রিত। নাকের মধ্যে ছিদ্রকরনবৎ ব্যথা, রাত্রে বৃদ্ধি।
(vi) ঘোলের মত ঘোলাটে, পুরু তলানি ব্যথাদায়ক মূত্ররোধ।
১৬। অরাম মেটালিকামের প্রস্রাবের লক্ষণাবলী লিখ।
অরাম মেটালিকামের প্রস্রাবের লক্ষণাবলী:
(i) ঘোলের মত ঘোলাটে, পুরু তলানি ব্যথাদায়ক মূত্ররোধ।
(ii) সরলাস্ত্র: কোষ্ঠকাঠিন্য, মল শক্ত এবং গ্রন্থিময়।
(iii) রাত্রিকালীন উদরাময়, তৎসহ সরলান্ত্রে জ্বালা।
১৭। অরাম মেটালিকামের হৃদপিন্ডের লক্ষণাবলী লিখ। বা, হৃদতন্ত্রের উপসর্গে ইহার ব্যবহার লিখ বা, হৃদযন্ত্রের পীড়ায় ইহার ব্যবহার লিখ। ০৯,। ১৩, ১১, ১৭
অরাম মেটালিকামের হৃদপিন্ডের লক্ষণাবলী:
(i) হৃদপিন্ডের স্পন্দন দুই বা তিন সেকেন্ডের জন্য থেমে গেল মনে হয়, কিন্তু তার পরক্ষণেই ইহা প্রবলভাবে লাফিয়ে উঠে (সিপিয়া) এবং তৎসহ এবডোমেনের উর্ধ্বভাগে শূন্যতাবোধ হয়।
(ii) হৃদকম্পন-নাড়ী দ্রুতগতিশীল, ক্ষীণ, অনিয়মিত স্পন্দনবিশিষ্ট। বিবৃদ্ধি।
(iii) রক্তের অত্যাধিক চাপ। হৃৎপিন্ডের পেশীতে চর্বি জমে (ফসফরাস )
(iv) রাত্রে শ্বাসকষ্ট পুনঃপুনঃ গভীর শ্বাসক্রিয়া, বুকের অস্থির মধ্যে সূচীবৃদ্ধবৎ ব্যথা। নাড়ী ক্ষুদ্র, দুর্বল, দ্রুত, এক সমান চলে না, ক্যারোটিড ও টেম্পোরাল আর্টারী কাঁপে-যা খালি চোখে দেখা যায়।
(বেলাডোনা, গ্লোনয়িন)
(v) শিরঃঘূর্ণন-মস্তিষ্কের ভিতর দিয়ে কপাল পর্যন্ত ছিঁড়ে যাবার মত ব্যথা।
(vi) ক্ষুধা এবং তৃষ্ণা বৃদ্ধি পায়, তৎসহ বমিবমি ভাব। ইপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চলে স্ফীতি। পাকস্থলীতে জ্বালা এবং উত্তপ্ত উদার।
২২। অরাম মেটালিকামের অস্থির উপর ক্রিয়া বর্ণনা কর। বা, অরাম মেটালিকামের অস্থির উপর ব্যবহার লিখ। বা, সিফিলিসের উপর ইহার কার্য ক্ষমতা বর্ণনা কর। ১৭
অরাম মেটালিকামের অস্থির উপর ক্রিয়া বর্ণনা:
(i) মৃত্যুর ভয়ে ভীষণ আতঙ্ক, খিটখিটে, সামান্য প্রতিবাদে রাগান্বিত।
(ii) সিফিলিসের দ্বিতীয় অবস্থার ন্যায় অস্থিসমূহের ক্ষয়প্রাপ্তি।
(iii) মাথার অস্থিগুলির মধ্যে ব্যথা, চর্মের নিচে পিন্ডবৎ পদার্থ, অস্থিবৃদ্ধি, তৎসহ রাত্রীকালীন অস্থি ব্যথা।
(iv) নাক, তালু এবং গন্ডদেশের অস্থিসমূহে ক্ষত। আক্রান্ত অস্থিগুলিতে স্পর্শাধিক্য, মুক্ত বাতাসে উপশম, রাত্রে বৃদ্ধি।
(v) নাকের মধ্যে প্রদাহ- অস্থিক্ষত, স্রাব দূর্গন্ধযুক্ত, পুঁজযুক্ত এবং রক্তমিশ্রিত। নাকের মধ্যে ছিদ্রকরনবৎ ব্যথা, রাত্রে বৃদ্ধি।
(vi) পুরাতন স্নায়ুবিক বধিরতা। সিফিলিসজনিত কারণে কানের ভিতরের পর্দার রোগ।
২৩। পারদের অপব্যবহারজনিত লক্ষণে অরাম মেটালিকামের ব্যবহার লিখ। ০৯, ১১
পারদের অপব্যবহারজনিত লক্ষণে অরাম মেটালিকামের ব্যবহার:
(i) হৃদকম্পন- নাড়ী দ্রুতগতিশীল, ক্ষীন, অনিয়মিত স্পন্দনবিশিষ্ট। বিবৃদ্ধি।
(ii) সমস্ত রক্ত মনে হয় যেন মাথা হতে নিম্নস্থ প্রত্যঙ্গাদি পর্যন্ত ছুটে চলছে।
(iii) সিফিলিসের দ্বিতীয় অবস্থার ন্যায় অস্থিসমূহের ক্ষয়প্রাপ্তি।
(iv) সর্বদা আত্মহত্যা করার জন্য চিন্তা করে (ন্যাজা)।
(v) মৃত্যুর ভয়ে ভীষণ আতঙ্ক। খিটখিটে এবং সামান্য প্রতিবাদে রাগান্বিত।
(vi) রাত্রে শ্বাসকষ্ট পুনঃপুনঃ গভীর শ্বাসক্রিয়া, বুকের অস্থির মধ্যে সূচীবিদ্ধবৎ যন্ত্রণা।
(vii) সন্ধিগুলিতে পক্ষাঘাতের ন্যায় এবং ছেদনবৎ ব্যথা। হাঁটুগুলি দুর্বল।
ফ্লোরিকাম এসিডাম
৪। প্রশ্ন: ফ্লোরিকাম এসিডামের গঠনগত/ধাতুগত বৈশিষ্ট্য লিখ।
ফ্লোরিকাম এসিডামের গঠনগত/ধাতুগত বৈশিষ্ট্য (Constitution):
এপিয়ারেন্স (Appearance): নির্দিষ্ট বয়সের পূর্বে বা অল্প বয়সে বৃদ্ধের মত দেখায়, Over Sensitiveness : শীত ও গরম অনুভূতি প্রবণ নয় কিন্তু গরমে বৃদ্ধি এবং ঠান্ডায় উপশম। মায়াজমেটিক অবস্থা- সোরিক, সাইকোটিক, সিফিলিটিক।
৫। প্রশ্ন: ফ্লোরিকাম এসিডামের ক্রিয়াস্থল লিখ।
ফ্লোরিকাম এসিডামের ক্রিয়াস্থল (Affinities) :
ফাইব্রাস টিস্যু (Fibrous tissue), হাড়সমূহ (Bones), দাঁত (Teeth), মাস্টয়েড (Mostoid), শিরাসমূহ (Veins), চর্ম (Skin), নখ (Nails), চুল (Hair)। এটি একটি অত্যন্ত গভীর এন্টিসোরিক, এন্টি সিফিলিটিক ও এন্টিসাইকোটিক ঔষধ।
৬। প্রশ্নঃ ফ্লোরিকাম এসিডামের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ। ফ্লোরিকাম এসিডামের মানসিক লক্ষণ লিখ। ২০০৯, ১১, ১৬, ১৮
ফ্লোরিকাম এসিডামের মানসিক লক্ষণাবলী:
(i) যাদের একসময় সব চেয়ে বেশি ভালবাসতো তাদের প্রতি উদাসীনতা, যেমন-স্ত্রী, পুত্র ও কন্যার প্রতি উদাসীনতা।
(ii) নিজের দায়িত্ববোধ বুঝতে অক্ষম, নিজেই আমাদ প্রমোদে রোগী ব্যস্ত থাকে। কিন্তু নীতির প্রতি উদাসীন।
(iii) প্রফুল্লতা, মানসিক আনন্দ। মানসিক অস্থিরতা, স্থিরভাবে কোথাও বসতে পারে না।
(iv) সবার সাথে ঝগড়া করতে চায়।
(v) অনর্থক ঘুরে বেড়ায়। রোগীর দায়িত্ব জ্ঞান বলতে কিছুই নাই।
(vi) অপরের দোষ খুঁজে বেড়ায়, নিজের দোষ দেখতে পারে না।
(vii) সঙ্গমের বিষয় চিন্তা করে।
(viii) রোগীর ভয় ও ক্লান্তিবোধ নাই।
৭। প্রশ্নঃ ফ্লোরিকাম এসিডামের চোখের লক্ষণাবলী লিখ।
ফ্লোরিকাম এসিডামের চোখের লক্ষণাবলী:
(i) মনে হয় চোখের ভিতর দিয়ে বাতাস প্রভাবিত হচ্ছে, এই জাতীয় অনুভূতি।
(ii) অশ্রুস্রাবী গ্রন্থির নালী ঘা।
(iii) চোখের ভিতরের কোনের তীব্র চুলকানি।
৮। প্রশ্ন: ফ্লোরিকাম এসিডামের নির্দেশক লক্ষণাবলি লিখ। ১১, ১৬
ফ্লোরিকাম এসিডামের নির্দেশক লক্ষণসমূহঃ
-(i) মাথায় টাক বা চুল পরে যাওয়া।
(ii) মাথার দুই দিকে, ভিতর থেকে বাইরের দিকে চাপবোধ।
(iii) পাকস্থলির ভিতরে ভারীবোধ। আহারের পূর্বে পাকস্থলীর ভিতরে উত্তাপ ও টক ঢেকুর উঠে।
(iv) দাঁতগুলিতে উষ্ণতার অনুভূতি উপরের চোয়ালের দাঁত ও অস্থিগুলি আক্রান্ত হয়।
(v) শোথাবস্থায় বারে বারে ও বাধাহীনভাবে প্রচুর প্রস্রাব তৎসহ যথেষ্ট উপশমবোধ।
(vi) এবডোমেন – লিভার স্থানের উপর টাটানি। বায়ু নিঃসরণ ও ঢেকুর।
(vii) লোমকূপগুলি থেকে জ্বালাকর বাষ্প বের হবার ন্যায় অনূভূতি।
বিশেষ করে শরীরের যাবতীয় রন্ধের চুলকানি এবং ছোপসমূহ উষ্ণতায় বৃদ্ধি।
(viii) ঋতুস্রাব প্রচুর, বারে বারে ও দীর্ঘস্থায়ী হয়।
(ix) প্রচুর ক্ষতকর প্রদরস্রাব। জরায়ু ও জরায়ু মুখে ক্ষত।
(x) নখ খুব দ্রুত বাড়ে। অস্থি আবরকের ফোঁড়া।
(xi) প্রচুর টক ও দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম নিঃসৃত হয়।
(xii) খুব মিতব্যয়ী বা কৃপণ প্রকৃতির (লাইকোেপডিয়াম)। কথা বললে দাঁতের ব্যথা বৃদ্ধি পায়। দেহের লম্বা হাড়গুলোতে ক্ষয় ও পচন দেখা যায়।
১৩। প্রশ্ন: ফ্লোরিকাম এসিডামের প্রস্রাবের লক্ষণাবলী লিখ।
ফ্লোরিকাম এসিডামের প্রস্রাবের লক্ষণাবলী:
(i) অল্প ঘোলাটে।
(ii) শোথাবস্থায় বারে বারে ও বাধাহীনভাবে প্রচুর প্রস্রাব তৎসহ যথেষ্ট উপশমবোধ।
১৪। প্রশ্ন: ফ্লোরিকাম এসিডামের স্ত্রীরোগের লক্ষণাবলী লিখ।
ফ্লোরিকাম এসিডামের স্ত্রীরোগের লক্ষণাবলী:
(i) স্ত্রীরোগ- ঋতুস্রাব প্রচুর, বারে বারে ও দীর্ঘস্থায়ী।
(ii) জরায়ু ও জরায়ু মুখে ক্ষত।
(iii) প্রচুর ক্ষতকর প্রদরস্রাব নিঃসৃত হয়।
(iv) কামোন্মাত্ততা।
১৫। প্রশ্ন: ফ্লোরিকাম এসিডামের শ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ।
ফ্লোরিকাম এসিডামের শ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী:
(i) বুকের ভিতর চাপবোধ, কষ্টকর শ্বাস-প্রশ্বাস, প্রচন্ড শ্বাস-কষ্ট।
(ii) ফুসফুসের ভিতর পানি জমা বা ফুসফুসের শোথ।
২৬। প্রশ্ন: ফ্লোরিকাম এসিডামের অস্থি ও চর্মের লক্ষণাবলী লিখ।বা, চর্ম ও অস্থির উপর ফ্লোরিকাম এসিডামের ক্রিয়া বর্ণনা কর। ০৯,১১, ১৬, ১৮
চর্ম ও অস্থির উপর ফ্লোরিকাম এসিডামের ক্রিয়া বর্ণনা:
(i) শিরা স্ফীতি। জড়ুল। ক্ষতসমূহ, কিনারা লাল ও ফোস্কাসমূহ।
(ii) শয্যাক্ষত- উষ্ণতায় বৃদ্ধি।
(iv) সিফিলিসজনিত ক্ষত। ক্ষত চিহ্নের উপর চুলকানি।
(v) লোমকূপগুলি থেকে জ্বালাকর বাষ্প বের হবার ন্যায় অনুভূতি।
বিশেষ করে শরীরের যাবতীয় রন্ধের চুলকানি এবং ছোপসমূহ উষ্ণতায় বৃদ্ধি।
আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম
৪। প্রশ্ন: আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের কারণতত্ত্ব লিখ।
আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের কারণতত্ত্ব (Actiology):
(ক) মূলকারণ (Fandamental Cause): সোরা, সাইকোসিস, সিফিলিস।
(খ) উত্তেজক/আনুসঙ্গিক কারণ (Exictiting/Accessory/Auxiliary cause): উদ্বিগ্নতা, ভয়, মানসিক অশান্তি, সুগার ও টোবাকো অধিক গ্রহণ, বরফ গ্রহণ ইত্যাদি কারণে এই ঔষধের রোগসমূহ উৎপন্ন হয়।
৫। প্রশ্ন: আর্জেন্টাইম নাইট্রিকামের ধাতুগত লক্ষণ বর্ণনা কর। ০৯ বা, আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের গঠনগত/ধাতুগত বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর। ১১
আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের গঠনগত/ধাতুগত বৈশিষ্ট্য (Constitution):
এপিয়ারেন্স (Appearance): হিস্টেরিয়াগ্রস্ত, দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে, যুবকদের দেখতে বৃদ্ধের মত দেখায়। কার্বো- নাইট্রোজেনয়েড বা হাইডোজেনয়েড কনস্ট্রিটিউশন (ধাতু)। খাদ্যে অনিহা। Over Sensitiveness: গরমকাতর কিন্তু সকল বস্তু ঠান্ডা চায় (ক্যাল্কেরিয়া কার্ব)। মায়াজমেটিক অবস্থা- সোরিক, সিফিলিটিক, সাইকোটিক। ডায়াথেসিস- নিউরো-সাইকোটিক। মেজাজ- পিত্তাধিক্য বা পিত্তপ্রধান, অত্যন্ত উত্তেজিত।
৬। প্রশ্ন: আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের ক্রিয়াস্থল বর্ণনা কর। ১১
আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের ক্রিয়াস্থল (Affinities) :
মন (Mind), সেরিব্রো-স্পাইনাল নার্ভস (Cerebro- spinal nerves), এবডোমিনাল মিউকাস মেমব্রেন (Abdominal Mucous Membranes), স্টোমাক (Stomach), চোখ (Eyes), গলা (Throat), ইউরেথ্রা (Urethra), পেরিওস্টিয়াম (Periostaem), চর্ম (Skin), লেফট সাইড (Left side)।
১০। প্রশ্নঃ আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের মাথার লক্ষণাবলী লিখ।
আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের মাথার লক্ষণাবলী:
(i) শীতলতা এবং কম্পনসহ শিরঃপীড়া।
(ii) মানসিক আবেগজাত উপদ্রব যা হতে ‘আধকপালে’ মাথা ব্যথা মাঝে মাঝে উপস্থিত হয়।
(iii) মস্তিষ্কের ক্লান্তি, তৎসহ সর্বাঙ্গীন দুর্বলতা এবং কম্পন ও কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ শব্দ হয়।
(iv) মানসিক শ্রম হতে সৃষ্ট শিরঃপীড়া।
(v) মাথার চর্মের উপর চুলকানি।
(vi) আধকপালে, মাথার অস্থিগুলি মনে হয় যেন বিভক্ত হয়ে গেছে।
১১। প্রশ্ন: আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের চোখের লক্ষণাবলী লিখ।বা, চোখের পীড়ায় আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের ব্যবহার লিখ। ০৯, ১১
আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের চোখের লক্ষণাবলী:
(i) চোখের ভিতরকার কোনাগুলি ফুলা এবং লাল।
(ii) দৃষ্টির সম্মুখে কতগুলি দাগ দেখা যায়।
(iii) দৃষ্টি অস্পষ্ট, ঝাপসা। গরম ঘরে আলোকাতঙ্ক। পুঁজস্রাবী চোখের প্রদাহ। চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিকভাবে না ফেলায় চোখের বিভিন্ন রোগ।
(iv) অক্ষিপত্রের কিনারাগুলিতে পুরাতন ক্ষত, ক্ষতকর, পুরু এবং স্ফীতি।
(v) চোখগুলি কোন দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করতে সক্ষম হয় না।
(vi) সেলাই কাজ হেতু চোখসমূহ টাটায়ে যায়, গরম ঘরে বৃদ্ধি, খোলা বাতাসে হ্রাস (নেট্রাম মিউর, রুটা)।
(vii) চোখসমূহ বন্ধ করার বা এদের উপর চাপ দিবার পূর্বে চোখের মধ্যে স্থায়ী ব্যথা এবং ক্লান্তিবোধ।
১৬। প্রশ্নঃ আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের পাকস্থলীর লক্ষণাবলী লিখ।
আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের পাকস্থলীর লক্ষণাবলী:
(i) পাকস্থলী সংক্রান্ত রোগে প্রায় অধিকক্ষেত্রে উদগার সহচররূপে বর্তমানে থাকে। হজমের গোলমালে পেটে গ্যাস হয়।
(ii) বায়ুসঞ্চয়- এবডোমেনের উর্ধ্বভাগ স্ফীতি এবং ব্যথাদায়ক।
(iii) পাকস্থলীর উপর অল্প স্থান ব্যথাদায়ক এবং এ ব্যথা তলপেটের সর্বত্র প্রসারিত হয়।
(iv) ক্ষতবৎ, দংশনকারী যন্ত্রণা, জ্বলন এবং সংকোচন।
(v) উদগার তুলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।
(vi) মিষ্টি দ্রব্য খাবার জন্য অদম্য স্পৃহা।
(vii) মদ্যপায়ীদের পাকস্থলী প্রদাহ, পাকস্থলীর মধ্যে ক্ষত, তৎসহ চারিদিকে বিস্তৃতশীল যন্ত্রণা। পনির এবং লবণ খাবার ইচ্ছা।
১৭। প্রশ্ন: আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের মলের লক্ষণাবলী লিখ।
আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের মলের লক্ষণাবলী:
(i) পানির মত, শব্দ করে বাহির হয়, পেটে বায়ু সঞ্চয়, সবুজ, শ্যাওলার মত তৎসহ ফালিফালি আম এবং তলপেটে বিশাল স্ফীতি, অত্যন্ত দূর্গন্ধময়।
(ii) পানাহারের অব্যবহিত পরেই উদরাময়। মলদ্বার চুলকায়।
১৮। প্রশ্ন: আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের পরিপাকতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ। বা, পরিপাকতন্ত্রে আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের সহিত লাইকোপোডিয়ামের কার্যকারিতা তুলনা কর। ০৯, ১১
আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের পরিপাকতন্ত্রের লক্ষণাবলী:
(i) অত্যাধিক পুরু শ্লেষ্মা গলা এবং মুখের মধ্যে জমে যার জন্য তাকে গলা খাকরি দিতে হয়।
(ii) পাকস্থলী সংক্রান্ত রোগে প্রায় অধিকক্ষেত্রে উদগার সহচররূপে বর্তমানে থাকে। হজমের গোলমালে পেটে গ্যাস হয়। খাওয়ার পরই ঢেকুর উঠে। মনে হয় বায়ুতে পেট ফেটে যাবে।
(iii) বায়ুসঞ্চয়- উদরের উর্ধ্বভাগ স্ফীত এবং ব্যথাদায়ক। ঢেকুর তুলতে কষ্ট, শেষে ভীষণ জোরে শব্দ করে বায়ু বের হয়।
(iv) পাকস্থলীর উপর অল্প স্থান ব্যথাদায়ক এবং এ ব্যথা তলপেটের সর্বত্র প্রসারিত হয়।
(v) মিষ্টি দ্রব্য খাবার জন্য অদম্য স্পৃহা। শিশু চিনি পছন্দ করে।
(vi) মল পানির মত, শব্দ করে বাহির হয়, পেটে বায়ু সঞ্চয়, সবুজ, শ্যাওলার মত তৎসহ ফালি ফালি আম এবং তলপেটে বিশাল স্ফীতি, অত্যন্ত দূর্গন্ধময়।
লাইকোপডিয়াম ক্যাডেটামের পাকস্থলীর লক্ষণাবলী:
(i) ময়দা থেকে প্রস্তুত এবং গাঁজলা উৎপন্নকারী খাদ্যবস্তু যেমন- বাঁধাকপি, মটরশুটি প্রভৃতি খাবার ফলে অজীর্ণ রোগ।
(ii) প্রচন্ড ক্ষুধার্ত। রুটি প্রভৃতিতে অনিচ্ছা। মিষ্টি দ্রব্যের প্রতি স্পৃহা।
(iii) খাদ্যবস্তুর স্বাদ টক। টক ঢেকুর উঠে। হজম শক্তির প্রচন্ড দুর্বলতা। পেট ডাকা তৎসহ প্রচন্ড পেট ফাপা।
(iv) আহারের পরে, পাকস্থলীতে চাপবোধ, তৎসহ মুখের স্বাদ তিতো।
সামান্য আহারের পরেই পূর্ণতার অনুভূতি।
(v) পেটের ভিতরে জমা হওয়া বায়ু চলাফেরা করে
১৯। প্রশ্ন: আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের প্রস্রাবের লক্ষণাবলী লিখ। আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের প্রস্রাবের লক্ষণাবলী:
(i) অজ্ঞাতসারে দিবারাত্র প্রস্রাব নির্গত হয়।
(ii) লিঙ্গ নালীপ্রদাহযুক্ত তৎসহ যন্ত্রণা, জ্বলন, চুলকানী, যেন কাঠের কুচি ভিতরে খোঁচা মারছে।
(iii) প্রস্রাব পরিমাণে কম এবং ময়লা।
(iv) প্রস্রাব শেষ হয়ে যাবার পরও কয়েক ফোঁটা প্রস্রাব পড়তে থাকে।
প্রস্রাবের ধারা বিভক্ত।
(v) প্রমেহরোগের প্রথম অবস্থা, প্রচুর স্রাব এবং ভীষণ কর্তন ব্যথা, রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব।
আর্জেন্টাম মেটালিকাম
৮। প্রশ্ন: আর্জেন্টাম মেটালিকামের নির্দেশক/পরিচায়ক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী লিখ। ১৯ বা, আর্জেন্টাম মেটালিকামের নির্দেশক লক্ষণ লিখ। ১২
আর্জেন্টাম মেটালিকামের নির্দেশক, পরিচায়ক/চরিত্রগত লক্ষণাবলীঃ
(i) শরীরের বামদিকে নাতিপ্রবল স্নায়ুশূল যা থেকে উপস্থিত হয়, এ ব্যথা ক্রমশই বৃদ্ধি পায় এবং হঠাৎ থেমে যায়।
(ii) প্রস্রাব প্রচুর, ঘোলাটে এবং সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত। পুনঃপুন মূত্রত্যাগ। বহুমূত্র।
(iii) সন্ধিস্থলসমূহ বাত, বিশেষত কনুই এবং হাটু। পাগুলি দুর্বল এবং কাঁপতে থাকে, সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় বৃদ্ধি।
(iv) ক্ষতবৎ ব্যথাযুক্ত, ধূসরবর্ণবিশিষ্ট জেলির ন্যায় শ্লেষ্মা কাসি দিয়ে বের করে এবং কাসলে গলার মধ্যে ছন্ছন্ করে।
(v) স্বরভঙ্গ, স্বরলোপ। পেশাদার গায়কদের সম্পূর্ণ স্বরভঙ্গ। সহজেই শ্লেষ্মা বের হয়, শ্লেষ্মা সিদ্ধ করা বার্লির ন্যায়। গিলতে বা কাশি দিলে গলায় ও স্বরযন্ত্রে ব্যথা এবং ক্ষত হয়ে গেছে এরূপ অনুভুতি হয়।
(vi) বক্ষস্থলের অস্থির উপরিভাগে অগভীর ক্ষতের নিকটে মনে হয় যেন, একটি ক্ষুদ্র স্থান রয়েছে।
(vii) জরায়ুর স্থানচ্যুতি। স্পঞ্জের মত কোমল এবং ক্ষয়প্রাপ্ত জরায়ুর ক্ষয়প্রাপ্ত গ্রীবাদেশ।
(viii) মেনোপজকালে রজঃস্রাব। সমগ্র তলপেটে ক্ষতবৎ ব্যথা, ঝাঁকুনিতে বৃদ্ধি।
৯। প্রশ্ন: আর্জেন্টাম মেটালিকামের মাথার লক্ষণাবলী লিখ।
আর্জেন্টাম মেটালিকামের মাথার লক্ষণাবলী:
(i) মাথার বামদিকে স্নায়ুশূল (নিউরালজিয়া) যা থেকে উপস্থিত হয়, এই ব্যথা ক্রমশই বৃদ্ধি পায় এবং হঠাৎ থেমে যায়।
(ii) মাথার উপরের চামড়া ছোয়া যায় না, ভীষণ ব্যথাযুক্ত।
(ii) মাথাঘোরা, তৎসহ নেশা হয়েছে এরূপ অনুভূতি, প্রবহমান পানির দিকে দৃষ্টিপাত করলেই মাথাঘোরে।
(iv) মাথা মনে হয় যেন শূন্য এবং ফাঁপা হয়ে গেছে।
(v) অক্ষিপত্রগুলি লাল এবং পুরু নিস্তেজ করে ফেলে এরূপ সর্দি, তৎসহ হাঁচি।
(vi) মুখমন্ডলের অস্থিগুলিতে ব্যথা।
১০। প্রশ্নঃ আর্জেন্টাম মেটালিকামের পুংজননতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ। বা ধ্বজভঙ্গের ক্ষেত্রে ইহার লক্ষণাবলী বর্ণনা কর। ১২, ১৮
আর্জেন্টাম মেটালিকামের পুংজননতন্ত্রের লক্ষণাবলী:
(i) অভদ্বয়ে থেঁতলিয়ে যাওয়ার ন্যায় ব্যথা।
(ii) কামোত্তেজনা ব্যতীত বীর্যপাত।
(iii) জ্বালাসহ পুনঃপুন মূত্রত্যাগ।
(iv) শরীরের বামদিকে নাতিপ্রবল স্নায়ুশূল যা থেকে উপস্থিত হয়, এ ব্যথা ক্রমশই বৃদ্ধি পায় এবং হঠাৎ থেমে যায়।
(v) স্বরভঙ্গ, স্বরলোপ। কাশিবার সময় কণ্ঠনালীতে ক্ষতের ন্যায় অনুভূতি। হাসলে কাশি শুরু হয় (স্ট্যার্নাম)।
(vi) প্রস্রাব প্রচুর, ঘোলাটে এবং সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত। পুনঃপুন মূত্রত্যাগ।
(vii) সন্ধিস্থলসমূহ বাত, বিশেষত কনুই এবং হাটু। পাগুলি দুর্বল এবং কাঁপতে থাকে, সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় বৃদ্ধি।
১১। প্রশ্ন: আর্জেন্টাম মেটালিকামের গলদেশের লক্ষণাবলী লিখ। আর্জেন্টাম মেটালিকামের গলদেশের লক্ষণাবলী:
(i) ক্ষতবৎ ব্যথাযুক্ত, ধূসর বর্ণবিশিষ্ট জেলির ন্যায় শ্লেষ্মা কাশি দিয়ে বের করে এবং কাশলে গলার মধ্যে ছনছন করে।
(ii) প্রাতঃকালে সহজেই প্রচুর পরিমাণে শ্লেষ্মা নির্গত হয়।
কোনিয়াম মেকুলেটাম
৩। প্রশ্নঃ কোনিয়াম মেকুলেটামের প্রস্তুত প্রণালী লিখ।
প্রস্তুত প্রণালী (Preparation) :
ঔষধের শক্তি ১/১০। মেসারেশন এবং শ্রেণি-সি।
মাদার টিংচার প্রস্তুত: এক হাজার মিলিলিটার মাদার টিংচার প্রস্তুত
করতে প্রয়োজন- সকোনিয়াম মেকুলেটামের টাটকা উদ্ভিদ ১০০ গ্রাম এবং পরিশ্রুত পানি ৪০০ মিলিলিটার, স্ট্রং এলকোহল (তীব্র সুরাসার) ৬৩৭ মিলিলিটার। (টিংচারে এলকোহলের মাত্রা ৬৫% v/v)
শক্তিকরণ: ২০ শক্তি প্রস্তুত করতে ১ ভাগ মাদার টিংচার, ৩ ভাগ পরিশ্রুত পানি এবং ৬ ভাগ এলকোহল প্রয়োজন। ৩০ এবং উচ্চ শক্তিতে এলকোহল ব্যবহার করতে হবে।
৪/ প্রশ্ন ঃ কোনিয়াম মেকুলেটামের ক্রিয়াস্থল লিখ। ২০১৮
কোনিয়াম মেকুলেটামের ক্রিয়াস্থল (Affinities) :
(i) মন (Mind), (ii) মস্তিষ্ক (Brain), (iii) চোখ (Eyes), (iv) রেসপিরেটরী সিস্টেম (Respiratory system), (v) ডাইজেস্টিভ সিস্টেম (Digestive system) (vi) ইউরিনারী সিস্টেম (Urinary system), (vii) চর্ম (Skin), (viii) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গাদি (Extremities) (ix) (Heart), (x) মাংসপেশি (Muscles), (xi) গ্ল্যান্ড (Glands), (xii) পুং ও স্ত্রী অঙ্গ (Male & Female organs)
৫। প্রশ্নঃ কোনিয়াম মেকুলেটামের কারণতত্ত্ব লিখ। কোনিয়াম মেকুলেটামের কারণতত্ত্ব (Aetiology) :
(ক) মূলকারণ (Fandamental cause): সোরা
(খ) উত্তেজক/আনুসঙ্গিক কারণ (Exiting/Accessory/ Auxiliary cause): যৌন উন্মাত্ততা, অতিরিক্ত যৌন ভোগ, অতিরিক্ত কাজ বা পরিশ্রম করা। শীতকাল ও ঠান্ডা আবহাওয়া।
প্রশ্নঃ “অতৃপ্ত যৌন কামনার কারণে উদ্ভুত রোগে কোনিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ”-ব্যাখ্যা কর। ২০১৪, ১৬, ১৮ “অতৃপ্ত যৌন কামনার কারণে উদ্ভুত রোগে কোনিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ”-ব্যাখ্যা
(i) যৌন ক্ষুধা চেপে রাখার কুফল সম্পর্কিত উপসর্গসমূহ।
(ii) যৌন ইচ্ছা সংক্রান্ত স্নায়বিক উত্তেজনা, তৎসহ দুর্বল লিঙ্গোদ্রেক।
(iii) কামেচ্ছায় বৃদ্ধি, যৌনশক্তির হ্রাস।
(iv) কামেচ্ছা চেপে রাখা অথবা চাপা পড়া মাসিক ঋতুস্রাবের কুফল অথবা অতিরিক্ত সম্ভোগের কুফল। প্রস্রাবের পরে প্রদরস্রাব।
(v) সামান্য শারীরিক পরিশ্রমে হাঁপায়, বুকের ভিতর সঙ্কোচন, বুকের ভিতরে ব্যথা।
(vi) উত্তেজনা মানসিক অবসাদ তৈরী করে।
(vii) হতাশ ভীরু, সমাজের প্রতি বিরূপ মনোভাবাপন্ন এবং একাথাকতে ভয়।
(viii) স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, মানসিক পরিশ্রম সহ্য হয় না।
(viii) চিরকুমার, বাল্যবিধবা, প্রবাসী, বিপত্নীক যৌন ক্রিয়া চাপা কারণ।
১৫। প্রশ্ন: কোনিয়াম মেকুলেটামের পুরুষের রোগ লক্ষণাবলী লিখ।
কোনিয়াম মেকুলেটামের পুরুষের রোগ লক্ষণাবলী:
(i) কামেচ্ছায় বৃদ্ধি, যৌনশক্তির হ্রাস।
(ii) যৌন ইচ্ছা সংক্রান্ত স্নায়বিক উত্তেজনা, তৎসহ দুর্বল লিঙ্গোদ্রেক।
(iii) যৌন ক্ষুধা চেপে রাখার কুফল সম্পর্কিত উপসর্গসমূহ।
(iv) অভদ্বয় শক্ত ও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত।
২০/ প্রশ্নঃ কোনিয়াম মেকুলেটামের হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ। ২০১৮
বৃদ্ধিঃ- শুয়ে পড়লে, পাশ ফিরলে অথবা বিছানায় উঠলে, অবিবাহিত জীবনে, ঋতুস্রাবের আগে ও ঋতুস্রাবের সময়ে, ঠান্ডা লাগালে, শারীরিক অথবা মানসিক পরিশ্রমে।
উপশম/হ্রাস :- উপবাস করে থাকলে, অন্ধকারে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঝুলিয়ে রাখলে, নড়াচড়ায় ও চাপে।
১৯। প্রশ্নঃ গ্রন্থি পীড়ায় কোনিয়াম মেকুলেটামের লক্ষণ বর্ণনা কর।
গ্রন্থি পীড়ায় কোনিয়াম মেকুলেটামের লক্ষণঃ
(i) বগলের গ্রন্থির ব্যথা তৎসহ নীচের দিকে বাহু পর্যন্ত অসাড়তা।
আঘাত লাগার পরে কঠিনতা।
(ii) টিউমারসমূহ- কেটে ফেলার মত ব্যথা, রাত্রে বৃদ্ধি।
(iii) চোয়াল, গলা, ঘাড়, বগল কুচকী ইত্যাদি স্থানের গ্ল্যান্ড স্ফীতি।
গ্ল্যান্ডসমূহ পাথরের মত শক্ত।
(iv) মেসেন্ট্রিক গ্ল্যান্ড বিবৃদ্ধি। এবডোমেনের মধ্যে শক্ত টিউমার।
(v) স্তন গ্রন্থি স্ফীতি বা শুকিয়ে যায়।
(vi) অন্ডকোষ স্ফীতি, গ্ল্যান্ড
সমূহের বিশৃঙ্খলাহেতু ধ্বংসের মুখে পরিচালিত হয়।
২১। প্রশ্নঃ কোনিয়াম এর পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ। বা, ইহার অনুপুরক ও ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ। ১৪, ১৬
অনুপূরক/পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধের নাম: ব্যারাইটা কার্ব, আর্নিকা ✓মন্টেনা, আর্সেনিক, বেলেডোনা, ক্যাল্কেরিয়া-আর্স, সাইকুটা, ড্রসেরা,
লাইকোপোডিয়াম, নাক্স-ভম, সোরিনাম,
•ক্রিয়ানাশক ঔষধ: মার্ক-সল, পালসেটিলা।
ক্রিয়াকাল: ৩০ দিন
প্রয়োগকৃত শক্তিঃ ৩০, ২০০, ১৫, ১০, ৫০M, CM
কষ্টিকাম
৪। প্রশ্ন: কষ্টিকামের ক্রিয়াস্থল লিখ। ২০১৮
কষ্টিকামের ক্রিয়াস্থল (Affinities): ব্রেইন (Brain), নার্ভস (Nerves), মাসলস অব ব্লাডার এবং রেসপিরেশন (Muscles of bladder and respiration), ল্যারিংস (Larynx), লিম্বস (Lumbs), মিউকাস মেমব্রেন (Mucous membrane), মুখমন্ডল (Face), চর্ম (Skin), রাইট সাইড (Rigth side)।
৬। প্রশ্ন: কষ্টিকামের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ।
কষ্টিকামের মানসিক লক্ষণাবলী:
(i) শিশু একাকী শয্যায় যেতে চাহে না।
(ii) সামান্য ব্যাপারে শিশু কাঁদতে থাকে।
(iii) বিষন্ন আশাশূন্যতা গভীরভাবে সহানুভূতিসম্পন্ন।
(iv) বহুকাল যাবৎ অন্তরে শোক দুঃখাদি পোষন করার ফলে এবং আকস্মিক আবেগ হেতু রোগের উদ্ভব।
(v) রোগ লক্ষণ সম্বন্ধে চিন্তা করলে বৃদ্ধি বিশেষত: অর্শ সম্বন্ধে।
(vi) রোগের কথা মনে হলে রোগ বৃদ্ধি। রোগী সর্বদাই কোন অমঙ্গলের আশঙ্কা করে।
(vii) কোন প্রশ্ন দ্বিতীয় বার না করলে বুঝতে পারে না। সামান্য শব্দে চমকে উঠে।
কষ্টিকামের নির্দেশক লক্ষনগুলি লিখ। ২০১৪, ১৮ বা, কষ্টিকামের পরিচায়ক লক্ষণাবলি লিখ। ১১
কষ্টিকামের পরিচায়ক লক্ষণাবলি:
(i) বিষণ্ণ আশাশূন্যতা গভীরভাবে সহানুভূতিসম্পন্ন। বহুকাল যাবৎ অন্তরে শোক দুঃখাদি পোষন করার ফলে এবং আকস্মিক আবেগ হেতু রোগের উদ্ভব।
(ii) ক্রনিক অটাইটিস মিডিয়া- মধ্যবর্ণ আক্রমনকারী পুরাতন কান পাকা, কানে খোল সঞ্চিত হয়।
(iii) ক্যাটার্যাক্ট দৃষ্টিশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত হয়, মনে হয় যেন চোখের সম্মুখে একটি ফিল্মি বিস্তৃত রয়েছে।
(iv) কপাল এবং মস্তিষ্কের মধ্যস্থানে একটি শূন্যময় স্থান রয়েছে এরূপ অনুভূতি।
(v) পাকস্থলীর মধ্যে যেন চুন (পানিতে সিক্ত হয়ে) জ্বালিতেছে এরূপ বোধ হয়।
(vi) তাজা মাংস খাবার পর বৃদ্ধি, কষা মাংসে বেশি অরুচি।
(vii) রাত্রিকালে প্রদর স্রাব, তৎসহ অত্যন্ত দুর্বলতা (নেট্রাম মিউর)
(viii) রাত্রিকালে ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে, কেবলমাত্র দিবসে স্রাব চলিতে থাকে। [সাইক্লেমেন, পালস)
(ix) কাশি, তৎসহ উরুদেশে ব্যথা। বিশেষত বাম উরুতে, সন্ধ্যায় বৃদ্ধি, শীতল পানি পান করলে উপশম, শয্যার গরমে বৃদ্ধি।
(x) চর্মের ভাঁজের মধ্যে কানের পশ্চাতাগে উরুদ্বয়ের মধ্যবর্তী স্থানে হাজা। আঁচিলগুলি বৃহৎ, খাঁজকাটা সহজেই রক্তস্রাবী, আঙ্গুলগুলির অগ্রভাগের এবং নাসিকার উপর আঁচিল।
১৩। প্রশ্নঃ কষ্টিকামের পাকস্থলীর লক্ষণাবলী লিখ।
কষ্টিকামের পাকস্থলীর লক্ষণাবলী:
(i) চর্বির ন্যায় স্বাদ, মিষ্টি দ্রবাদিতে স্পৃহা থাকে না।
(ii) পাকস্থলীর মধ্যে যেন চুন (পানিতে সিক্ত হয়ে) জ্বলিতেছে এরূপ বোধ হয়।
(iii) তাজা মাংস খাবার পর বৃদ্ধি, কষা মাংসে বেশি অরুচি।
(iv) একটি গোলাকার বল গলার উপরের দিকে ঠেলে আসছে এরূপ অনুভূতি।
(v) অম্লযুক্ত উপসর্গসহ ক্ষুধামান্দ্য।
১৪। প্রশ্নঃ কষ্টিকামের মলের লক্ষণাবলী লিখ।
কষ্টিকামের মলের লক্ষণাবলীঃ
(i) নরম ও স্বল্প। শক্ত, শ্লেষ্মা জড়িত, চর্বির মত চক্চকে, মলের আকার ক্ষুদ্রাকার, মল ত্যাগকালে অত্যন্ত কোঁথ দিতে হয় বা কেবলমাত্র দাঁড়ানো অবস্থায় মলত্যাগ করতে হয়।
(ii) মলদ্বারে চুলকানি। সরলান্তের আংশিক পক্ষাঘাত।
(iii) সরলাস্ত্রে ক্ষতবৎ ব্যথা এবং জ্বলন। নালী ঘা এবং অর্শের বৃহৎ বলিসমূহ।
১৫। প্রশ্ন: কষ্টিকামের প্রস্রাবের লক্ষণাবলী লিখ।
কষ্টিকামের প্রস্রাবের লক্ষণাবলী:
(i) কাশিবার এবং হাসিবার সময় অসাড়ে মূত্র ত্যাগ (পালস)।
(ii) অতি ধীরে নির্গত হয় এবং কখন কখন মূত্রাবরোধ।
(iii) প্রস্রাব করার সময় অনুভূতির অভাব।
১৬। প্রশ্নঃ স্ত্রীরোগে কষ্টিকামের লক্ষণসমূহ বর্ণনা কর। ১১ বা, কষ্টিকামের স্ত্রীজনন্দ্রিয়ের লক্ষণাবলী লিখ।
কষ্টিকামের স্ত্রীজনন্দ্রিয়ের লক্ষণাবলী: (i) প্রসবকালে জরায়ুর নিষ্ক্রিয় অবস্থা। (ii) রাত্রীকালে ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে, কেবলমাত্র দিবসে স্রাব চলিতে থাকে। (iii) রাত্রিকালে প্রদর স্রাব, তৎসহ অত্যন্ত দুর্বলতা [নেট্রাম মিউর) (iv) ঋতু বিলম্বে আরম্ভ হয় এবং স্রাব শেষ হতে বিলম্ব ঘটে।
(v) বিষণ্ণ আশাশূন্যতা গভীরভাবে সহানুভূতিসম্পন্ন।
(vi) বহুকাল যাবৎ অন্তরে শোক দুঃখাদি পোষণ করার ফলে এবং আকস্মিক আবেগ হেতু রোগের উদ্ভব।
(vii) কাশি, তৎসহ উরুদেশে ব্যথা। বিশেষত বাম উরুতে, সন্ধ্যায় বৃদ্ধি, শীতল পানি পান করলে উপশম, শয্যার গরমে বৃদ্ধি।
(viii) কাশিবার এবং হাসিবার সময় অসাড়ে মূত্র ত্যাগ (পালস)। ঋতুকালীন পেটে ব্যথা, যৌন সংগমে ঘৃণা, স্তনদ্বয়ে শুকিয়ে যায়। পিউবার্টি- প্রথম ঋতুস্রাব দেরিতে শুরু হয়। গর্ভস্থ শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয় না। প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধযুক্ত প্রদর স্রাব।
১৭। প্রশ্ন: কষ্টিকামের শ্বাসতন্ত্রে লক্ষণাবলী লিখ। বা, কষ্টিকামের শ্বাসতন্ত্রের ব্যবহার লিখ। বা ঠিকা লিখ- কাশিতে কস্টিকাম। ২০১৬
কষ্টিকামের শ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী: (i) স্বরভঙ্গ, তৎসহ বক্ষস্থলে ব্যথা,
স্বরলোপ। (ii) ল্যারিনজাইটিস- শ্বাসনালীর উর্ধ্বভাগ ক্ষতবৎ ব্যথা।
(iii) শ্লেষ্মা স্বল্প, ইহা গলাধঃকরণ করা ভিন্ন অন্য কোন উপায় নাই।
(iv) কাশি, তৎসহ উরুদেশে ব্যথা। বিশেষত বাম উরুতে, সন্ধ্যায় বৃদ্ধি, শীতল পানি পান করলে উপশম, শয্যার গরমে বৃদ্ধি।
(v) কণ্ঠনালীর মধ্যে নিম্নদিকে ক্ষতবৎ ব্যথাদায়ক একটি রেখা থাকে।
(vi) বক্ষের অস্থির নিম্নে সঞ্চিত শ্লেষ্মা, কাশি পায় যেটি সে ততটা ভাল রকমে বের হতে পারে না।
(vii) স্বর প্রতিধ্বনিত হয়। নিজের স্বর কানের মধ্যে গর্জন করে এবং বিরক্তিকর হয়ে উঠে।
(viii) গায়ক এবং বক্তাগনের স্বর সংক্রান্ত কষ্ট।
প্রশ্নঃ কস্টিকামের উৎস কি? পক্ষাঘাতে এর লক্ষণাবলি লিখ। কষ্টিকামের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে লক্ষণাবলী। লিখ। ১৪, ১৮
কস্টিকামের উৎস: কস্টিকাম এর উৎস খনিজ।
পক্ষাঘাতে কস্টিকামের লক্ষণাবলী:
(i) দুইটি স্কন্ধের মধ্যে আড়ষ্টভাগ। গ্রীবার পশ্চাৎ ভাগে ঈষৎ ব্যথা।
(ii) প্রত্যঙ্গাদি- বামদিকের সায়েটিকা, তৎসহ অসাড়তা।
(iii) শরীরের কোন বিশিষ্ট স্থানের পক্ষাঘাত, হাতে এবং বাহুতে ঈষৎ ছেদনবৎ ব্যথা।
(iv) ভারীবোধ এবং দৌর্বল্য। সন্ধিস্থলগুলিতে ছিঁড়ে ফেলার ন্যায় ব্যথা।
(v) বাহুর সামনের দিকে এবং হাতের পেশীসমূহের দৃঢ়তার অভাব।
(vi) অসাড়তা, হাতে অনুভূতির অভাব। পেশীবন্ধণীগুলি সঙ্কুচিত।
(vii) জঙ্ঘা ও পদের মধ্যবর্তী সন্ধিস্থল দুর্বল। হাটিতে গেলেই কষ্ট।
(viii) অঙ্গগুলিতে বাতজনিত ছেদবৎ যন্ত্রণা, উত্তাপে বিশেষতঃ শয্যার গরমে উপশম সন্ধিগুলিতে জ্বলন।
(ix) হাটিতে শিখা বিষয়ে কাল বিলম্ব। হাটিতে টলমল করে এবং সহজেই পড়ে যায়।
(x) রাত্রে পাগুলি চঞ্চল হয়ে উঠে। হাটুতে কটমট শব্দ করে এবং টানভাব। হাঁটুর গর্তগুলিতে আড়ষ্টতা। পায়ের পৃষ্ঠদেশে চুলকানি।
১৯। প্রশ্ন: আঁচিলে কষ্টিকামের প্রয়োগ লক্ষণ বর্ণনা কর। ১১ বা, কষ্টিকামের চর্মের লক্ষণাবলী লিখ।
আঁচিলে কষ্টিকামের প্রয়োগ লক্ষণ/কষ্টিকামের চর্মের লক্ষণাবলী:
(i) চর্মের ভাঁজের মধ্যে কানের পশ্চাদ্ভাগে উরুদ্বয়ের মধ্যবর্তী স্থানে হাজা।
(ii) আঁচিলগুলি বৃহৎ, খাঁজকাটা সহজেই রক্তস্রাবী, আঙ্গুলগুলির অগ্রভাগের এবং নাসিকার উপর আঁচিল।
(iii) পুরাতন দগ্ধস্থান যা সম্পূর্ণ ভালো হয় না এবং দন্ধীভূত হবার পর যাবতীয় কুফল।
(iv) দগ্ধ হবার পর যন্ত্রনা। ক্ষতচিহ্নগুলি তাজা হয়ে উঠে,
(v) পুরাতন আঘাতপ্রাপ্ত স্থানগুলি নুতন করে ফুলে যায়।
(vi) দন্তোগমকালে গাত্রত্বক হাজাযুক্ত হয়ে উঠে।
২০। প্রশ্ন: কষ্টিকামের নিদ্রার লক্ষণাবলী লিখ।
কষ্টিকামের নিদ্রার লক্ষণাবলী:
নিদ্রা: অত্যন্ত তন্দ্রালুতা, জেগে থাকলে প্রায় বললেই হয়। রাত্রে অনিদ্রা, তৎসহ গাত্রত্বক শুষ্ক এবং উতপ্ত, অস্থিরতা।
২১। প্রশ্ন: কস্টিকামের হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ। ১৪, ১৮
কস্টিকামের হ্রাস-বৃদ্ধি:
হ্রাস: আর্দ্র এবং জলসিক্ত আবহাওয়ায়, উত্তাপে, ঠান্ডা পানি পানে, বিছানার গরমে।
বৃদ্ধিঃ শুষ্ক ঠান্ডা বাতাসে, পরিষ্কার সুন্দর আবহাওয়ায়, ডান দিকে, বৃষ্টিতে ভিজিলে, ঋতু পরিবর্তনে।
২২। প্রশ্ন: কষ্টিকাম এর পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, অনুপূরক ঔষধ, শত্রুভাবাপন্ন ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
অনুপূরক ঔষধের নাম: পেট্রোলিয়াম, কলোসিন্থ, কার্বো-ভেজ।
পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ : এন্টিম টার্ট, অরাম ট্রিফাই, কলোসিন্থ,
ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, গুয়েকাম, কেলি আয়োড, লাইকোপডিয়াম, নাক্স- ভমিকা, পালসেটিলা, রাস-টক্স, রুটা, সিপিয়া, সাইলিসিয়া, সালফার।
শত্রুভাবাপন্ন ঔষধ : এ্যাসেটিক এসিড, কফিয়া, ফসফরাস।
ক্রিয়ানাশক ঔষধ : এসাফ, কলোসিন্থ, ডালকামারা, ওয়েকাম, নাক্স- ভমিকা।
ক্রিয়াকাল: ৫০ দিন।
প্রয়োগকৃত শক্তিঃ ৩য়- ৩০, ২০০, ১৫, ১০, ৫ом, СМ
কুপ্রাম মেটালিকাম
৩। প্রশ্নঃ কুপ্রাম মেটালিকামের ক্রিয়াস্থল লিখ। ২০১৮ কুর্পার্ম মেটালিকামের ক্রিয়াস্থল (Affinities) ?
নার্ভস (Nerves), সেরিব্রোস্পাইনাল এক্সিস (Cerebrospinal axis), ডাইজেস্টিভ ট্রাক্ট (Digestive Tract). মাসলস (Muscles), ব্লাড (Blood), এবডোমেনের ইপিগ্যাস্টিক (Epigastrium Abdomen), শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি, সঞ্চালনশীল অঙ্গ, কিডনী।
৪। প্রশ্ন: কুপ্রাম মেটালিকামের রোগসমূহ/প্রয়োগক্ষেত্র লিখ।
কুপ্রাম মেটালিকামের রোগসমূহ/প্রয়োগক্ষেত্র (Disease) :
কলেরা, মূর্ছা, মৃগী, মেনিঞ্জাইটিস, স্নায়ুশূল, হৃদশূল, মস্তিষ্কে পানি সঞ্চয়, ক্রিমি, ঘুংড়ি কাশি, হুপিং কাশি, ফুসফুস-প্রদাহ, পক্ষাঘাত, হাম, বসন্ত ইত্যাদি।
৫। প্রশ্ন: কুপ্রাম মেটালিকামের উৎস কি? মানসিক লক্ষণগুলি লিখ।১৮
উৎস: কুপ্রাম মেটালিকামের উৎস খনিজ।
মানসিক লক্ষণাবলী:
(i) বদ্ধ ধারনাসমূহ, ঈর্ষাপরায়ন ও বিষন্ন। যে সকল কথা বলা উচিত নয়, সেগুলিই যে বলে।
(ii) ভয় পায়। শূন্যতার অনুভূতি।
(ii) হিংশুটে, বিষণ্ণ, অস্থিরতা।
(ii) বৃদ্ধরা শিশুর মত আচরণ করে। কোন উত্তর দেয়ার আগে চিন্তা করে।
(ii) উম্মাদ, বিকারে ভীষণ চিৎকার করে।
৫। প্রশ্নঃ কুপ্রাম মেটালিকামের পরিচায়ক লক্ষণগুলি লিখ। ০৯, ১০ বাকুলাম মেটালিকামের পরিচায়ক/নির্দেশক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী লিখ। ১৮
কুপ্রাম মেটালিকামের পরিচায়ক/নির্দেশক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী :
(i) মেনিনজাইটিস- মাথার উপর যেন ঠান্ডা পানি ঢালা হচ্ছে এই জাতীয় অনুভূতি।
(ii) দৃষ্টি স্থির, কটমট করে চেয়ে থাকে, কোটর গর্ত, চকচক করেও চোখগুলি উপরদিকে উঠে যায়।
(iii) বিকৃত, ফ্যাকাশে, নীলচে বর্ণের, তৎসহ ঠোট দুটি নীলবর্ণ।
(iv) সাপের মত সর্বদা জিহ্বা বের করে ও ভিতরে ঢুকিয়ে নেয়। (ল্যাকেসিস)
(v) বমি বমি ভাব, ঠান্ডা পানি পানে উপশম, তৎসহ শূলব্যথা, উদরাময়, আক্ষেপ, কড়া ধাতব স্বাদ। (রাসটক্স)
(vi) সাধারণতঃ খিলধরা ঋতুস্রাবের আগে, ঋতুস্রাবের সময় অথবা ঋতুস্রাব চাপা পড়ার পর দেখা দেয়।
(vii) হৃদশূল। নাড়ীরগতি মন্থর, অথবা কঠিন, পূর্ণ ও দ্রুত।
৬। প্রশ্নঃ কুপ্রাম মেটালিকামের মাথার লক্ষণাবলী লিখ। কুপ্রাম মেটালিকামের মাথার লক্ষণাবলী:
(i) বদ্ধ ধারনাসমূহ, ঈর্ষাপরায়ন ও বিষন্ন। যে সকল কথা বলা উচিত নয়, সেগুলিই যে বলে।
(ii) ভয় পায়। শূন্যতার অনুভূতি।
(iii) মাথায় বেগুনি বর্ণের অথবা লাল বর্ণের স্ফীতি তৎসহ আক্ষেপ।
(iv) মস্তিষ্ক থেঁৎলিয়ে যাবার মত ব্যথা এবং চোখ ঘোরালে ঐ জাতীয় ব্যথা।
১১ প্রশ্নঃ ও কলেরা রোগে কুপ্রাম মেটালিকামের ব্যবহার লিখ। ০৯, ১০ বা, কুপ্রাম মেটালিকামের পরিপাকতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ।
কুপ্রাম মেটালিকামের পরিপাকতন্ত্রের লক্ষণাবলী:
(i) আক্ষেপের আগে হিক্কা।
(ii) বমি বমিভাব বমি, ঠান্ডা পানি পানে উপশম, তৎসহ শূলব্যথা, উদরাময়, আক্ষেপ, ধাতব স্বাদ। (রাসটক্স)
(iii) যখন রোগী কোন তরল বস্তু পান করে, ঐ তরল পদার্থ গুড়গুড় শব্দ করে নিচে নামে (লরোসারেসাম)।
(iv) ঠান্ডা পানি পানের তীব্র ইচ্ছা।
উদর:
(i) এবডোমেনে টান, উত্তপ্ত ও স্পর্শকাতর, সঙ্কোচন বৎ।
(ii) পেটের অভ্যন্তরের থাকা অর্গানসমূহের স্নায়ুশূল।
(iii) শূলব্যথা – তীব্র ও সবিরাম প্রকৃতির। অস্ত্রাবরোধ।
মলঃ
(i) কালো যন্ত্রনাদায়ক, রক্তযুক্ত তৎসহ কোঁথ ও দুর্বলতা।
(ii) কলেরা, তৎসহ উদরের ও পায়ের ডিমের খিলধরা।
১২। প্রশ্ন: কুপ্রাম মেটালিকামের স্ত্রীরোগ লক্ষণাবলী লিখ।
কুপ্রাম মেটালিকামের স্ত্রীরোগ লক্ষণাবলী:
(i) ঋতুস্রাব নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে, বাধাপ্রাপ্ত।
(ii) খিলধরা, বুক পর্যন্ত প্রসারিত হয়।
(iii) সাধারণতঃ খিলধরা ঋতুস্রাবের আগে, ঋতুস্রাবের সময় অথবা ঋতুস্রাব চাপা পড়ার পর দেখা দেয়।
(iv) পায়ের ঘাম বসে গিয়েও দেখা দেয়। (সাইলেসিয়া)।
(v) রক্ত যেন টগবগ করে ফুটছে, হৃদকম্প। ক্লোরোসিস। ব্যথার পরে।
(ii) পায়ের ডিমে ও পায়ের তলায় খিলধরা।
(iii) মৃগীরোগ- হাটু থেকে সঞ্চারণশীল সুড়সুড় অনুভূতি শুরু হয়।
(iv) হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিদ্বয় ভিতরের দিকে মুচড়িয়ে থাকে।
(v) ক্ষনিক আক্ষেপ, হাতের ও পায়ের আঙ্গুল থেকে শুরু হয়।
১৬। প্রশ্নঃ তড়কা রোগে কুপ্রাম মেটালিকাম ও স্ট্রামোনিয়ামের তুলনা কর। ০৯, ১০
তড়কা রোগে কুপ্রাম মেটালিকামের লক্ষণাবলী:
(i) ঝাঁকুনি, পেশীর মোচড়ানী। হাত দুটি ঠান্ডা। অঙ্গগুলি পরিশ্রান্ত।
(ii) পায়ের ডিমে ও পায়ের তলায় খিলধরা।
(iii) মৃগীরোগ- হাটু থেকে সঞ্চরণশীল সুড়সুড় অনুভূতি শুরু হয়।
(iv) হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিদ্বয় ভিতরের দিকে মুচড়িয়ে থাকে।
(v) ক্ষনিক আক্ষেপ, হাতের ও পায়ের আঙ্গুল থেকে শুরু হয়।
তড়কা রোগে স্ট্রামোনিয়ামের লক্ষণাবলী:
(i) অঙ্গ-প্রতঙ্গ সুন্দরভাবে ও তালে তালে হাত পা নাড়ে।
(ii) উর্ধাংগের আক্ষেপ এবং বিচ্যুত পেশীসমূহের আক্ষেপ নর্তন রোগ।
(iii) আংশিক আক্ষেপ, অবিরত স্থান পরিবর্তন করে। বাম জানুতে প্রবল ব্যথা।
(iv) বন্ধনীসমূহ কাঁপে ও মোচড়ায় টলমল করে পদক্ষেপ করে।
১৭। প্রশ্ন: কুপ্রাম মেটালিকামের চর্মের লক্ষণাবলী লিখ।
কুপ্রাম মেটালিকামের চর্মের লক্ষণাবলী:
(i) নীলচে ও অনেকটা মার্বেল পাথরের মত দেখতে।
(ii) ক্ষতসমূহ চুলকানিযুক্ত, সন্ধিস্থানের ভাঁজের স্থানে ফুস্কুরি।
(iii) পুরাতন সোরিয়াসিস ও কুষ্ঠ (হিউজেস)।
১৮। প্রশ্নঃ কুপ্রাম মেটালিকামের ঘুমের লক্ষণাবলী লিখ। কুপ্রাম মেটালিকামের ঘুমের লক্ষণাবলী:
(i) গভীর নিদ্রা, তৎসহ শরীরের ধাক্কা লাগে।
(ii) ঘুমের সময় অবিরাম পেটের ভিতর গুড় গুড় শব্দ।
১৯। প্রশ্নঃ কুপ্রাম মেটালিকামের হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ। ২০১৮
কুপ্রাম মেটালিকামের হ্রাস-বৃদ্ধিঃ
হ্রাস: ঘর্মস্রাবকালে, শীতল পানি পানে, শক্ত করে বাধলে, স্থির থাকলে, মলত্যাগে।
বৃদ্ধি: ঋতুকালের পূর্বে, বমি এবং স্পর্শে, অমাবশ্যায়, চর্মরোগ চাপা দিলে, রাত্রিকালে।
২০। প্রশ্ন: কুপ্রাম মেটালিকাম এর পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, অনুপূরক ঔষধ, শত্রুভাবাপন্ন ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
অনুপূরক ঔষধের নাম: ক্যাল্কেরিয়া কার্ব।
পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ: আর্সেনিক এলবাম, এপিস মেল, বেলেডোনা, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, কষ্টিকাম, সাইকুটা, হায়োসিয়েমাস, কেলি নাই, পালসেটিলা, স্ট্রামোনিয়াম, ভিরেট্রাম এলবাম, জিঙ্কাম।
ক্রিয়ানাশক ঔষধ: বেলেডোনা, ক্যাফর, সাইকুটা, চায়না, ককিউলাস, কোনিয়াম, ডালকামারা, হিপার সালফ, ইপিকাক, মার্ক-সল, নাক্স- ভমিকা, পালসেটিলা, ভিরেট্রাম এলবাম।
ক্রিয়াকাল: ৪০-৫০ দিন।
প্রয়োগকৃত শক্তি: ৩০, ২০০, ১০, ১০, ৫০M, см
গ্র্যাফাইটিস
৩। প্রশ্ন: গ্র্যাফাইটিসের কারণতত্ত্ব লিখ।
গ্র্যাফাইটিসের কারণতত্ত্ব (Aetiology):
(ক) মূলকারণ (Fandamental Cause): এন্টিসোরিক, এন্টিসাইকোটিক, এন্টিসিফিলিটিক। টিউবারকুলার ও ক্যান্সারাস ডায়াথেসিস।
(খ) উত্তেজক/আনুসঙ্গিক কারণ (Exictiting/Accessory/
Auxiliary cause): মানসিক আঘাত, দুঃখ, শোক ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের রোগ চাপা পড়ার কারণে।
৪। প্রশ্ন: গ্র্যাফাইটিসের গঠনগত/ধাতুগত বৈশিষ্ট্য লিখ। বা, গ্র্যাফাইটিসের ধাতুগত লক্ষণ লিখ।
গ্র্যাফাইটিসের গঠনগত/ধাতুগত বৈশিষ্ট্য (Constitution) :
এপিয়ারেন্স (Appearance): অলস, মোটা ও সুন্দরী মহিলা, যাদের দেহের নিদিষ্ট স্থানে ফ্যাট জমে এবং এনিমিক মুখমন্ডল, চুল পড়ে, অমসৃণ চর্ম, ভঙ্গুর নখ, অত্যধিক কোষ্ঠবদ্ধতা এবং দেরীতে ঋতুস্রাব হয় তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। Over Sensitiveness : প্রচন্ড শীতকাতর ব্যক্তি।
প্রশ্ন: গ্র্যাফাইটিসের ক্রিয়াস্থল লিখ। ১০, ১২, ১৫, ১৭
গ্র্যাফাইটিসের ক্রিয়াস্থল (Affinities):
মন (Mind), সেক্স অর্গান (Sex organs), চর্ম (Skin). মিউকাস মেমব্রেন (Mucous membrane), পুষ্টি (Nutrition), সাকুলেশন (Circulation), গ্ল্যান্ডস (Glands), চোখসমূহ (Eyes)
৭। প্রশ্নঃ এ্যাফাইটিসের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ।
এ্যাফাইটিসের মানসিক লক্ষণাবলী:
(১) হঠাৎ করে চমকে উঠার প্রবণতা।
(ii) ভীরু- কোন কিছু সিদ্ধান্ত করতে পারে না।
(iii) কাজ করার ইচ্ছার অভাব।
(iv) বসে কাজ করার সময় অস্থিরতা ও চঞ্চলতা।
(v) গান-বাজনা শুনলে কান্না পায়।
(vi) আতঙ্কগ্রস্ত স্বভাব, হতাশা ও সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষমতা।
৮। প্রশ্নঃ গ্র্যাফাইটিসের উৎস কি? ইহার পরিচায়ক লক্ষলাবলি বর্ণনা কর। ১০, ১২, ১৫, ১৭ বা, গ্র্যাফাইটিসের চরিত্রগত/পরিচায়ক লক্ষণ বর্ণনা কর। ০৮, ০৯
গ্র্যাফাইটিসের উৎস: খনিজ।
গ্র্যাফাইটিসের নির্দেশক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী:
(1) আতঙ্কগ্রস্ত স্বভাব, হতাশা ও সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষমতা। গান-বাজনা • শুনলে কান্না পায়।
(ii) মাথার চুলযুক্ত অংশে আর্দ্র ও চুলকানিযুক্ত উদ্ভেদ, উদ্ভেদগুলি থেকে পঁচা দূর্গন্ধ বেরিয়ে থাকে।
(iii) চোখ উঠা, তৎসহ কৃত্রিম আলোক সহ্য হয় না।
(iv) গোলযোগের ভিতর ভাল শুনে কিন্তু নিরব স্থানে শুনতে পায় না।
(v) মাংসে অনিচ্ছা, মিষ্টি খাবারে বমি আসে। গরম পানীয় অপচ্ছন্দ।
(vi) মস্তিষ্কের রক্তাধিক্য তৎসহ মুখমন্ডল রক্তিমাভ ও নাক দিয়ে রক্তস্রাব এবং স্ফীতি পেটে বায়ু সঞ্চয়।
(vii) জ্বালাকর অর্শ। সরলান্ত্রের স্থানচ্যুতি, উদরাময়, বাদামীবর্ণের তরল মল, মলের সঙ্গে অজীর্ণ খাদ্যবস্তুযুক্ত মিশ্রিত থাকে, তীব্র টক দূর্গন্ধযুক্ত।
১৫। প্রশ্ন: গ্র্যাফাইটিসের পরিপাকতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ।বা, পাকস্থলী পীড়ায় গ্র্যাফাইটিসের ব্যবহার লিখ। ০৯
গ্র্যাফাইটিসের পরিপাকতন্ত্রের লক্ষণাবলী/ব্যবহার:
(i) মাংসের অনিচ্ছা। মিষ্টি খাবারে বমি আসে। গরম পানীয় অপচ্ছন্দ।
(ii) প্রতিবার আহারের সময় বমি-বমিভাব ও বমি।
(iii) ঋতুকালে সকালে বমি-বমিভাব।
(iv) পাকস্থলীতে চাপবোধ এবং ভিতর জ্বালা করে এর ফলে ক্ষুধা পায়।
(v) ঢেকুর তুলতে কষ্ট হয়। পাকস্থলীর ভিতর সঙ্কোচনের অনুভূতি।
পাকস্থলীর ব্যথা আহারে, গরম পানীয় বিশেষ করে গরম দুধে ও শুয়ে পড়লে সাময়িকভাবে উপশম হয়।
এবডোমেন (উদর):
(i) তলপেটের বমি হবার মত অনুভূতি।
(ii) তলপেটের ভিতর পূর্ণতার ও কঠিনতার অনুভূতি, যেন মনে হয় পেটের ভিতর কোন স্থানে বায়ু জমে আছে।
(iii) পরিহিত জামা-কাপড় ঢিলা করতে বাধ্য হয়।
(iv) তলপেটের গোলাকার অংশে বায়ু ব্যথাযুক্তভাবে চাপ দেয়। কুঁচকি স্থান স্পর্শাধিক্যযুক্ত এবং স্ফীতি।
(vii) রোগী যেদিকে চেপে শুয়ে থাকে, তার বিপরীত দিকে বায়ু জমে ব্যথা হয়। বায়ু নির্গমনের সময় শূল ব্যথা।
(viii) পুরাতন উদরাময়-মল বাদামীবর্ণের, তরল, অজীর্ণ খাদ্যবস্তুযুক্ত,
দুর্গন্ধযুক্ত। তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু নির্গমন হয়।
মল : (i) কোষ্ঠকাঠিন্য, মল বৃহৎ, কষ্টকর, গুটলে প্রকৃতির, যা শ্লেষ্মা দ্বারা সংযুক্ত থাকে।
(ii) জ্বালাকর অর্শ। সরলান্ত্রের স্থানচ্যুতি, উদরাময়, বাদামীবর্ণের তরল মল, মলের সঙ্গে অজীর্ণ খাদ্যবস্তুযুক্ত মিশ্রিত থাকে, তীব্র, দুর্গন্ধযুক্ত, টক গন্ধ।
(iii) মলত্যাগের সময় মলদ্বারে ব্যথা, টাটানি ব্যথা চুলকায়।
(iv) পিন্ডের মত মল শ্লেষ্মা দিয়ে সংযুক্ত থাকে। সরলান্ত্রের শিরাস্ফীতি।
(v) মলদ্বার ফাঁটা। (র্যাটানহিয়া, পিয়োনিয়া)
১৭। প্রশ্নঃ স্ত্রীরোগে গ্র্যাফাইটিসের লক্ষণাবলী লিখ। ০৯, ১০ বা, গ্র্যাফাইটিসের স্ত্রীরোগ লক্ষণাবলী লিখ।
স্ত্রীরোগে গ্র্যাফাইটিসের লক্ষণাবলী:
(i) ঋতুস্রাব অত্যন্ত দেরীতে আরম্ভ, তৎসহ কোষ্ঠকাঠিন্য, স্রাব ফ্যাকাশে ও অল্প তৎসহ পেটের উপরের অংশে ছিঁড়ে ফেলার মত ব্যথা ও ঋতুস্রাবের আগে চুলকানি।
(ii) ঋতুস্রাবকালে কাশি, সর্দি, স্বরভঙ্গ, ঘাম ও সকালে বমি-বমিভাব দেখা দেয়।
(iii) প্রদরস্রাব, ফ্যাকাশে, পাতলা, প্রচুর, সাদাবর্ণের, হাজাকর তৎসহ পিঠের দুর্বলতা।
(iv) স্তনগ্রন্থি স্ফীত ও কঠিন। ওভারী, জরায়ু ও স্তনগ্রন্থির কঠিনতা।
(vi) স্তনের বোটায় ক্ষত, ফাঁটা-ফাঁটা ও ফোস্কাযুক্ত।
(vii) সঙ্গমে পরিপূর্ণ অনিচ্ছা বা বিরক্তি।
১৮। প্রশ্ন: গ্র্যাফাইটিসের পুংজননতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ।
পুরুষের রোগ: যৌনক্রিয়া বিষয়ে দুর্বলতা, তৎসহ বর্ধিত কামেচ্ছা, সঙ্গমে অনিচ্ছা, দ্রুত বীর্যস্থলন অথবা মোটেও বীর্য নির্গত হয় না, যৌনাঙ্গের উপর দদ্রজাতীয় উদ্ভেদ।
১৯। প্রশ্ন: গ্র্যাফাইটিসের শ্বাস-প্রশ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ। গ্র্যাফাইটিসের শ্বাস-প্রশ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী:
(i) বুকের ভিতর সংকোচনের অনুভূতি, শ্বাসরুদ্ধ করার ন্যায় রোগাক্রমন, রোগী ঘুম থেকে জেগে উঠে, অবশ্যই কিছু আহার করতে হয়।
(ii) বুকের মাঝখানে ব্যথা, তৎসহ কাশি, চেঁচে ফেলার মত অনুভূতি ও টাটানি ব্যথা।
(iii) পুরাতন স্বরভঙ্গ তৎসহ চর্মের উপসর্গসমূহ।
(iv) স্বরতন্ত্রের কাজ নিজের আয়ত্বের বাইরে, গান করার আগে স্বরভঙ্গ।
২০। প্রশ্ন: গ্র্যাফাইটিসের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী লিখ।
গ্র্যাফাইটিসের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী:
(i) ঘাড়ে, কাঁধে, পিঠে ও অঙ্গসমূহ ব্যথা।
(ii) কাশেরুকার ব্যথা। কোমরে ব্যথা তৎসহ প্রচন্ড দুর্বলতা।
(iii) দুটি উরুস্থানের মধ্যবর্তী অংশ ক্ষত হয়।
(iv) বাম হাতের অসাড়তা, বাহুদ্বয় যেন ঘুমিয়ে রয়েছে এই জাতীয় অনুভূতি।
(v) হাতের আঙ্গুলের নখগুলি পুরা কালো ও খসখসে।
(vi) নখের নিচের অংশ প্রদাহিত। নিম্নাঙ্গের শোথ।
(vii) পায়ের আঙ্গুলের নখগুলি বিকৃত। পায়ের আঙ্গুলের আড়ষ্টতা ও সঙ্কোচন। নখগুলি ভঙ্গুর। নখগুলি বিকৃতি গঠন, ব্যথাদায়ক টাটানি ব্যাথা, পুরু ও খর্বাকৃতি।
(viii) আঙ্গুলের প্রান্তভাগ ফাটা।
(ix) পায়ে দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম।
২১ প্রশ্ন: গ্র্যাফাইটিসের চর্মের লক্ষণাবলী লিখ। বা, চর্মরোগে ইহার লক্ষণাবলী লিখ। ১২, ১৫,১৭ গ্র্যাফাইটিসের চর্মের লক্ষণাবলী:
(i) চর্ম খসখসে শক্ত, চর্মের যে অংশে একজিমা হয় না ঐ অংশ সর্বদা শুষ্ক থাকে।
(iii) ফুস্কুড়ি ও ব্রন। উদ্ভেদসমূহ, চটচটে রস গড়িয়ে আসে।
(iv) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ভাঁজ হওয়ার স্থান, কুঁচকির ভাঁজে, ঘাড়ের ভাঁজে ও কানের পিছনের অংশ হেজে যায়।
(v) অস্বাস্থ্যকর চর্ম, সামান্য আঘাতে পুঁজোৎপত্তি।
(vi) ক্ষত স্থান থেকে আঠার মত রস বেরিয়ে থাকে, রস পাতলা ও চটচটে।
(vii) গ্রন্থিসমূহের স্ফীতি ও কঠিনতা। গেঁটে বাতজনিত গুটিসমূহ।
(viii) স্তনের বোটা, মুখগহবরে, পায়ের দুইটি আঙ্গুলের মধ্যবর্তীস্থান ও মলদ্বারের ফাঁটাসমূহ। পায়ের পাতা স্ফীতি।
২২। প্রশ্নঃ চর্ম রোগে পেট্রোলিয়াম ও গ্র্যাফাইটিস এর তুলনা কর। ০৮ বা, গ্র্যাফাইটিস ও পেট্রোলিয়ামের চর্মরোগের তুলনামূলক লক্ষণগুলি লিখ।
চর্ম রোগে পেট্রোলিয়াম ও গ্র্যাফাইটিস এর তুলনা:
চর্ম রোগে পেট্রোলিয়াম: (i) চর্মে রাত্রে চুলকানি।
(ii) শীতস্ফোটিক, আর্দ্র, চুলকায় ও জ্বালাকরে।
(iii) শয্যা-ক্ষত। চামড়া শুষ্ক, সঙ্কুচিত, অত্যন্ত অনুভূতি প্রবণ, খসখসে ও ফাটাসমূহ, চামড়ার মত।
(iv) সামান্য আঁচড় লাগলেই চামড়ায় পুঁজোৎপত্তি (হিপার)। ছালউঠা।
(vi) পুরু, সবুজবর্ণের মামড়ি, জ্বালাকর ও চুলকায়; লালচে ভাব, হাজাকর, ফাটা স্থান থেকে সহজেই রক্তপাত হয়।
(vii) একজিমা। চর্ম ফাটাসমূহ, শীতকালে বৃদ্ধি পায়।
চর্ম রোগে গ্র্যাফাইটিস:
(i) চর্ম খসখসে শক্ত, যে অংশে একজিমা হয় না ঐ অংশ সর্বদা শুষ্ক থাকে।
(ii) ক্ষতের পার্শ্বস্থ তন্ত্র বিবৃদ্ধি এবং ফাইব্রয়েডের প্রাথমিক দশা।
(iii) উদ্ভেদসমূহ, চটচটে রস গড়িয়ে আসে।
(iv) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ভাঁজ হওয়া স্থান, কুঁচকির ভাঁজে, ঘাড়ের ভাঁজে ও কানের পিছনের অংশ হেজে যায়।
(v) অস্বাস্থ্যকর চর্ম, সামান্য আঘাতে পুঁজোৎপত্তি।
(vi) ক্ষত স্থান থেকে আঠাল মত রস বেরিয়ে থাকে, রস পাতলা ও চটচটে।
২২। প্রশ্নঃ গ্র্যাফাইটিসের হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ। ২০১০, ১২, ১৫, ১৭ গ্র্যাফাইটিসের হ্রাস-বৃদ্ধিঃ
গ্র্যাফাইটিসের হ্রাস: অন্ধকারে, বস্ত্রাদির দ্বারা আবৃত করলে, বিশ্রামে, দুধপানে, স্পর্শে, ভ্রমনের পর।
গ্র্যাফাইটিসের বৃদ্ধি: গরমে, রাত্রে, ঋতুকালের মধ্যে এবং পরে, আলোতে, চুলকালে, গোসলে, ভ্রমনের চিন্তা করলে।
২৩। প্রশ্নঃ গ্র্যাফাইটিস এর পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, অনুপূরক ঔষধ, শত্রুভাবাপন্ন ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
অনুপূরক ঔষধের নাম: আর্সেনিক এলবাম, কস্টিকাম, ফেরাম ফস, হিপার সালফ, লাইকোপডিয়াম।
পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ: ইউফরবিয়াম, নেট্রাম সালফ, সাইলিসিয়া।
ক্রিয়ানাশক ঔষধ : একোনাইট ন্যাপ, আর্সেনিক এলবাম, নাক্স- ভমিকা।
ক্রিয়াকাল: ৪০-৫০ দিন।
প্রয়োকৃত শক্তিঃ ৩০, ২০০, ১৩, ১০, ৫০M, см
ল্যাক ক্যানাইনাম
প্রশ্ন : ল্যাক ক্যানাইনামের পরিচায়ক/নির্দেশক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী লিখ। ২০১৭
ল্যাক ক্যানাইনামের পরিচায়ক/নির্দেশক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী:
(i) অত্যন্ত বিস্মৃতি প্রবণ, লেখার সময় ভুল হয়ে যায়। হতাশা- রোগিনী মনে করে তার রোগ দুরারোগ্য।
(ii) দৃষ্টি ঝাপসা, বমি-বমিভাব ও বমি, এগুলি মাথার ব্যথা অবস্থায় প্রকাশ পায়।
(iii) স্পর্শকাতর। ঢোক গেলা ব্যথাপূর্ণ, ব্যথা কান পর্যন্ত প্রসারিত হয়। গলক্ষত ও কাশি, তৎসহ মাসিক ঋতুস্রাব।
(iv) গলায় জ্বালাকর ক্ষতের ন্যায় অনুভূতি। গলার ভিতর সুড়সুড়ি এবং এর ফলে অবিরাম কাশি হয়, গলক্ষত, ঋতুস্রাবের শুরু থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত বর্তমান থাকে। (v) স্তনগ্রন্থির স্ফীতি, ঋতুস্রাবের পূর্বে ব্যথাপূর্ণ। (ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, কোনিয়াম, পালসেটিলা) এবং ঋতুস্রাব আরম্ভ হলে উপশম। (vii) স্তনগ্রন্থির প্রদাহ- সামান্য ঝাঁকুনিতে বৃদ্ধি। স্তনের দুধ শুকাতে সাহায্য করে। (viii) অঙ্গ-প্রতঙ্গে ও পিঠে বাতজনিত কারণে ব্যথা- ব্যথা একদিক থেকে অন্যদিকে যায়। (ix) বাহুসমূহ হতে হাতের আঙ্গুলগুলি পর্যন্ত ব্যথা। হাতের তালু ও পায়ের তলায় জ্বালা। ঘুম- সাপের স্বপ্ন দেখে।
৭। প্রশ্নঃ ল্যাক ক্যানাইনামের মাথার লক্ষণাবলী লিখ।
ল্যাক ক্যানাইনামের মাথার লক্ষণাবলী:
(i) বাতাসে হাঁটা-চলা করা বা ভেসে বেড়ানোর মত অনুভূতি। ব্যথা প্রথমে শরীরের একদিকে প্রকাশ পায়, তারপর অপরদিকে।
(ii) দৃষ্টি ঝাপসা, বমি-বমিভাব ও বমি, এগুলি মাথায় ব্যথা অবস্থায় প্রকাশ পায়। (iii) মাথার পিছনের অংশে ব্যথা, তৎসহ তীর বদ্ধবৎ ব্যথা কপাল পর্যন্ত প্রসারিত হয়। (iv) মনে হয় যেন মস্তিষ্ক পর্যায়ক্রমে সঙ্কুচিত ও শিথিল হচ্ছে। (v) কানের ভিতর শব্দসমূহ। কণ্ঠস্বর কানের ভিতর প্রতিধ্বনিত হয়।
৮। প্রশ্ন: ল্যাক ক্যানাইনামের নাকের লক্ষণাবলী লিখ।
ল্যাক ক্যানাইনামের নাকের লক্ষণাবলী:
(i) সর্দি, নাকের একদিক বন্ধ হয়ে যায়, অপরদিক খোলা থাকে।
(ii) নাসা পক্ষ মুখের কোনে ফাঁটাসমূহ, নাকের অস্থিগুলির উপর চাপ দিলে টাটানি ব্যথা হয়।
(iii) রক্ত মিশ্রিত পূজভাব।
৯। প্রশ্নঃ ল্যাক ক্যানাইনামের মুখগহ্বরের লক্ষণাবলী লিখ।
ল্যাক ক্যানাইনামের মুখগহ্বরের লক্ষণাবলী:-
(i) জিহ্বা সাদা লেপযুক্ত তৎসহ জিহ্বার কিনারাগুলি উজ্জ্বল লালাবর্ণ যুক্ত, প্রচুর লালাস্রাব। (ii) ডিপথেরিয়াতে লালা পড়ে।
(iii) আহারের সময় চোয়ালের ভিতরে কটকট শব্দ হয়।
(iv) মিষ্টি জাতীয় বস্তু খাবারের পরে মুখের পঁচা স্বাদ বেড়ে যায়।
প্রশ্ন: বাতজ্বরে ল্যাক ক্যানাইনামের লক্ষণ বর্ণনা কর। ১৭
বাতজ্বরে ল্যাক ক্যানাইনামের লক্ষণ বর্ণনাঃ
১০। প্রশ্ন: ল্যাক ক্যানাইনামের গলার লক্ষণাবলী লিখ।
ল্যাক ক্যানাইনামের গলার লক্ষণাবলী:
(i) স্পর্শকাতর। ঢোক গেলা ব্যথাপূর্ণ, ব্যথা কান পর্যন্ত প্রসারিত হয়।
(ii) গলক্ষত ও কাশি, তৎসহ মাসিক ঋতুস্রাব।
(iii) টনসিলাইটিস ও ডিফথেরিয়া রোগের লক্ষণগুলি বারে বারে একদিক থেকে অপরদিকে স্থান পরিবর্তন করে।
(iv) গলার ভিতর যে সকল বস্তু জমা হয় তা উজ্জ্বল ও চকচকে, মুক্তার মত বা খাঁটি সাদা চিনা মাটির মত দেখতে।
(v) ঘাড় ও জিহ্বার আড়ষ্টতা।
(vi) গলায় জ্বালাকর ক্ষতের ন্যায় অনুভূতি। গলার ভিতর সুড়সুড়ি এবং এর ফলে অবিরাম কাশি হয়, গলক্ষত, ঋতুস্রাবের শুরু থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত বর্তমান থাকে।
১১। প্রশ্নঃ ল্যাক ক্যানাইনামের স্ত্রীরোগের লক্ষণাবলী লিখ। বা, স্তন গ্রন্থির উপর ল্যাক ক্যানাইনামের ক্রিয়া বর্ণনা কর। ১৭
ল্যাক ক্যানাইনামের স্ত্রীরোগের লক্ষণাবলী:
(i) ঋতুস্রাব নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে, প্রচুর, গলগল করে স্রাব বাহির হতে থাকে।
(ii) স্তনগ্রন্থির স্ফীতি, ঋতুস্রাবের পূর্বে ব্যথা, ঋতুস্রাব আরম্ভ হলে হ্রাস।
(iii) স্তনগ্রন্থির প্রদাহ-সামান্য ঝাঁকুনিতে বৃদ্ধি। স্তনের দুধ শুকাতে সাহায্য করে। (iv) পেটের উপরের অংশে খালিবোধ।
(v) যৌনাঙ্গ সহজেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
(vii) স্তনে দুধের আধিক্য।
(vi) পিঠের ব্যথা, মেরুদন্ড স্পর্শ বা চাপে অত্যন্ত অনুভূতি প্রবণ।
১২। প্রশ্নঃ ল্যাক ক্যানাইনামের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী লিখ।
ল্যাক ক্যানাইনামের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী:
(i) ডানদিকের সায়েটিকা- পাগুলি অসাড় ও আড়ষ্ট বলে মনে হয় এবং পায়ের পাতায় খিল ধরে।
(ii) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ও পিঠে বাতজনিত কারণে ব্যথা- ব্যথা একদিক থেকে অন্যদিকে যায়। (iii) বাহুসমূহ হতে হাতের আঙ্গুলগুলি পর্যন্ত ব্যথা। হাতের তালু ও পায়ের তলায় জ্বালা। ঘুম- সাপের স্বপ্ন দেখে।
১৩। প্রশ্ন: ল্যাক ক্যানাইনামের হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ।
ল্যাক ক্যানাইনামের হ্রাস-বৃদ্ধিঃ হ্রাসঃ ঠান্ডায় এবং শীতল পানীয় পান করলে,
পা গুটিয়ে থাকলে, মুক্ত বাতাসে, বিশ্রামে।
বৃদ্ধিঃ এক দিন প্রাতে এবং পরের দিন সন্ধ্যায়, ভ্রমনে, পরিশ্রমে, বাম পাশে শয়নে, স্পর্শে, শব্দে।
১৪। প্রশ্ন: ল্যাক ক্যানাইনাম এর পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ : ল্যাকেসিস, কোনিয়াম, ল্যাক ক্যান, ল্যাকটিক এসিড। ত্রিয়ানাশক ঔষধের নাম: কফিয়া, ক্যাফর, নাক্স-ভমিকা।
প্রয়োগকৃত শক্তি: ৩০ থেকে উচ্চ শক্তি ব্যবহার করা হয়।
ল্যাকেসিস
(Lachesis)
১। প্রশ্নঃ ল্যাকেসিসের সাধারণ পরিচিতি বর্ণনা কর।
ল্যাকেসিসের সাধারণ পরিচিতি বর্ণনা:
জুলোজিক্যাল নাম (Zoological name) : Crotalus mutus
সমনাম/প্রতিনাম (Synonyms): সুরুকুকু, ডেডলি বুশ মাস্টার, লাঞ্চ
হেডেড ভাইপার (Surukuku, Lachesis mutus)
উৎস (Sourc): প্রাণীজ। family: Crotalidae
প্রাপ্তিস্থান (Habitat): South America
প্রভার (Proved): Dr. C. Herring in 1828 ২৮ শে জুলাই ল্যাকেসিস ঔষধটি প্রুভ করেন।
২। প্রশ্ন: ল্যাকেসিসের প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা কর।
প্রস্তুত প্রণালী (Preparation) : Drug Strength 1/100
(ক) ট্রাইটুরেশন 1x: ল্যাকেসিস ভেনম (বিষ) ১০ গ্রাম এবং সাক্কারাম ল্যাকটিস ৯৯০ গ্রাম সংমিশ্রনে ১ কিলোগ্রাম ট্রাইটুরেশন প্রস্তুত হয়।
(খ) পটেন্সি: 3x এবং উচ্চতর শক্তি ট্রাইটুরেটেড, 6.x কনভার্টেড লিকুয়েট 8x, 9x এবং উচ্চশক্তি ডিসপেনসিং এলকোহল ব্যবহৃত হয়।
৩। প্রশ্ন: ল্যাকেসিসের কারণতত্ত্ব বর্ণনা কর।
কারণতত্ত্ব (Aetiology):
(ক) মূলকারণ: সোরা, সাইকোসিস, সিফিলিসি এবং হেমোরেজিক ডায়াথেসিস। (খ) উত্তেজক/আনুসঙ্গিক কারণঃ দীর্ঘদিনের ভয়, মানসিক আঘাত, ব্যর্থ ভালবাসা ইত্যাদি।
৪। প্রশ্ন: ল্যাকেসিসের গঠনগত/ধাতুগত বৈশিষ্ট্য লিখ!
বা, ল্যাকেসিসের ধাতুগত লক্ষণ লিখ।
এগঠনগত/ধাতুগত বৈশিষ্ট্য (Constitution):
এপিয়ারেন্স (Appearance) :
পাতলা, দুর্বল, রোগা এবং নীলবর্ণের ব্যক্তি। মেজাজ- মেলানকোলিক এবং দুঃখিত। মায়াজম- সোরা এবং ডায়াথেসিস- হেমোরেজিক। Over
Sensitiveness : ল্যাকেসিসের রোগী গরম সহ্য করতে পারে না।
৫। প্রশ্ন: ল্যাকেসিসের ক্রিয়াস্থল লিখ। ২০১৩, ১৫, ১৭
ক্রিয়াস্থল (Affinities)ঃ মন (Mind), নার্ভস-ভেসো-মটর, নিউমোগ্যাস্টিক সিম্পেথেটিক, কিউটেনিয়াস (Nerves-vasomotor, Pneumogastric sympathetic, cutaneous), ব্লাড সার্কুলেশন (Blood Circulation), হার্ট (Heart), থ্রোট (Throat), বাম দিক থেকে ডান দিক (Left side then right), ফিমেল অর্গান-ওভারী (Female organs – ovaries).
৬। প্রশ্নঃ ল্যাকেসিসের রোগসমূহ/প্রয়োগ ক্ষেত্র লিখ।
রোগসমূহ (Disease): ফোঁড়া, এলকোহলিজম, কার্বাংকল, কাশি,
মৃগী, ডিপথেরিয়া, এন্টেরিক ফিভার, হেমোরেজ, গ্র্যাংগ্রীন, অর্শ, মাথাব্যথা, জন্ডিস, ল্যারিংজাটিস, নিউমোনিয়া, নিউরালজিয়া, চর্মরোগ, হার্টের রোগ, মানসিক রোগ, লিভারের রোগ ইত্যাদি।
৭। প্রশ্নঃ ল্যাকেসিসের মানসিক লক্ষণ বর্ণনা কর। ০৮, ১৩, ১৫, ১৭ বা, ল্যাকেসিসের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ।
ল্যাকেসিসের মানসিক লক্ষণাবলী:
(i) প্রচন্ড বাচলতা। কামবৃত্তিপরায়ণ।
(ii) প্রাতঃকালে বিষন্নতা, পার্থিব জগতের সঙ্গে মেশার ইচ্ছা থাকে না।
(iii) অস্থিরতা ও অস্বচ্ছন্দতা, নিজের কাজ কর্মে যোগ দেবার ইচ্ছা থাকে না, সব সময় কোথাও পালিয়ে থাকতে চায়। হিংসুটে (হায়োস)।
(iv) রাত্রে মানসিক কাজ খুব ভালভাবে করতে পারে।
(v) সহজ মৃত্যু। সন্দিগ্ধচিত্ত, রাত্রে আগুন সম্পর্কে বিভ্রান্তি।
(vi) ধর্মীয় উন্মাদনা। (ভিরেট্রাম, স্ট্রামোনিয়া)।
(vii) সময় সংক্রান্ত জ্ঞানের লোপ।
৮। প্রশ্নঃ ল্যাকেসিসের উৎস কি? ইহার পরিচায়ক লক্ষণ লিখ। ১৫ বা, ল্যাকেসিসের উৎস কি? ইহার নির্দেশক লক্ষণ লিখ। ২০১৩ বা, ল্যাকেসিসের নির্দেশক/পরিচায়ক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী লিখ।
উৎস (Sourc):
প্রাণীজ।
family:
Crotalidae
ল্যাকেসিসের নির্দেশক/পরিচায়ক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী:
(i) অস্থিরতা ও অস্বচ্ছন্দতা, নিজের কাজ কর্মে যোগ দেবার ইচ্ছা থাকে না, সব সময় কোথাও পালিয়ে থাকতে চায়। হিংসুটে (হায়োস)।
(ii) সূর্যের উত্তাপ লেগে মাথার ব্যথা। মাথা ব্যথার সাথে, চোখের সামনে কম্পিত শিখাসমূহ দেখে, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা, মুখমন্ডল অত্যন্ত ফ্যাকাশে দেখায়।
(iii) জাইগোম্যাটিক প্রসেস থেকে কান পর্যন্ত ছেদনবৎ ব্যথা, এছাড়াও তৎসহ গলায় টাটানি ব্যথা ও ক্ষত।
(iv) মুখমন্ডল বেগুনি বর্ণ, নানা বর্ণের দাগযুক্ত, দেখতে স্ফীতভাব, জন্ডিস ও এনিমিয়াগ্রস্ত রোগাক্রান্ত।
(v) টনসিল দুটি বেগুনিবর্ণের। গলা বেগুনি, সীসা বর্ণ। মনে হয় যেন কোন কিছু গলধঃকরণ করা হয়েছে, যা অবশ্যই পূর্ণভাবে গিলে ফেলতে হবে, এই জাতীয় অনুভূতি, লালা অথবা তরল বস্তু গিলিবার সময় বৃদ্ধি।
৮। প্রশ্ন: ল্যাকেসিসের মাথার লক্ষণাবলী লিখ।
ল্যাকেসিসের মাথার লক্ষণাবলী:
(i) ঘুম থেকে জাগার পরে মাথার ভিতর দিয়ে ব্যথা।
(ii) নাকের গোড়ায় ব্যথা। মাথার তালুতে চাপবোধ ও জ্বালা।
(iii) তরঙ্গায়িত হয়ে ব্যথা আগমন করে, নড়াচড়ার পর বৃদ্ধি।
(iv) সূর্যের উত্তাপ লেগে মাথার ব্যথা। মাথা ব্যথার সাথে, চোখের সামনে কম্পিত শিখাসমূহ দেখে, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা, মুখমন্ডল অত্যন্ত ফ্যাকাশে দেখায়।
(v) মাথাঘোরা। যে কোন স্রাব শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথার উপশম।
১৩। প্রশ্নঃ ল্যাকেসিসের মুখগহ্বরের লক্ষণাবলী লিখ। বা, টিকা লিখঃ গল ক্ষতে ল্যাকেসিস। ২০১৮
ল্যাকেসিসের মুখগহ্বরের লক্ষণাবলী
(i) মাড়ীসমূহ স্ফীত, স্পঞ্জের মত নরম, সহজেই রক্তপাত হয়।
(ii) জিহ্বা স্ফীত, জ্বালাকর, কম্পনযুক্ত লালবর্ণ, শুষ্ক এবং অগ্রভাগ ফাটা, প্রসারিত করে দাঁতের বাহিরে আনতে পারে না, আটকিয়ে যায়।
(iii) গ্লোসাইটিস- কোমল সাদা সাদা ক্ষত (এপথ্রাস) এবং ছাল উঠা ছোট ছোট স্থানসমূহ, তৎসহ জ্বালা ও ছন্ন্ করা।
(iv) বমি-বমিভাব উৎপন্ন করার মত মুখের স্বাদ।
(v) দাঁত কন্ন্ করে, ব্যথা কান পর্যন্ত প্রসারিত হয়।
(vi) মুখমন্ডলের অস্থিতে ব্যথা।
১৪। প্রশ্নঃ ল্যাকেসিসের গলার লক্ষণাবুলী লিখ।
ল্যাকেসিসের গলার লক্ষণাবলী:
(i) গলায় ক্ষত, বাম দিকে বেশি আক্রান্ত হয়, তরল পদার্থ গেলার সময় বেশি হয়।
(ii) টনসিলের প্রদাহ। কর্ণমূল প্রদাহ। শুষ্ক মারাত্বক ধরনের স্ফীতি, বাইরের দিকে এবং ভিতরের দিকে।
(iii) ডিফথিরিয়া- মিউকাস মেমব্রেন সামান্য কৃষ্ণাভ, কালবর্ণের, ব্যথা গরম পানীয় পানে বৃদ্ধি।।
(iv) পুরাতন গলক্ষত, তৎসহ বারে বারে গলা খাকার দিতে হয়। শ্লেষ্মা চটচটে এবং তা জোর করে উপর বা নিচের দিকে উঠানামা করা যায় না।
(v) অত্যন্ত ব্যথাপূর্ণ, সামান্য চাপে বৃদ্ধি, স্পর্শ তদাপেক্ষা কষ্টকর।
(vi) টনসিল দুটি বেগুনিবর্ণের। মনে হয় যেন কোন কিছু গলধঃকরণ করা হয়েছে, যা অবশ্যই পূর্ণভাবে গিলে ফেলতে হবে, এই জাতীয় অনুভূতি, লালা অথবা তরল বস্তু গিলিবার সময় বৃদ্ধি।
(vii) কানের মধ্যে ব্যথা।
(iv) অস্ত্র থেকে রক্তস্রাব যা দেখতে ঝলসে যাওয়া খড়ের মত, স্রাবের ভিতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কালো বস্তুকণাসমূহ থাকে।
(v) অর্শ ঠেলে বাইরে বেরিয়ে আসে, সঙ্কুচিত অবস্থা প্রাপ্ত হয়, বেগুনি বর্ণ।
(vi) কাশি বা হাঁচির সময় অর্শের মধ্যে সূচীবিদ্ধবৎ ব্যথা।
(vii) সর্বদাই সরলান্ত্রের বেগ থাকে, অথচ মলের জন্য নয়।
১৮। প্রশ্নঃ স্ত্রীরোগে ল্যাকেসিসের ব্যবহার লিখ। ২০০৮, ১৭ বা, ল্যাকেসিসের স্ত্রীরোগের লক্ষণাবলী লিখ।
ল্যাকেসিসের স্ত্রীরোগের লক্ষণাবলী:
(i) রজোনিবৃত্তকালের পরের উপসর্গসমূহ- হৃদকম্পন, উত্তাপের ঝলকা, রক্তস্রাব, মাথার তালুতে ব্যথা, মাঝে মাঝে মূর্ছাভাব, জামা-কাপড়ের চাপে বৃদ্ধি।
(ii) ঋতুস্রাব অল্পদিন স্থায়ী হয়, অত্যন্ত ক্ষীণ, স্রাব শুরু হওয়া মাত্র সকল ব্যথার উপশম (ইউপিয়ন)।
(iii) বামদিকের ওভারীতে অত্যন্ত ব্যথাপূর্ণ ও স্ফীত, তথা কাঠিন্যপ্রাপ্ত। স্তনদ্বয় প্রদাহিত, নীলাভ।
(iv) কক্সিস এবং সেক্রাম ব্যথাযুক্ত, বিশেষ করে বসে থাকা অবস্থান থেকে উঠার সময়।
(v) ইহা বিশেষভাবে ভাল কাজ করে, ঋতুস্রাবের আরম্ভ ও বন্ধের সময়।
২০। প্রশ্নঃ ল্যাকেসিসের শ্বাস-প্রশ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ।
ল্যাকেসিসের শ্বাস-প্রশ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী:
(i) শ্বাসনালীর উপরের অংশ অত্যন্ত স্পর্শকাতর।
(ii) শুয়ে থাকার সময় শ্বাসরোধ ও গলা টিপে ধরার মত অনুভূতি, বিশেষতঃ যদি গলার আশেপাশে কোন কিছু জড়িয়ে থাকে, এই অনুভূতির জন্য বিছানা থেকে লাফিয়ে উঠে ও খোলা জানালার দিকে ছুটে যায়।
(iii) শ্বাসনালীর দ্বারে আক্ষেপ, ঘাড় থেকে কণ্ঠনালী পর্যন্ত যেন কোন কিছু ছুটে যাচ্ছে এই জাতীয় অনুভূতি। একটা গভীর শ্বাস নিতে হয়।
(v) হৃৎপিন্ড স্থানে খিলধরার মত কষ্টের অনুভূতি।
(vi) কাশি- শুষ্ক, থেকে থেকে শ্বাসরোধের মত, সুড়সুড়ি।
(vii) সামান্য শ্লেষ্মা উঠে ও অত্যন্ত অনুভূতি প্রবণ, কণ্ঠনালীর উপর চাপে, ঘুমের পরে, মুক্ত বাতাসে বৃদ্ধি।
(viii) ঘুম আসলে শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়া প্রায় বন্ধ হয়ে আসে (মিন্ডোলিয়া)। কণ্ঠনালী স্পর্শ করলে ব্যথা হয়।
(ix) গলায় একটি ছিপি আটকে আছে এরূপ অনুভূতি (এনাকার্ডিয়াম), যা উপর-নিচে উঠা-নামা করে, তৎসহ অল্পকাল স্থায়ী কাশি।
২১। প্রশ্ন: ল্যাকেসিসের হৃদপিন্ডের লক্ষণাবলী লিখ।
ল্যাকেসিসের হৃদপিন্ডের লক্ষণাবলী:
(i) হৃদকম্পন, তৎসহ মাঝে মাঝে মূর্ছা, বিশেষ করে রজোনিবৃত্তকালে।
(ii) সঙ্কোচনের অনুভূতি যার ফলে কম্পন ও উদ্বেগ দেখা দেয়।
(iii) সায়ানোসিস-শরীরের চর্ম নীলাভ হয়ে যায়।।
(iv) হৃদস্পন্দন অনিয়মিত।
২৩। প্রশ্ন: ল্যাকেসিসের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী লিখ।
ল্যাকেসিসের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী:
(i) সায়েটিকা, ডানদিকে শুয়ে থাকলে উপশম।
(ii) পায়ের লম্বা অস্থিতে ব্যথা। ইহা গলক্ষতের পরে উদ্ভূত হতে পারে। (iii) পেশী বন্ধনীগুলি খর্বতাপ্রাপ্তি।
ঘুমঃ
(i) রোগী ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় রোগের বৃদ্ধি হয়। ঘুমিয়ে থাকা অবস্থা থেকে হঠাৎ করে চমকিয়ে উঠে।
(ii) নিদ্রালু, অথচ ঘুমাতে পারে না (বেলেডোনা, ওপিয়াম)।
(iii) সন্ধ্যায় সম্পূর্ণ জেগে থাকে।
২৪। প্রশ্নঃ টাইফয়েড জ্বরে ল্যাকেসিস-এর কার্যকারীতা বর্ণনা কর। ১৭ বা, ল্যাকেসিসের জ্বরের লক্ষণাবলী লিখ। ০৮
ল্যাকেসিসের জ্বরের লক্ষণাবলীঃ
(i) পিঠের দিকে শীতভাব, পা দুইটি বরফের মত ঠান্ডা, উত্তাপের হল্কা ও উত্তপ্ত ঘাম।
(ii) অম্ল জাতীয় বস্তু খাবারের পরে জ্বরের কষ্টকর অবস্থা ফিরে আসে, প্রতিবার বসন্তকালে, সবিরাম জ্বর।
(iii) সায়ানোসিস- শরীরের চর্ম নীলাভ হয়ে যায়, হৃদস্পন্দন অনিয়মিত।
(iv) পায়ের লম্বা অস্থিতে ব্যথা। ইহা গলক্ষতের পরে উদ্ভূত হতে পারে।
(v) সূর্যের উত্তাপ লেগে মাথার ব্যথা। মাথা ব্যথার সাথে, চোখের সামনে কম্পিত শিখাসমূহ দেখে, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়।
(vi) প্রতিবার কাশি বা হাঁচির সময়ে ব্যথা সরলান্ত্রের উপর দিয়ে তীর বেগে ঠেলে উঠে।
(vii) মুখমন্ডল অত্যন্ত ফ্যাকাশে দেখায়। কোষ্ঠকাঠিন্য, দূর্গন্ধযুক্ত মল।
২৫। প্রশ্ন: ল্যাকেসিসের চর্মের লক্ষণাবলী লিখ।
ল্যাকেসিসের চর্মের লক্ষণাবলী:
(i) উষ্ণ ঘাম, গায়ের চামড়া নীলচে, বেগুণীবর্ণ।
(ii) ফোঁড়া, কার্বাংকল ক্ষতসমূহের চারিধার নীলচে, বেগুণীবর্ণ দেখা যায়।
(iii) শয্যাক্ষত তৎসহ ক্ষতের কিনারা কালোবর্ণের ও নীলচে কাল ‘স্ফীতি।
(iv) বিষাক্ত পূঁজযুক্ত ফোঁড়া, অস্ত্রোপচারকালে চর্ম কেটে যাবার ফলে বিষসংক্রমন হেতু উৎপন্ন ক্ষত।
(v) পার্পিউরা তৎসহ প্রচন্ড অবসন্নতা।
(vi) বার্ধক্যকালে ইরিসিপেলাস গোলাকার টিউমার যাতে প্রদাহ বা বর্ণবিকৃতি নাই।
(vii) সেলুলাইটিস বা তন্ত্রসমূহের প্রদাহ।
(viii) শিরার স্ফীতিজনিত কারণে ক্ষত।
৩। প্রশ্ন: লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভেটামের ক্রিয়াস্থল লিখ। ২০১৮ লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভেটামের ক্রিয়াস্থল (Affinities):
মন (Mind), (ii) মস্তিষ্ক (Brain), (iii) রেসপিরেটরী সিস্টেম (Respiratory system), (iv) ডাইজেস্টিভ সিস্টেম (Digestive system), (v) ইউরিনারী সিস্টেম (Urinary system), (vi) চর্ম (Skin), (vii) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গাদি (Extremities) (viii) মিউকাস মেমব্রেন (Mucous membrane) (ix) হার্ট (Heart), (x) থ্রোট (Throat), (xi) সেক্সসুয়াল অর্গান (Sexual organs)
৪। প্রশ্ন: লাইকোপোডিয়াম ক্যাডেটামের সারকথা লিখ। লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভেটামের সারকথা:
পেশীসমূহের দুর্বলতা, অপুষ্টি-শ্লেষ্মাপ্রধান ঋতু বিশিষ্ট কোমল প্রকৃতির ব্যক্তি তৎসহ সদ্দিলাগার প্রবণতা, বৃদ্ধব্যক্তি, যাদের চামড়ায় হদুল বর্ণের ছোপ দেখা যায়, মাটির মত গায়ের রঙ, ইউরিক অ্যাসিড ঋতুদোষমুক্ত প্রভৃতি। এছাড়াও, অকালপক্ক, দুর্বল শিশুদের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। লক্ষণগুলির বৈশিষ্ট্য হল, ডানদিক থেকে বামদিকে যায়, বিশেষভাবে শরীরের ডান দিকে কাজ করে এবং লক্ষণসমূহ বিকাল ৪টা থেকে রাত্রি ৮ টার মধ্যে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। কিডনীর উপসর্গসমূহে, প্রস্রাবে বালুকনার তলানি পাওয়া যায়, কোমরে ব্যথা, কিডনীস্থানে, প্রস্রাবের পূর্বে বৃদ্ধি। ঠান্ডা পানীয় সহ্য হয় না, সকল কিছু গরম চায়। যে সকল ব্যক্তি প্রবল মেধাশক্তি সম্পন্ন কিন্তু দুর্বল শারীরিক ক্ষমতাযুক্ত হয় তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধটি ভালো কাজ করে। গভীরভাবে স্থায়ী, ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত, পুরাতন রোগসমূহ। কার্সিনোমা। শীর্ণতা। সকালের দিকে দুর্বলতা। গ্রন্থিজাত স্রাবের নিয়মিত কারণে এই ঔষধের সুস্পষ্ট প্রভাব আছে। বার্ধক্যের পূর্বাবস্থা। লিভারের রোগে এবডোমেনে শোথ। লাইকোপোডিয়াম রোগা, শীর্ণকার, গ্যাসে পরিপূর্ণ ও শুষ্কতা। শরীরের প্রয়োজনীয় উত্তাপের অভাব, রক্ত সংবহন ক্রিয়া ক্ষীন, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শীতল, ব্যথা আসে এবং যায় হঠাৎ করে। শব্দে ও গন্ধে অনুভূতি প্রবন।
৫। প্রশ্ন: লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভেটামের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ।
লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভেটাম এর মানসিক লক্ষণ:
(i) বিষণ্ণ, একা থাকতে ভয়। সামান্য বিষয়ে বিরক্তি।
(ii) অত্যন্ত অনুভূতি প্রবণ। নতুন কোন কাজ করতে অনিচ্ছা।
(iii) অসুস্থ অবস্থায় রোগী একগুঁয়ে ও উদ্ধত প্রকৃতির হয়।
(iv) আত্মবিশ্বাসের অভাব।
(v) দ্রুততার সঙ্গে আহার করে। কাজের চাপে দমে যাবে সর্বদা এই জাতীয় ভয়। আশঙ্কাযুক্ত।
(vi) দুর্বল স্মৃতিশক্তি, বিভ্রান্তিপূর্ণ চিন্তাসমূহ। বাক্যসমূহ বানান করতে বা লিখতে ভুল করে।
(vii) মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যায়। (এনাকার্ডিয়াম, ফসফরাস; ব্যারাইটা কার্ব)।
(viii) কিছুতেই কোন নতুন জিনিস দেখা সহ্য করতে পারে না।
(ix) রোগী নিজে কি লিখিছে তা পড়তে পারে না।
(x) সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে বিষন্নচিত্ত।
প্রশ্ন: লাইকোপোডিয়ামের পরিচায়ক লক্ষণগুলি লিখ। ২০১৪, ১৮ বা, লাইকোপোডিয়ামের চরিত্রগত লক্ষণ লিখ। ১০
বা, লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভেটামের চরিত্রগত/নির্দেশক/পরিচায়ক লক্ষণাবলী লিখ।
লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভেটামের চরিত্রগত/নির্দেশক/পরিচায়ক লক্ষণাবলী:
(i) দুর্বল স্মৃতিশক্তি, বিভ্রান্তিপূর্ণ চিন্তাসমূহ। বাক্যসমূহ বানান করতে বা লিখতে ভুল করে।
(ii) দিনের বেলায় অন্ধত্ব (বোথ্রোপস)। রাত্রিকালীণ অন্ধত্বতা আরো বেশি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। দৃষ্টবস্তুর কেবলমাত্র অর্ধাংশ দেখতে পায়।
(iii) সকালে ঘুম থেকে উঠার সময় মাথা ঘোরে, আর্টারীর ভিতরে ব্যথা, যেন মনে হয় আর্টারীর একদিক থেকে অপরদিকের প্রতি স্ক্রু ঘোরানো হচ্ছে।
(iv) কানের ভিতরে গুনগুন শব্দ অথবা গর্জন ধ্বনি হয়, তৎসহ কানে শুনতে কষ্ট হয়, প্রতিটি শব্দই কানের ভিতরে অদ্ভুত ধরনের প্রতিধ্বনি তৈরি করে।
(v) জিহ্বা শুদ্ধ, স্ফীত, ফাটা ও কালোবর্ণের এবং এদিক-ওদিক নড়ে।
(vi) আহারের পরে, পাকস্থলীতে চাপবোধ, তৎসহ মুখের স্বাদ তিতো। সামান্য আহারের পরেই পূর্ণতার অনুভূতি।
(vii) মল শক্ত, কষ্ট করে বের করতে হয়, পরিমাণে অল্প এবং অসম্পূর্ণ।
(viii) প্রস্রাবের পরে কমে যায়, প্রস্রাব ধীরভাবে আসে, কোঁথ দিতে বাধ্য হয়।
(ix) ঋতুস্রাব দেরিতে আরম্ভ হয়, দীর্ঘস্থায়ী ও প্রচুর পরিমাণে স্রাব হয়।
(x) রাত্রে কাশি, গন্ধকের ধোঁয়া নাকে প্রবেশ করলে যেরূপ ঝাঁজ লাগে সেরূপ অনুভূত হয়।
(xi) ধ্বজভঙ্গ- লিঙ্গোদ্রেকের কোন ক্ষমতা থাকে না, নিয়মিত সময়ের আগেই বীর্যপাত (ক্যালেডিয়াম, সেলিনিয়াম, এগ্লাস ক্যাক্টাস)।
৭। প্রশ্ন: লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভেটামের মাথার লক্ষণাবলী লিখ।
লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভেটামের মাথার লক্ষণাবলী:
(i) বিশেষ কোন কারণ ছাড়াই মাথা নাড়িতে থাকে।
(ii) মুখমন্ডল ও মুখবিবর মোচড়াতে থাকে।
(iii) মাথার তালুতে চাপবোধযুক্ত ব্যথা; বিকাল ৪টা থেকে রাত্রি ৮টা,
এবং শুয়ে থাকলে অথবা সামনের দিকে ঝুকে থাকলে বৃদ্ধি, এছাড়াও
যদি নিয়মিত আহার না করে তবে কষ্টের বৃদ্ধি হয়। (ক্যাক্টাস)।
(iv) প্রতিবার কাশির ধমকের পরে দপদপ কর মাথার ব্যথা।
(v) প্রচন্ড শীতে চোখের উপরে মাথার ব্যথা, আবরণ ছাড়া উপশম বোধ করে। (সালফার)।
১২। প্রশ্ন: লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের গলনালীর লক্ষণাবলী লিখ। লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের গলনালীর লক্ষণাবলী:
(i) গলার মধ্যে শুদ্ধতা, তৃষ্ণাহীন। খাদ্যবস্তু ও পানীয়সমূহ নাক দিয়ে বাহির হয়ে আসে।
(ii) ইসোফেগাসে প্রদাহ, তৎসহ ঢোক গেলার সময়ে গলার ভিতরে সূচীবিদ্ধবৎ ব্যথা; গরম পানীয়ে উপশম।
(iii) টনসিলের স্ফীতি ও পূজোৎপত্তি।
(iv) টনসিলদ্বয় ক্ষতাবস্থা, ডানদিক হতে আরম্ভ হয়।
(v) ডিফথিরিয়া- সঞ্চিত বস্তু ডানদিক থেকে বামদিকে প্রসারিত হয়, ঠান্ডা পানীয় পান করলে বৃদ্ধি।
(vi) স্বরতন্ত্রীতে ক্ষতসমূহ। টিউবারকিউলোসিসজাত ল্যারিনজাইটিস, বিশেষতঃ যখন ক্ষতসমূহ শুরু হয়।
১২। প্রশ্ন : লিভার পীড়ায় লাইকোপোডিয়ামের লক্ষণ বর্ণনা কর। ১৮ বা, প্ররিপাকতন্ত্রের উপর লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের কার্যকারিতা یا বর্ণনা কর। ১০, ১৪ বা, লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের পাকস্থলীর লক্ষণাবলী লিখ।
লিভার পীড়ায় লাইকোপোডিয়ামের লক্ষণ বর্ণনা:
(i) ময়দা থেকে প্রস্তুত এবং গাঁজলা উৎপন্নকারী খাদ্যবস্তু। যেমন-
বাঁধাকপি, মটরশুটি প্রভৃতি খাওয়ার ফলে অজীর্ণ রোগ।
(ii) অত্যধিক ক্ষুধা, রুটি অনিচ্ছা। মিষ্টি দ্রব্যের প্রতি স্পৃহা।
(iii) খাদ্যবস্তুর স্বাদ টক। টক ঢেকুর উঠে। হজম শক্তির প্রচন্ড দুর্বলতা। পেট ডাকা তৎসহ প্রচন্ড পেট ফাঁপা।
(iv) আহারের পরে, পাকস্থলীতে চাপবোধ, তৎসহ মুখের স্বাদ তিতো। সামান্য আহারের পরেই পূর্ণতার অনুভূতি।
(v) পেটে সঞ্চিত বায়ু চলাফেরা করে (চায়না, কার্বোভেজ)।
(vi) রাত্রে ঘুম থেকে জেগে উঠে ও ক্ষুধা অনুভব করে।
(vii) হিক্কা। অসম্পূর্ণ জ্বালাকর ঢেকুর গলবিল পর্যন্ত উঠে এবং ঐ স্থানে কয়েক ঘন্টা ধরে জ্বালা করে।
(viii) খাদ্য ও পানীয়বস্তু গরম পছন্দ করে। খালি খালিবোধ, রাত্রে বৃদ্ধি।
এবডোমেন –
(i) সামান্য পরিমাণে কিছু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোয়ার এবডোমেন ফুলে উঠে, পূর্ণতা অনুভূত হয়।
(ii) অবিরাম পেটের ভিতরে গ্যাঁজলার সৃষ্টি হচ্ছে এই জাতীয় অনুভূতি, যেন মনে হয় পেটের ভিতরে মদের ফেনা তৈরী হচ্ছে। উপরের বামদিকে বেশি অনুভূত হয়।
(iii) লিভার অনুভূতি প্রবণ। পেটের উপরে বাদামীবর্ণের ছোপ। লিভারের রোগ থেকে শোথাবস্থা।
(iv) হেপাটাইটিস- জায়ফলের মত ক্ষুদ্রাকৃতির লিভার।
১৩। প্রশ্ন: লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের মলের লক্ষণাবলী লিখ।
লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের মলের লক্ষণাবলী:
(i) উদরাময়। অন্ত্রনালীর নিষ্ক্রিয়তা। মলত্যাগের বিফল ইচ্ছা।
(ii) মল শক্ত, কষ্ট করে বের করতে হয়, পরিমাণে অল্প এবং অসম্পূর্ণ।
(iii) অর্শ- স্পর্শে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, কনকনানি (মিউর অ্যাসিড)।
১৬। প্রশ্ন: লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের স্ত্রীরোগের লক্ষণাবলী লিখ।
স্পাইকোপডিয়াম ক্যাডেটামের স্ত্রীরোগের লক্ষণাবলী:
(i) ঋতুস্রাব সময়ের পূর্বে আরম্ভ হয়, দীর্ঘস্থায়ী ও প্রচুর পরিমাণে স্রাব হয়।
(ii) যোনিদেশ শুষ্ক ও সঙ্গম ব্যথাপূর্ণ।
(iii) ডান ওভারীতে ব্যথা। বহিঃযৌনাঙ্গের উপর শিরাস্ফীতি।
(iv) প্রদরস্রাব ক্ষতকর, তৎসহ ভ্যাজাইনাতে জ্বালা করে।
(v) মলত্যাগের সময় যৌনাঙ্গ থেকে রক্তস্রাব হয়।
১৪। প্রশ্নঃ লাইকোপোডিয়ামের প্রস্রাব সম্পর্কীয় লক্ষণ বর্ণনা কর। ১৪ বা, লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের প্রস্রাবের লক্ষণাবলী লিখ।
লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের প্রস্রাবের লক্ষণাবলী:
(i) প্রস্রাবের পূর্বে পিঠের ব্যথা। বারবার প্রস্রাবের বেগ হয়।
(ii) প্রস্রাবের পরে কমে যায়, প্রস্রাব ধীরভাবে আসে, কোঁথ দিতে বাধ্য হয়।
(iii) প্রস্রাব বন্ধ হওয়া। রাত্রে বহুবার প্রস্রাবত্যাগ করে। প্রস্রাব গাঢ় লালবর্ণের তলানিযুক্ত।
(iv) শিশু প্রস্রাব করার একটু পূর্বে কাঁন্না করে।
(v) মূত্রনালীতে ব্যথা।
(vi) প্রস্রাবে লাল বালির মত তলানি পড়ে (সাদা হলে সিনা)।
(vii) চলন্ত গাড়ীতে চললে প্রস্রাবের বেগ হয়।
(viii) বুকের ভিতরে টানভাব, সঙ্কোচন এবং জ্বালাকর অনুভূতি।
(ix) খাদ্যবস্তুর স্বাদ টক। টক ঢেকুর উঠে। হজম শক্তির প্রচন্ড দুর্বলতা। পেট ডাকা তৎসহ প্রচন্ড পেট ফাঁপা।
(x) গলার মধ্যে শুষ্কতা, তৃষ্ণাহীন। খাদ্যবস্তু ও পানীয়সমূহ নাক দিয়ে বাহির হয়ে আসে।
১৫। প্রশ্ন: প্রশ্ন: যৌন পীড়ায় লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের ব্যবহার লিখ। ২০১০
বা, লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের পুরুষরোগের লক্ষণাবলী লিখ।
লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের পুরুষরোগের লক্ষণাবলী:
(i) ধ্বজভঙ্গ- লিঙ্গোদ্রেকের কোন ক্ষমতা থাকে না, নিয়মিত সময়ের আগেই বীর্যপাত (ক্যালেডিয়াম, সেলিনিয়াম, এগ্লাস ক্যাক্টাস)।
(ii) প্রস্টেট গ্রন্থির বিবৃদ্ধি। (iii) আঁচিলের মত গুটিসমূহ।
(iv) লিঙ্গ শিথিল, ছোট, শক্ত হয় না। হস্তমৈথুনজনিত যৌন দুর্বলতা বৃদ্ধি। (v) বৃদ্ধ বয়সে যৌন সমস্যা- বীর্যপাত সময়ের আগে সম্পন্ন হয়। (vi) দুর্বল স্মৃতিশক্তি, বিভ্রান্তিপূর্ণ চিন্তাসমূহ। বাক্যসমূহ বানান করতে বা লিখতে ভুল করে।
(v) চর্ম শুষ্ক, কুঞ্চিত, বিশেষতঃ হাতের করতলে, চুল অকালে ধূসরবর্ণযুক্ত হয়।
(vi) শোথাবস্থা। দূর্গন্ধযুক্ত নিঃসরণসমূহ- চটচটে ও দূর্গন্ধযুক্ত ঘর্মস্রাব, বিশেষতঃ পায়ে ও বগলে।
২২। প্রশ্নঃ লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ। ২০১৮ লাইকোপডিয়াম ক্ল্যাভেটামের হ্রাস-বৃদ্ধিঃ
উপশম/হাস: নড়াচড়ায়, মধ্যরাত্রির পরে, গরম খাবার ও পানীয় দ্রব্যে, ঠান্ডা লাগলে ও অনাচ্ছাদিত অবস্থায়, ঢেকুর উঠলে।
বৃদ্ধি : ডানদিকে, ডানদিক থেকে বামদিকে, উপর থেকে নিচের দিকে, বিকাল ৪টা থেকে রাত্রি ৮ টা, গরমে অথবা গরম ঘরে, উত্তপ্ত বাতাসে, বিছানায়, গরম প্রয়োগে, শব্দে, আহারে, টুপি পড়লে ইত্যাদি।
২৩। প্রশ্ন: লাইকোপোডিয়াম এর পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, অনুপূরক ঔষধ, শত্রুভাবাপন্ন ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
অনুপূরক ঔষধের নাম: ক্যালকেরিয়া কার্ব ও সালফারের পরে
লাইকোপডিয়াম বিশেষভাবে ফলপ্রদ। আয়োডিয়াম, গ্র্যাফাইটিস, ল্যাকেসিস, পালসেটিলা, চেলিডোনিয়াম।
পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ: এনাকার্ডিয়াম, বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া
এলবাম, কার্বো-ভেজ, কলচিকাম, ডালকামারা, গ্র্যাফাইটিস, কেলি- কার্ব, ল্যাকেসিস, লিডাম, নাক্স-ভমিকা, ফসফরাস, পালসেটিলা, স্ট্রামোনিয়াম, সিপিয়া, থেরিডিন, ভিরেট্রাম এলবাম।
শত্রুভাবাপন্ন ঔষধ: কফিয়া।
ক্রিয়ানাশক ঔষধ: একোনাইট ন্যাপ, ক্যাক্ষর, কস্টিকাম, ক্যামোমিলা, গ্র্যাফাইটিস, পালসেটিলা।
ক্রিয়াকাল: ৪০-৫০ দিন।
প্রয়োগকৃত শক্তি: ৩০, ২০০, ১০, ১০, ৫০M, см
মেডোরিনাম
(Medorrhinum)
১। প্রশ্ন: মেডোরিনামের সাধারণ পরিচিতি লিখ।
সমনাম/প্রতিনাম (Synonyms) : গণোরিয়া বা প্রমেহ বিষ
(Nosode of Gonorrhoea), Glinicum
প্রভার (Proved): Dr. Swan
২। প্রশ্ন: মেডোরিনামের উৎস কি? এটি কোন মায়াজমের উপর বেশী কার্যকরী-আলোচনা কর। ২০১৩, ১৮
উৎস (Source):
রোগজ।
মেডোরিনামের নিম্নলিখিত মায়াজমের উপর বেশী কার্যকরী:
মেডোরিনামের সাইকোসিস মায়াজমের উপর বেশী কার্যকরী ক্ষমতা প্রকাশ করে। এছাড়াও রিউমেটিক ও গাউটি ডায়াথেসিস উপর ক্রিয়া প্রকাশ করে।
৩। প্রশ্নঃ মেডোরিনামের ক্রিয়াস্থল লিখ।
মেডোরিনামের ক্রিয়াস্থল (Affinities):
(i) মন (Mind), (ii) নার্ভস (Nerves), (iii) রেসপিরেটরী সিস্টেম (Respiratory system), (iv) ব্লাড (Blood), (v) ডাইজেস্টিভ সিস্টেম, (Digestive system), (vi) ইউরিনারী সিস্টেম (Urinary system), (vii) চর্ম (Skin), (viii) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গাদি (Extremities), (ix) মেনিনজেস (Meningitis), (x) হার্ট (Heart), (xi) ঠোঁট (Lips), (xii) গ্ল্যান্ডস (Glands), (xiii) সেক্সসুয়াল অর্গান- ব্রেস্ট, নিপলস (Sexual organs- Breasts, nipples.)
৪। প্রশ্নঃ মেডোরিনামের রোগসমূহ/প্রয়োগ ক্ষেত্র লিখ।
রোগসমূহ (Disease): কাশি, এজমা, ডায়াবেটিস, মৃগী, গনোরিয়া, গনোরিয়া চাপা দেয়ার ফলে উৎপন্ন রিউমেটিজম, মাথাব্যথা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, আঁচিল, টিউমার, প্যারালাইসিস, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, লিভারের রোগ ইত্যাদি।
৫। প্রশ্নঃ মেডোরিনামের মানসিক লক্ষণাবলী বর্ণনা করা। ২০১৩, ১৮ বা, মেডোরিনামের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ।
মেডোরিনামের মানসিক লণাবলী বর্ণনা:
(i) স্মৃতি শক্তি দুর্বল। আলাপ-আলোচনার সময় কথার খেই হারিয়ে ফেলে।
(ii) না কেঁদে কিছুতেই কথা বলতে পারে না।
(iii) সময় খুব ধীরে যায়। (ক্যানাবিস ইন্ডিকা, আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম)।
(iv) অত্যন্ত ব্যস্ত, সবকিছু দ্রুত করতে চায়।
(v) রোগ আরোগ্য হবে বলে আশা পোষণ করে না। মনের একাগ্রতা আনয়ন করা কষ্টসাধ্য।
(vi) পাগল হয়ে যাবে এই জাতীয় আশঙ্কা। (ম্যান্সিনেলা)।
(vii) অনুভূতি শক্তির উন্নতাবস্থা।
(viii) স্নায়বিক, অস্থিরতা। অন্ধকার সম্পর্কে ভীতি এবং তার (স্ত্রী)
পিছনে কেউ দাড়িয়ে আছে এই জাতীয় আশঙ্কা।
(ix) বিষন্নতা, তৎসহ আত্নহত্যা করার চিন্তাসমূহ।
৬। প্রশ্নঃ মেডোরিনামের নির্দেশক/পরিচায়ক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী লিখ।
মেডোরিনামের নির্দেশক/পরিচায়ক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী:
(i) গাড়ীর ঝাঁকুনিতে মাথার ব্যথা, ক্লান্তি অথবা কষ্টকর কাজের পরে মাথার যন্ত্রণা।
(ii) নাকে প্রচন্ড চুলকানি, অগ্রভাগের শীতলতা, পিছনের অংশ অবরুদ্ধ।
২০। প্রশ্নঃ মেডোরিনামের জ্বরের লক্ষণাবলী লিখ। বা, মেডোরিনামের জ্বরের ব্যবহার লিখ। মেডোরিনামের জ্বরের ব্যবহারঃ
(i) সর্বদা পাখার বাতাস চায়।
(ii) শীত পিঠের ভিতর দিয়ে উঠা-নামা করে, পাগুলি, হাত দুটি ও অগ্রবাহুর শীতলতা। (iii) রাত্রিকালীন ঘাম ও ঘুষ ঘুষে জ্বর।
২০। প্রশ্নঃ মেডোরিনামের ঘুমের লক্ষণাবলী লিখ।
মেডোরিনামের ঘুমের লক্ষণাবলীঃ
(i) রোগী (স্ত্রী) পানি পানের স্বপ্ন দেখে (আর্সেনিক; ফসফরাস)।
(ii) হাটু দুটি বুকের কাছে গুটিয়ে নিয়ে এসে রোগী ঘুমিয়ে থাকে।
১৯। প্রশ্নঃ মেডোরিনামের হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ। ২০১৮ মেডোরিনামের হ্রাস-বৃদ্ধি:
হ্রাস: সমুদ্রের তীরে, পেটে ভর দিয়ে শুলে, আর্দ্র আবহাওয়ায়, পিছনের দিকে হেলান দিলে, অনাচ্ছাদিত অবস্থায় (খুললে), রাত্রিকালে।
বৃদ্ধি: রোগের কথা যখন চিন্তা করে, সূর্যের আলোক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়কাল, উত্তাপে, সমুদ্র উপকূল থেকে দূরবর্তী স্থানে থাকার সময়, আচ্ছাদনে, নড়াচড়ায়, ঝড়ে সময়।
২১। প্রশ্নঃ মেডোরিনাম এর পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, অনুপূরক ঔষধ, শত্রুভাবাপন্ন ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ: সালফার, থুজা।
ক্রিয়ানাশক ঔষধ: ইপিকাক।
ক্রিয়াকাল: অজানা
প্রয়োগকৃত শক্তি : ২০০, ১, ১০, ৫০M, CM
নেট্রাম মিউরিয়েটিকামের
৬। প্রশ্ন নেট্রাম মিউরিয়েটিকামের পরিচায়ক/নির্দেশক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী লিখ।
নেট্রাম মিউরিয়েটিকামের পরিচায়ক/নির্দেশক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী :
(i) মানসিক কারণে রোগের উদ্ভব, দুঃখ, ভয়, ক্রোধ প্রভৃতির কুফলসমূহ।
(ii) রক্তাল্পতা জনিত কারণে স্কুলে পড়া বালিকাদের মাথার যন্ত্রণা, স্নায়ুবিক, উৎসাহহীন, স্বাস্থ্য দুর্বল।
(iii) চোখের সামনে আগুনের ফুলকি দেখে। যাবতীয় দৃষ্ট বস্তুর সামনে আঁকাবাঁকা আগুনের রেখাসমূহ দেখা যায়।
(iv) প্রচুর পাতলা সর্দি, যা এক থেকে তিনদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়, এর পরে নাক বন্ধ হয়ে যায়, ফলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
(v) জিহ্বার উপর সাদা ফেনাযুক্ত লেপ, তৎসহ কিনারায় বুদবুদ থাকে।
শুষ্কতার অনুভূতি। জিহ্বা মানচিত্রের মত (আর্সেনিক; রাসটক্স, ট্যারাক্স)।
(vi) সমগ্র বুকে সূচবিদ্ধবৎ ব্যথা। কাশি, তৎসহ মাথার ভিতরে ফেটে যাবার মত ব্যথা।
(vii) শুষ্ক উদ্ভেদসমূহ, বিশেষ করে মাথার চর্মের চুলযুক্ত কিনারায় এবং সন্ধিস্থানের ভাঁজ হওয়া অংশে।
(viii) হৃদপিন্ডের ভিতরে ধড়ফড় করে, হৃদকম্পন, নাড়ী থেকে থেকে স্থগিত হয়ে যায়।
(ix) গোড়ালি দুটি দুর্বল সহজেই বেধে যায়। গুল্ফ-সন্ধি পেশীর ব্যথাপূর্ণ সঙ্কোচন (কষ্টিকাম)।
নেট্রাম সালফিউরিকাম
(Natrum sulphuricum)
১। প্রশ্ন : নেট্রাম সালফিউরিকামের সাধারণ পরিচিতি লিখ।
সমনাম/প্রতিনাম (Synonyms) : সোডিয়াম সালফেট (Sulphate of Sodium), গোবার্স সল্ট (Glauber’s Salt), নেট্রাম সালফিউরিকামের রাসায়নিক সংকেত: Na₂SO₄.10H2O
উৎস (Source) ৪ খনিজ।
প্রাপ্তিস্থান (Habitat) : প্রাকৃতিক খনিতে পাওয়া যায়।
গ্রুডার (Proved) : ডাঃ ইসক্রেটার ১৯৩২ সালে নেট্রাম সালফিউরিকামের প্রুভ করেন।
২। প্রশ্নঃ নেট্রাম সালফিউরিকামের ক্রিয়াস্থল লিখ। ২০১৫, ১৭
নেট্রাম সালফিউরিকামের ক্রিয়াস্থল (Affinities):
(i) মন (Mind), (ii) নার্ভস (Nerves), (iii) মাথা (Head), (iv) রেসপিরেটরী সিস্টেম (Respiratory system), (v) ইউরিনারী সিস্টেম (Urinary system), (vi) চর্ম (Skin), (vii) এবডোমেন (Abdomen) (viii) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গাদি (Extremities) (ix) পেনক্রিয়াস (Pancreas)
৩। প্রশ্নঃ নেট্রাম সালফিউরিকামের রোগসমূহ লিখ।
রোগসমূহ (Disease): এ্যাজমা, কাশি, উদরাময়, ডায়বেটিস, এপিলেপসী, গণোরিয়া, নিউমোনিয়া, মাথাব্যথা, মেনিনজাইটিস, এবডোমিনাল ডিসওডার, লিভারের রোগ ইত্যাদি।
৪। প্রশ্ন: নেট্রাম সালফিউরিকামের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ। নেট্রাম সালফিউরিকামের মানসিক লক্ষণাবলী:
(i) উদ্দীপক গান-বাজনা রোগীকে বিষণ্ণ করে তোলে।
(11) বিষাদ, তৎসহ নির্দিষ্ট সময় পর পর মানসিক উন্মত্ততা দেখা দেয়।
(iii) আত্মহত্যার প্রবণতাযুক্ত- আত্মহত্যার ইচ্ছা দমন করার জন্য চেষ্টা করতে হয়। জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা।
(iv) চিন্তা করতে অক্ষম। সামান্য শব্দে চমকিয়ে উঠে।
(v) কথা বলতে বিরক্ত হয় বা অন্যের কথা বলা পছন্দ করে না।
(vi) সকালে বিষণ্ণতা, খাওয়ার জন্য অস্থিভাব।
✓✓ প্রশ্ন: নেট্রাম সালফ এর নির্দেশক লক্ষণাবলী লিখ। বা, নেট্রাম সালফ-এর পরিচায়ক লক্ষণগুলি লিখ। ০৮, ১৫, ১৭ বা, নেট্রাম সালফিউরিকামের পরিচায়ক/নির্দেশক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী লিখ।
নেট্রাম সালফিউরিকামের পরিচায়ক/নির্দেশক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী:
(i) আত্মহত্যার প্রবণতাযুক্ত- আত্মহত্যার ইচ্ছা দমন করার জন্য চেষ্টা করতে হয়।
(ii) কাশির সময় মাথা ফেটে যাবে, এই জাতীয় অনুভূতি। মাথার উর্ধ্ব অংশে উত্তাপ অনুভূতি।
(iii) মুখগহ্বর পিচ্ছিল, গাড়, চটচটে, সাদা শ্লেষ্মা। তিতো স্বাদ, তালুর উপর ফোস্কাসমূহ।
(iv) লিউকোরিয়া (প্রদরস্রাব)- হলুদ-সবুজ বর্ণের, স্ত্রীলোকের গনোরিয়া রোগের পরে। প্রদরস্রাব সহ স্বরভঙ্গ।
(v) পিত্তযুক্ত বমি, অম্লযুক্ত অজীর্ণ, তৎসহ গলা বুক জ্বালা ও পেট ফাঁপা।
(vi) লিঙ্গের উপর আঁচিল সদৃশগুটি, কোমল, মাংসল। সবুজবর্ণের স্রাব।
(vii) কাশি তৎসহ পুরু দড়ির মত, সবুজাভ শ্লেষ্মা, বুকের ভিতরে শূণ্যতার অনুভূতি।
(viii) গেঁটে বাত। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যথার জন্য বারে বারে অবস্থানের পরিবর্তন করতে রোগী বাধ্য হয়।
(ix) মেরুদন্ড আবরক ঝিল্লীর প্রদাহ, দেহ ধনুকের মত পিছনদিকে বেঁকে যায়।
১৫। প্রশ্ন: শ্বাসতন্ত্রের উপর নেট্রাম সালফিউরিকামের ক্রিয়া বর্ণনা কর। বা, শ্বাসতন্ত্রের উপর নেট্রাম সালফের লক্ষণ বর্ণনা কর। ০৮, ১০, ১৫,১৭ বা, নেট্রাম সালফিউরিকামের শ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ।
নেট্রাম সালফিউরিকামের শ্বাস-প্রশ্বাসের বব্যহার:
(i) আর্দ্র আবহাওয়ায় শ্বাসকষ্ট।
(ii) কাশির সময় বুক চেপে ধরতে বাধ্য হয়।
(iii) আর্দ্র আবহওয়ায় উৎপন্ন হাঁপানী। ভোর ৪টা বা ৫টার সময় বুকের ভিতরে ঘড়ঘড় শব্দ।
(iv) কাশি তৎসহ পুরু দড়ির মত, সবুজাভ শ্লেষ্মা, বুকের ভিতরে শূণ্যতার অনুভূতি।
(v) অবিরাম গভীর, লম্বা-লম্বা শ্বাস নেবার ইচ্ছা।
(vi) শিশুদের হাঁপানীর ক্ষেত্রে একটি ধাতুগত ঔষধ।
(vii) নিউমোনিয়ায় প্রদাহিত অবস্থা যখন দীর্ঘ সময় ধরে চলে। কাশির সময় বুকের ভিতরে এত বেশী ব্যথা লাগে যে, রোগী বিছানায় লাফ দিয়ে উঠে বসতে বাধ্য হয়। ব্যথাপূর্ণ দিক চেপে ধরে (ব্রায়োনিয়া)।
(viii) ব্যথা বুকের বাম দিকের নিম্নাংশ দিয়ে উঠানামা করে। প্রতিবার নতুন করে ঠান্ডা লাগার পরে হাঁপানী দেখা দেয়।
১৬। প্রশ্ন: নেট্রাম সালফিউরিকামের পিঠের লক্ষণাবলী লিখ।
নেট্রাম সালফিউরিকামের পিঠের লক্ষণাবলী:
(i) শরীর থেকে জামা কাপড় খোলার পরে চুলকানি শুরু হয়।
(ii) ঘাড়ের পিছনের অংশে এবং মস্তিষ্কের পাদদেশে তীব্র ব্যথা।
(iii) দুটি স্কাপুলার মধ্যবর্তী অংশে খোঁচামারার মত ব্যথা।
(iv) মেরুদন্ডের আবরকঝিল্লীর প্রদাহ, দেহ ধনুকের মত পিছনদিকে বেঁকে যায়।
নেট্রাম সালফিউরিকামের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী: লক্ষণাবলী লিখ।
(i ) বগলের গ্রন্থিসমূহের স্ফীতি।
(ii) নখের গোড়ার চারিপাশে প্রদাহ।
(iii) পায়ের তলায় জ্বালা, পায়ের পাতার শোথ, পায়ের দুটি আঙ্গুলের মধ্যবর্তী অংশে চুলকানি।
(iv) গেঁটে বাত। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যথার জন্য বারে বারে অবস্থানের
পরিবর্তন করতে রোগী বাধ্য হয়।
(v) হিপ জয়েন্ট- স্থানে ব্যথা, বাম দিকে বেশী হয়। সামনের দিকে ঝুঁকলে ব্যথার বৃদ্ধি হয়।
(vi) হাঁটুর সন্ধির আড়ষ্টতা। সন্ধিস্থানসমূহের কট্ শব্দ হয়।
(vii) রিউমেটিজম (বাতরোগ) – আর্দ্র এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার বৃদ্ধি।
১৮। প্রশ্ন: চর্মরোগে নেট্রাম সালফের লক্ষণাবলী লিখ। ২০০৮, ১০ বা, নেট্রাম সালফিউরিকামের চর্মের লক্ষণাবলী লিখ।
(i) চিন্তা করতে অক্ষম। সামান্য শব্দে চমকিয়ে উঠে।
(ii) কথা বলতে বিরক্ত হয় বা অন্যের কথা বলা পছন্দ করে না।
(iii) জামাকাপড় শরীর থেকে খোলার পরে চুলকানি।
(iv) জন্ডিস- পানিপূর্ণ ফোস্কাসমূহ।
(v) সাইকোটিক দোষজনিত মাংসাঙ্কুর, সারা শরীরে আঁচিলের মত দেখতে লালবর্ণের পিন্ডসমূহ।
(vi) পায়ের তলায় জ্বালা, পায়ের পাতার শোথ, পায়ের দুটি আঙ্গুলের মধ্যবর্তী অংশে চুলকানি।
(vii) আত্মহত্যার প্রবণতাযুক্ত- আত্মহত্যার ইচ্ছা দমন করার জন্য চেষ্টা করতে হয়। জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা।
(viii) হলুদবর্ণের চেহারা। যে কোন প্রকার ঠান্ডা কিছু পান করার ইচ্ছা।
১৯। প্রশ্নঃ নেট্রাম সালফ একটি সাইকোটিক দোষঘ্ন ঔষধ বর্ণনা কর। ১০
নেট্রাম সালফ একটি সাইকোটিক দোষঘ্ন ঔষধ- বর্ণনাঃ
(i) বদমেজাজী। খিটখিটে। রাগের পর খিচুনি।
(ii) আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় মন ভারাক্রান্ত ও আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
(iii) সন্দেহবাতিক। যখন আত্মত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায় তখন সন্দেহপ্রবণতা ব্যাপ্ত হয়ে পড়ে।
(iv) আর্দ্র আবহওয়ায় উৎপন্ন হাঁপানী। ভোর ৪টা বা ৫টার সময় বুকের ভিতরে ঘড়ঘড় শব্দ।
(v) গেঁটে বাত। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যথার জন্য বারে বারে অবস্থানের পরিবর্তন করতে রোগী বাধ্য হয়।
(vi) দুটি স্কন্ধাস্থির মধ্যবর্তী অংশে খোঁচামারার মত ব্যথা।
২০। প্রশ্নঃ নেট্রাম সালফিউরিকামের হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ। ২০১৫, ১৭
নেট্রাম সালফিউরিকামের হ্রাস-বৃদ্ধিঃ
হ্রাস: শয়নে, ব্যায়ামে, টিপিলে, সকালে, শুষ্ক জলবায়ুতে, স্থান পরিবর্তনে।
বৃদ্ধি: গানবাজনায়, গানবাজনায় তাকে (স্ত্রী) বিষণ্ণ করে তুলে, বামদিকে শয়নে, মেঝের আর্দ্রতায়, আবহাওয়ার আর্দ্রতায়, পানিতে জন্মানো শাক-সব্জি, বর্ষাকালে, সন্ধ্যায়।
২১। প্রশ্নঃ নেট্রাম সালফ এর পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, অনুপূরক ঔষধ, শত্রুভাবাপন্ন ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
অনুপূরক ঔষধের নাম: আর্সেনিক এলবাম, থুজা ও মেডোরিনাম।
পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ: বেলেডোনা।
শত্রুভাবাপন্ন ঔষধ: নাই
ক্রিয়ানাশক ঔষধ: বেলেডোনা, থুজা।
ক্রিয়াকাল: ৩০-৪০ দিন।
প্রয়োগকৃত শক্তি: ৩০, ২০০, ১M, ১০M, ৫০M, CM
৭। প্রশ্নঃ ওপিয়ামের প্রদর্শক লক্ষণগুলি উল্লেখ কর। ০৮, ১০, ১২ বা. ওপিয়ামের চরিত্রগত/নির্দেশক/পরিচায়ক লক্ষণাবলী লিখ।
ওপিয়ামের প্রদর্শক লক্ষণসমূহঃ
(i) মুখগহ্বব- শুষ্ক। জিহ্বা কালচে, পক্ষাঘাত গ্রস্ত, রক্ত মিশ্রিত ফেনা। প্রচুর পিপাসা।
(ii) মাথার পিছনের অংশে ব্যথা, ঐ স্থানে প্রচন্ড ভারীবোধ। ফেটে যাবার মত অনুভূতি।
(iii) সম্পূর্ণ অনুভূতি শক্তিহীনতা; কোন কিছু বুঝতে পারে না।
(iv) মুখমন্ডল লাল, থম্,ে স্ফীতি, কালচে, রসে পরিপূর্ণ, উত্তপ্ত।
(v) মুখমন্ডলের পেশীসমূহের আক্ষেপিক স্পন্দন, বিশেষ করে মুখগহ্বরের কোণগুলির।
(vi) হার্ণিয়া- যে ক্ষেত্রে বেরিয়ে আসা অস্ত্র হাত দিয়ে পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।
(vii) দুর্দমনীয় কোষ্ঠকাঠিন্য, মলত্যাগ করার কোন প্রকার ইচ্ছা থাকে না।
(viii) ক্ষুধার্ত- আহার করার কোন স্পৃহা থাকে না। এবডোমেন শক্ত, স্ফীত বায়ুতে পূর্ণ।
(ix) প্রসবান্তিক আক্ষেপ, নিদ্রালুতা অথবা দুইটি আক্ষেপকালের মধ্যবর্তী সময়ে অচৈতন্য অবস্থা।
৮। প্রশ্নঃ ওপিয়ামের মস্তিষ্কের লক্ষণাবলী লিখ।
ওপিয়ামের মস্তিষ্কের লক্ষণাবলী:
(i) মাথাঘোরা, বৃদ্ধ ব্যক্তিদের মাথার ভিতরে হাল্কা বোধ।
(ii) নিস্তেজ, ভারবোধ, জড়। প্রলাপ, ভয় পাবার পরে মাথা ঘোরা।
(iii) মাথার পিছনের অংশে ব্যথা; ঐ স্থানে প্রচন্ড ভারীবোধ। (জেলস) ফেটে যাবার মত অনুভূতি।
(iv) সম্পূর্ণ অনুভূতি শক্তিহীনতা; কোন কিছু বুঝতে পারে না।
(v) মস্তিষ্কের পক্ষাঘাত।
১২। প্রশ্নঃ ওপিয়ামের মলের লক্ষণাবলী লিখ।
ওপিয়ামের মলের লক্ষণাবলীঃ
(i) দুর্দমনীয় কোষ্ঠকাঠিন্য; মলত্যাগ করার কোন প্রকার ইচ্ছা থাকে না।
(ii) মল গোলাকার, শক্ত, কালচে বর্ণের মত।
(iii) মল বেরিয়ে আসার সময় পুনরায় ভিতরে ঢুকে যায় (খুঁজা; সাইলিসিয়া)।
(iv) ক্ষুদ্রান্ত্রে মলের আক্ষেপিক অবরোধ।
(v) অসাড়ে মলত্যাগ, কালো, দুর্গন্ধ যুক্ত ও ফেনা মিশ্রিত।
(vi) সরলাস্ত্রে তীব্র ব্যথা, মনে হয় যেন সরলাস্ত্র চেপে পৃথক করা হচ্ছে।
১৩। প্রশ্ন: উদরাময় ও কলেরায় ওপিয়ামের ব্যবহার লিখ। ০৮, ১০, ১২
উদরাময় ও কলেরায় ওপিয়ামের ব্যবহার:
(i) মুখগহ্বর শুষ্ক। জিহ্বা কালচে, পক্ষাঘাতগ্রস্ত, রক্ত মিশ্রিত ফেনা। প্রচুর পিপাসা।
(ii) অসাড়ে মলত্যাগ, কালো, দুর্গন্ধ যুক্ত ও ফেনা মিশ্রিত।
(iii) সরলান্ত্রে তীব্র ব্যথা, মনে হয় যেন সরলাস্ত্র চেপে পৃথক করা হচ্ছে।
(iv) ধীরে শুরু হয়; মূত্রধারা ক্ষীণ। প্রস্রাব থলির ক্ষমতার লোপ পাওয়া অথবা অনুভূতি শক্তিহীনতা।
(v) কষ্টকর, থেমে-থেমে, গভীর অসম প্রকৃতির শ্বাস-প্রশ্বাস। বুকের ভিতরে গরম বোধ; হৃদপিন্ডের চারিপাশে জ্বলন।
১৪। প্রশ্নঃ ওপিয়ামের ইউরিনারী সিস্টেমের লক্ষণাবলী লিখ।
ওপিয়ামের ইউরিনারী সিস্টেমের লক্ষণাবলীঃ
(i) ধীরে শুরু হয়; মূত্রধারা ক্ষীণ।
(ii) বাধাপ্রাপ্ত অথবা অসাড়ে প্রস্রাব ভয় পাবার পরে।
(iii) প্রস্রাব থলির ক্ষমতার লোপ পাওয়া অথবা অনুভূতি শক্তিহীনতা।
১৫। প্রশ্ন: ওপিয়ামের ফিমেল জেনিটাল অর্গানের লক্ষণাবলী লিখ। ওপিয়ামের ফিমেল জেনিটাল অর্গানের লক্ষণাবলী:
স্ত্রীরোগ:
(i) ভয় পাওয়া থেকে বাধাপ্রাপ্ত ঋতুস্রাব।
(ii) প্রসব ব্যথার লোপ পাওয়া তৎসহ অচৈতন্য অবস্থা ও নর্তন।
(iii) প্রসবান্তিক আক্ষেপ, নিদ্রালুতা অথবা দুটি আক্ষেপ কালের মধ্যবর্তী সময়ে অচৈতন্য অবস্থা।
(iv) ভয় পাওয়া থেকে অবসন্ন গর্ভস্রাব ও অবরুদ্ধ প্রসবান্তিক স্রাব, তৎসহ গভীর নিদ্রা।
(v) জরায়ুতে প্রসব ব্যথার মত তীব্র ব্যথা, তৎসহ মলবেগ।
১৬। প্রশ্ন: ওপিয়ামের শ্বাসতন্ত্রের লক্ষণগুলি আলোচনা কর। ১০, ১২ বা, ওপিয়ামের শ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ।
ওপিয়ামের শ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী:
(i) নিদ্রা যাবার সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়; ঐ অবস্থায় জোর করে শ্বাস- প্রশ্বাস শুরু করলে আবার তা চালু হয় (গ্রিন্ডিলিয়া)।
(ii) স্বরভঙ্গ। গভীর নাক ডাকা; ঘড় ঘড় শব্দ যুক্ত গভীর শ্বাস প্রশ্বাস।
(iii) কষ্টকর, থেমে-থেমে, গভীর অসম প্রকৃতির শ্বাস-প্রশ্বাস।
(iv) বুকের ভিতরে গরম বোধ; হৃদপিন্ডের চারিপাশে জ্বলন।
(v) কাশি, তৎসহ শ্বাসকষ্ট ও মুখমন্ডল নীলচে; তৎসহ রক্ত যুক্ত শ্লেষ্মা।
১৭। প্রশ্নঃ ওপিয়ামের ঘুমের লক্ষণাবলী লিখ। সংক্ষেপে লিখ- অনিদ্রায় ওপিয়াম ২০১৬, ১৮ ওপিয়ামের ঘুমের লক্ষণাবলী:-
(1) প্রচন্ড নিদ্রালুতা (জেলস; নাক্স মস্ক্যাট)।
(ii) গভীর এবং সংজ্ঞাহীন নিদ্রা।
(iii) সম্পূর্ণ অচৈতন্য অবস্থা। ঘুমিয়ে পড়লে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।
(iv) চোখ খোলা অথচ অচৈতন্য অবস্থা।
(v) বিছানা খুঁটতে থাকে। প্রচন্ড নিদ্রালুতা, কিন্তু কিছুতেই ঘুমাতে পারে না।
(vi) দূর স্থানের শব্দ, মোরগের ডাক প্রকৃতি রোগীকে জাগিয়ে রাখে।
(vii) শিশু স্বপ্নে বিড়াল, কুকুর, কাল মূর্তিসকল দেখে থাকে।
(viii) বিছানা এত গরম বলে মনে হয়, যার ফলে রোগী তার উপর শুতে পারে না।
(ix) সুখদায়ক অবাস্তব ও অবৈধ প্রেমজনিত স্বপ্ন সমূহ।
(x) কম্পন সহ শীতবোধ; এরপরে গরম বোধ, তৎসহ ঘুম ও ঘাম হয়।
কেবলমাত্র উত্তপ্ত অবস্থায় পিপাসা।
১৮। প্রশ্ন: ওপিয়ামের জ্বরের লক্ষণাবলী লিখ।
ওপিয়ামের জ্বরের লক্ষণাবলী:-
(i) নাড়ী পূর্ণ ও মন্থর। উত্তাপ সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। উষ্ণ ঘাম।
(ii) জ্বর, তৎসহ যে সকল বৈশিষ্ট্য পূর্ণ লক্ষণ সমূহ থাকে তা হল, অচৈতন্য অবস্থা, নাক ডাকা সহ গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস,
১৯। প্রশ্ন: ওপিয়ামের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী লিখ।
ওপিয়ামের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী:
(i) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্পন্দন, প্রচুর পিপাসা এবং নিদ্রালুতা।
(ii) তাপমাত্রা সামান্য তৎসহ অচৈতন্য অবস্থা প্রাপ্তির প্রবণতা।
(iii) পিঠ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধনুষ্টঙ্কারের মত দেহ পিছন দিকে বেঁকে যায়।
পেনিসিলিনাম
(Penicillinum)
১। প্রশ্নঃ পেনিসিলিনাম এর চরিত্রগত লক্ষণাবলী বর্ণনা কর। ১২ পেনিসিলিনাম এর চরিত্রগত লক্ষণাবলী বর্ণনাঃ
(i) ইহা মূলত সিফিলিস ও সাইকোসিস মায়াজমের উপর ক্রিয়া প্রকাশ করে। সুতরাং সিফিলিস ও সাইকোসিস মায়াজমের চরিত্রগত/নির্দেশক লক্ষণাবলীর সদৃশ লক্ষণাবলীতে ব্যবহৃত হয়।
(ii) ব্রংকাইটিস, শ্বাসকষ্ট, ব্রংকাইটিসজনিত এ্যাজমাতে ইহা ব্যবহৃত হয়।
(iii) মারাত্বক ইনফেকশন, কার্বাংকল, সেপ্টিসেমিয়া, আলসার প্রভৃতিতে ইহার অভ্যন্তরিক প্রয়োগ ও বাহ্যিক লোশন আকারে প্রয়োগ করা হয়।
(iv) চোখের রোগে পেনিসিলিয়াম একটি ভাল ঔষধ। বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে ইহা কাজ করে।
(v) বিভিন্ন গ্রাম পজেটিভ ও নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে ইহা ক্রিয়া করে থাকে।
(vi) ইনফেকশন, কর্ণিয়া আলসার, কনজাংটিভার আঘাত প্রভৃতিতে পেনিসিলিনাম গুরুত্বের সাথে ব্যবহার করা হয়। ইহা একটি শক্তিশালী জীবাণুনাশক ঔষধ।
২। প্রশ্ন: চর্মরোগে পেনিসিলিনাম এর ব্যবহার লিখ। ১২ চর্মরোগে পেনিসিলিনাম এর ব্যবহার:
মারাত্বক ইনফেকশন, কার্বাংকল, সেপ্টিসেমিয়া, আলসার প্রভৃতিতে ইহার অভ্যন্তরিক প্রয়োগ ও বাহ্যিক লোশন আকারে প্রয়োগ করা হয়। চর্মরোগে পেনিসিলিনাম বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে। বিভিন্ন গ্রাম পজেটিভ ও নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে ইহা ক্রিয়া করে থাকে।
৩। প্রশ্নঃ চক্ষুরোগে পেনিসিলিনামের ব্যবহার লিখ। ১২
চক্ষুরোগে পেনিসিলিনামের ব্যবহার:
চোখের রোগে পেনিসিলিয়াম একটি ভাল ঔষধ। বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে ইহা কাজ করে। ইহা ছাড়া ইনফেকশন, কর্ণিয়া আলসার, কনজাংটিভার আঘাত প্রভৃতিতে পেনিসিলিনাম গুরুত্বের সাথে ব্যবহার করা হয়। ইহা একটি শক্তিশালী জীবাণুনাশক ঔষধ।
৪। প্রশ্নঃ পেনিসিলিনাম এর হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ।
পেনিসিলিনাম এর হ্রাস-বৃদ্ধিঃ
হ্রাস: ঘুরে, বেড়াইলে, ঠান্ডা বাতাসে।
বৃদ্ধি- প্রাতঃকালে, মাদক দ্রব্য সেবনে, গরমে।
৫। প্রশ্নঃ পেনিসিলিনাম এর পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, অনুপূরক ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ/ অনুপূরক ঔষধের নাম: ক্লোরাম ফেনিকল, এসিড ফ্লোর।
ক্রিয়ানাশক ঔষধ: ক্যাক্ষর।
প্রয়োগকৃত শক্তি: ৩০ থেকে উচ্চশক্তি।
পেট্রোলিয়ামের
৮। প্রশ্ন ৪ পেট্রোলিয়ামের নির্দেশক লক্ষণাবলী লিখ। ১১, ১৩, ১৫ আপেট্রোলিয়ামের পরিচায়ক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী লিখ।
পেট্রোলিয়ামের নির্দেশক লক্ষণাবলী:
(i) রোগী মনে করে মৃত্যু নিকটবর্তী এবং এই রোগী দ্রুততার সঙ্গে তার সমস্ত কাজকর্ম শেষ করতে চায়।
(ii) খিটখিটে, সহজেই বিরক্ত হয়, সকল কাজেই বিরক্তি।
(ii) মাথায় অত্যন্ত অনুভূতিযুক্ত, রোগীর মনে হয় তার মাথার উপর দিয়ে ঠান্ডা বাতাস বয়ে চলেছে।
(iv) শব্দ অসহ্য, বিশেষ করে যখন বহুলোক এক সঙ্গে কাজ করে।
(v) দৃষ্টি অস্বচ্ছ, দূরের বস্তু ভালো দেখে, চশমা ছাড়া ছোট ছোট অক্ষরগুলি পড়তে পারে না, অশ্রুস্রাবী গ্রন্থি থেকে শ্লেষ্মা নিঃসরণ।
(vi) চর্বিজাতীয় খাদ্য ও মাংসে তীব্র বিরক্তি, বাঁধাকপি খেলে বৃদ্ধি।
(vii) প্রচন্ড ক্ষুধা। রাত্রে ঘুম থেকে উঠে পড়ে এবং আহার করতে বাধ্য হয় (সোরিনাম)। রসুনের গন্ধ।
(viii) মাসিক ঋতুস্রাবের পূর্বে, মাথার ভিতরে দদপ্ কর অনুভূতি (ক্রিয়োজোট)।
(ix) কাশির ফলে মাথার যন্ত্রনা দেখা দেয়। বুকের ভিতর চাপবোধ।
(x) শয্যা-ক্ষত। চামড়া শুষ্ক, সঙ্কুচিত, অত্যন্ত অনুভূতি প্রবণ, খসখসে ও ফাঁটাসমূহ, চামড়ার মত।
৯। প্রশ্নঃ পেট্রোলিয়ামের মস্তিষ্কের লক্ষণাবলী লিখ। পেট্রোলিয়ামের মস্তিষ্কের লক্ষণাবলী:
(i) মাথায় অত্যন্ত অনুভূতিযুক্ত, রোগীর মনে হয় তার মাথার উপর দিয়ে ঠান্ডা বাতাস বয়ে চলেছে।
(ii) অসাড়তার অনুভূতি, যেন কাঠ দিয়ে তৈরী, মাথার পিছনের অংশে ভারীবোধ, সীসার ন্যায় ভারী (ওপিয়াম)।
১২। প্রশ্নঃ পেট্রোলিয়ামের নাকের লক্ষণাবলী লিখ।
পেট্রোলিয়ামের নাকের লক্ষণাবলীঃ
(i) নাসারন্ধ্রক্ষতযুক্ত, ফাঁটাযুক্ত, জ্বালা করে; নাকের অগ্রভাগ চুলকায়।
(ii) নাক থেকে রক্ত পড়ে। নাকে পচাক্ষত তৎসহ মামড়ী পড়ে এবং শ্লেষ্মা পুঁজযুক্ত স্রাব।
(iii) মুখমন্ডল- শুষ্ক, সংকীর্ণতার অনুভূতি, মনে হয় যেন অ্যালবিউমিন দিয়ে ঢাকা রয়েছে।
১৩। প্রশ্নঃ পাকস্থলী পীড়ায় পেট্রোলিয়ামের ব্যবহার লিখ। ১১, ১৫ পেট্রোলিয়ামের পাকস্থলী লক্ষণাবলামের ব্য
পাকস্থলী পীড়ায় পেট্রোলিয়ামের ব্যবহার:
(i) গলা বুক জ্বালা, উত্তপ্ত, তীব্র টকগন্ধযুক্ত ঢেকুর।
(ii) উদর স্ফীতি। পাকস্থলীর ভিতরে প্রচন্ড শূন্যতার অনুভূতি।
(iii) চর্বিজাতীয় খাদ্য ও মাংসে তীব্র বিরক্তি, বাঁধাকপি খেলে বৃদ্ধি।
(iv) মলত্যাগের পরেই, ক্ষুধার্ত।
(v) বমি-বমিভাব, তৎসহ মুখগহ্বরে জল জমা হয়।
(vi) পাকস্থলী যখন খালি থাকে, সেই সময় পাকস্থলীর ভিতরে শূল ব্যথা, অবিরাম আহারে উপশম (এনাকার্ডিয়াম; সিপিয়া)।
(vii) প্রচন্ড ক্ষুধা। রাত্রে ঘুম থেকে উঠে পড়ে এবং আহার করতে বাধ্য
হয় (সোরিনাম)। রসুনের গন্ধ।
(viii) উদর- কেবলমাত্র দিনের বেলায় উদরাময়, পানির মত হুস হুস করে মল বের হয়ে থাকে এবং মলদ্বারে চুলকায়।
(ix) বাঁধাকপি খাবার পরে উদরাময়, তৎসহ পাকস্থলীর ভিতরে শূন্যতার অনুভূতি।
১৮। প্রশ্নঃ পেট্রোলিয়ামের পিঠের লক্ষণাবলি লিখ।
পেট্রোলিয়ামের পিঠের লক্ষণাবলি:
(i) ঘাড়ের গ্রীবাদেশে ব্যথা, আড়ষ্ট ও ব্যথাপূর্ণ।
(ii) লাম্বো-সেক্রাল অঞ্চলে দুর্বলতা। কক্সিজিয়াল ভার্টিব্রায় ব্যথাপূর্ণ।
(iv) বগলে দূর্গন্ধযুক্ত ঘাম। হাঁটু দুইটি আড়ষ্ট।
(v) হাতের আঙ্গুলের ডগা প্রতিবার শীতকালে খসখসে হয় ও ফেটে যায়।
(vi) হাঁটুর ভিতরে মুচকিয়ে যাবার মত অনুভূতি। সন্ধিস্থানসমূহে কট্ শব্দ হয়।
১৯। প্রশ্নঃ চর্মপীড়ায় পেট্রোলিয়ামের লক্ষণাবলী বর্ণনা কর। ১১, ১৩ বা, চর্ম পীড়ায় পেট্রোলিয়ামের ব্যবহার লিখ। ২০১৭, ১৫, ১৮
চর্ম পীড়ায় পেট্রোলিয়ামের লক্ষণাবলী বর্ণনা:
(i) চর্মে রাত্রে চুলকানি।
(ii) শীতস্ফোটিক, আর্দ্র, চুলকায় ও জ্বালাকরে।
(iii) শয্যা-ক্ষত। চামড়া শুষ্ক, সঙ্কুচিত, অত্যন্ত অনুভূতি প্রবণ, খসখসে ও ফাঁটাসমূহ, চামড়ার মত।
(iv) হার্পিস। সামান্য আঁচড় লাগলেই চামড়ায় পুঁজোৎপত্তি (হিপার)। ছালউঠা।
(v) হাতগুলির সোরিয়্যাসিস।
(vi) পুরু, সবুজবর্ণের মামড়ি, জ্বালাকর ও চুলকায়, লালচে ভাব, হাজাকর, ফাঁটা স্থান থেকে সহজেই রক্তপাত হয়।
(vii) একজিমা। চামড়ার ফাঁটাসমূহ, শীতকালে বৃদ্ধি পায়।
৫। প্রশ্ন: পাইরোজেনিয়ামের রোগসমূহ/প্রয়োগ ক্ষেত্র লিখ।
রোগসমূহ (Disease): বিষাক্ত জ্বর, সেপটিসেমিয়া, ডিপথেরিয়া, নিউমোনিয়া, উদরাময়, কোষ্ঠবদ্ধতা, শ্বাসতন্ত্রের রোগ।
৬। প্রশ্ন: পাইরোজেনিয়ামের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ।
পাইরোজেনিয়ামের মানসিক লক্ষণাবলী:
(1) উদ্বেগপূর্ণ ও পাগলের মত ধারনাযুক্ত।
(ii) বাচাল। রোগী নিজেকে অত্যন্ত বিত্তশালী বলে ভাবে।
(iii) অস্থির- বাহু ও পা নিয়ে বিব্রত হয়ে পড়ে।
(iv) রোগী জেগে স্বপ্ন দেখছে না ঘুমিয়ে আছে সে নিজেই বুঝতে পারে না।
পাইরোজেনিয়ামের নির্দেশক লক্ষণাবলী লিখ। ০৮, ১০ বা, পাইরোজেনিয়ামের পরিচায়ক/নির্দেশক/চরিতগত লক্ষণাবলী লিখ।
পাইরোজেনিয়ামের পরিচায়ক/নির্দেশক/চরিতগত লক্ষণাবলী:
(i) উদ্বেগপূর্ণ ও পাগলের মত ধারনাযুক্ত। বাচাল। রোগী নিজেকে অত্যন্ত বিত্তশালী বলে মনে করে।
(ii) নাকের পাতাগুলি পাখার মত উঠা-নামা করে। (লাইকোপোডিয়াম)।
(iii) জিহ্বা শুষ্ক ও লালচে, পরিষ্কার, ফাঁটা-ফাঁটা, মসৃন, যেন বার্নিস করা।
(iv) হৃদপিন্ড অতিরিক্তপূর্ণ বলে মনে হয়। নাড়ী অস্বাভাবিক রকমের দ্রুত, তাপমাত্রার অনুপাতে নাড়ীর গতি অনেক বেশী।
(v) গর্ভপাতের পরে সেপ্টিসিমিয়া। ঋতুস্রাব তীব্র দূর্গন্ধযুক্ত।
(vi) জরায়ুর রক্তস্রাব। প্রতিবার ঋতুকালে জ্বর, তৎসহ বস্তিকোটরীয় সুপ্ত প্রদাহ।
(vii) প্রচন্ড উত্তাপ তৎসহ প্রচুর উত্তপ্ত ঘাম, কিন্তু ঘাম হবার ফলে শরীরের তাপমাত্রা কম পড়ে না।
৮। প্রশ্নঃ পাইরোজেনিয়ামের মস্তিষ্কের লক্ষণাবলী লিখ।
পাইরোজেনিয়ামের মস্তিষ্কের লক্ষণাবলী:
(1) বেদনাহীন দপদপানি।
(ii) নাকের পাতাগুলি পাখার মত উঠা-নামা করে। (লাইকোপোডিয়াম, ফসফরাস)।
(iii) মাথা ফেটে যাবার মত ব্যথা, তৎসহ অস্থিরতা।
৯। প্রশ্নঃ পাইরোজেনিয়ামের মুখগহ্বরের লক্ষণাবলী লিখ।
পাইরোজেনিয়ামের মুখগহ্বরের লক্ষণাবলী :
(i) জিহ্বা শুষ্ক ও লালচে, পরিষ্কার, ফাঁটা-ফাঁটা, মসৃন, যেন বার্নিস করা।
(ii) গলা শুষ্ক কথা উচ্চারণ কষ্টকর।
(iii) বমি-বমিভাব ও বমি।
(iv) স্বাদ অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত।
(v) শ্বাস-প্রশ্বাস অত্যন্ত দূর্গন্ধযুক্ত।
১০। প্রশ্নঃ পেটের গোলযোগে ইহার প্রয়োগ লক্ষণগুলি লিখ। ০৮ বা, পাইরোজেনিয়ামের পাকস্থলীর লক্ষণাবলী লিখ।
পেটের গোলযোগে পাইরোজেনিয়ামের প্রয়োগ লক্ষণগুলি:
(i) কফির মত রঙযুক্ত বমি।
(ii) পানি পাকস্থলীতে গিয়ে গরম হবার পরে বমি হয়ে যায়।
উদর-
(i) প্রস্রাব থলি ও সরলান্ত্রে অসহ্য কোঁথ।
(ii) স্ফীত, ক্ষত বৎ, কেটে ফেলার মত ব্যথা।
মল-
(1) উদরাময়, অত্যন্ত দূর্গন্ধযুক্ত, বাদামী-কালচে বর্ণ, ব্যথাহীন, অসাড়ে মলত্যাগ।
(ii) কোষ্ঠকাঠিন্য তৎসহ সরলান্ত্রের সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় অবস্থা (ওপিয়াম); মল জড়িয়ে দিয়ে দুর্দমনীয় কোষ্ঠকাঠিন্য।
(ii) মল বৃহৎ, কালো, পঁচা গন্ধযুক্ত, অথবা কালো মার্বেলের মত।
১১। প্রশ্নঃ পাইরোজেনিয়ামের হৃদপিন্ডের লক্ষণাবলী লিখ।
পাইরোজেনিয়ামের হৃদপিন্ডের লক্ষণাবলী:-
(1) হৃদপিন্ড অতিরিক্তপূর্ণ বলে মনে হয়। নাড়ী অস্বাভাবিক রকমের দ্রুত, তাপমাত্রার অনুপাতে নাড়ীর গতি অনেক বেশী।
(ii) বামদিকের স্তনবৃত্তের স্থানে ব্যথা। হৃদপিন্ডের অবস্থান সম্পর্কে সচেতনতা।
১২। প্রশ্নঃ পাইরোজেনিয়ামের স্ত্রীরোগের লক্ষণাবলী লিখ।
পাইরোজেনিয়ামের স্ত্রীরোগের লক্ষণাবলী:-
(1) প্রসবাস্তিক অস্থাবরণ ঝিল্লীর প্রদাহ, তৎসহ তীব্র দূর্গন্ধ।
(ii) গর্ভপাতের পরে সেপ্টিসিমিয়া। ঋতুস্রাব প্রচন্ড দূর্গন্ধযুক্ত।
(iii) জরায়ুর রক্তস্রাব। প্রতিবার ঋতুকালে জ্বর, তৎসহ বস্তিকোটরীয় সুপ্ত প্রদাহ।
(iv) প্রসবাস্তিক সেপটিক সংক্রামন। প্রদাহিক রস নিঃসরণ। অস্ত্রোপচারের পরে যখন সেপটিক অবস্থা দেখা দেয়।
১৩ প্রশ্ন সেপটিক জ্বরে পাইরোজেনিয়ামের লক্ষণাবলী বর্ণনা কর। বা, পাইরোজেনিয়ামের জ্বরের লক্ষণাবলী লিখ। ০৮, ১০
সেপটিক জুরে পাইরোজেনিয়ামের লক্ষণাবলী: (1) শীতলতা ও শীতবোধ। সেপটিক জ্বর।
(ii) সুপ্ত পুজোৎপত্তি সম্বন্ধীয় অবস্থা, শীত পিঠের দিক থেকে শুরু হয়।
iii) তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকে।
(iv) প্রচন্ড উত্তাপ তৎসহ প্রচুর উত্তপ্ত ঘাম, কিন্তু ঘাম হবার ফলে শরীরের তাপমাত্রা কম পড়ে না।
(v) উদ্বেগপূর্ণ ও পাগলের মত ধারনাযুক্ত।
(vi) রোগী জেগে স্বপ্ন দেখছে না ঘুমিয়ে আছে সে নিজেই বুঝতে পারে না।
১৪। প্রশ্নঃ পাইরোজেনিয়ামের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী লিখ।
পাইরোজেনিয়ামের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী:
(1) ঘাড়ের রক্তবহানালীগুলিতে স্পন্দন।
(ii) হাতগুলি, বাহুগুলি ও পায়ের পাতার অসাড়তা।
(iii) শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ও অস্থিসমূহে কঙ্কনানী।
(iv) বিছানা অত্যন্ত শক্ত বলে মনে হয় ( আর্নিকা)।
(v) সকালের দিকে প্রচন্ড দুর্বলতা। টাটানি ব্যাথা, নড়াচড়ায় উপশম (রাসটক্স)। দূষিত অবস্থা থেকে উৎপন্ন শয্যাক্ষত।
১৫। প্রশ্ন: পাইরোজেনিয়ামের চর্মের লক্ষণাবলী লিখ। পাইরোজেনিয়ামের চর্মের লক্ষণাবলী:-
(1) সামান্য কাটা বা আঘাত প্রচন্ড ফুলে উঠে ও প্রদাহিত হয় আক্রান্ত অংশের রঙ পরিবর্তীত হয়। শুষ্ক।
১৬। প্রশ্ন: পাইরোজেনিয়ামের ঘুমের লক্ষণাবলী লিখ।
পাইরোজেনিয়ামের ঘুমের লক্ষণাবলী : (ⅰ) অর্ধনিদ্রিত অবস্থায় আছে
বলে মনে হয়।
(ii) সারা রাত্রি স্বপ্ন দেখে।
১৭। প্রশ্নঃ “পাইরোজেনিয়াম পচন নিবারক ঔষধ”- ব্যাখ্যা কর। ১০০ “পাইরোজেনিয়াম পচন নিবারক ঔষধ”- ব্যাখ্যাঃ
(i) সামান্য কাটা বা আঘাত প্রচন্ড ফুলে উঠে ও প্রদাহিত হয় আক্রান্ত অংশের রঙ পরিবর্তীত হয়। শুষ্ক।
(ii) সকালের দিকে প্রচন্ড দুর্বলতা। টাটানি ব্যাথা, নড়াচড়ায় উপশম (রাসটক্স)। দূষিত অবস্থা থেকে উৎপন্ন শয্যাক্ষত।
(iii) জিহ্বা শুষ্ক ও লালচে, পরিষ্কার, ফাঁটা-ফাঁটা, মসৃন, যেন বার্নিস করা।
(iv) শ্বাস-প্রশ্বাস অত্যন্ত দূর্গন্ধযুক্ত।
(v) গর্ভপাতের পরে সেপ্টিসিমিয়া। ঋতুস্রাব প্রচন্ড দূর্গন্ধযুক্ত।
(vi) প্রসবান্তিক সেপটিক সংক্রামন। প্রদাহিক রস নিঃসরণ। অস্ত্রোপচারের পরে যখন সেপটিক অবস্থা দেখা দেয়।
(vii) উদ্বেগপূর্ণ ও পাগলের মত ধারনাযুক্ত।
(viii) রোগী জেগে স্বপ্ন দেখছে না ঘুমিয়ে আছে সে নিজেই বুঝতে পারে না।
১৮। প্রশ্নঃ পাইরোজেনিয়ামের হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ।
পাইরোজেনিয়ামের হ্রাস-বৃদ্ধিঃ
পাইরোজেনিয়ামের হ্রাস: নড়াচড়ায়, বিশ্রামে।
পাইরোজেনিয়ামের বৃদ্ধি: রাত্রে, চুপচাপে, বসে থাকলে, এক পাশে শুইলে, গরম ঘরে।
১৯। প্রশ্নঃ পাইরোজেনিয়াম এর পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, অনুপূরক ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
অনুপূরক ঔষধের নাম: ব্রায়োনিয়া, আর্সেনিক।
পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ : এসিনেসিয়া, কার্বো-ভেজ, আর্সেনিক, ল্যাকেসিস, রাস-টক্স, ব্যাপ্টিসিয়া।
ক্রিয়ানাশক ঔষধ : ল্যাকেসিস, আর্সেনিক।
প্রয়োগকৃত শক্তি: ৬ষ্ঠ, ৩০ থেকে উচ্চশক্তি।
ব্রণ, এ্যাজমা, কাশি, কোষ্ঠবদ্ধতা, উদরাময়, ডিপথেরিয়া, একজিমা, গণোরিয়া, গাউট, মাথাব্যথা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, পলিপাস, টনসিলাইটিস।
৬। প্রশ্নঃ সোরিণামের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ। ২০১৭
সোরিণামের মানসিক লক্ষণাবলী:
(i) নৈরাশ্য, আরোগ্য সম্পর্কে হতাশ। (ii) বিষন্নতা, গভীর ও স্থায়ী,
ধর্মপ্রাণ। (iii) আত্মহত্যা করার প্রবণতা।
৭। প্রশ্ন: সোরিণামের চরিত্রগত/নির্দেশক/পরিচায়ক লক্ষণাবলী লিখ। ১৮ সোরিণামের চরিত্রগত/নির্দেশক/পরিচায়ক লক্ষণাবলী:
(i) নৈরাশ্য, আরোগ্য সম্পর্কে হতাশ। বিষন্নতা, গভীর ও স্থায়ী, ধর্মপ্রাণ। আত্মহত্যা করার প্রবনতা।
(ii) পুরাতন মাথার যন্ত্রনা; রোগাক্রমণকালে ক্ষুধার্ত, তৎসহ মাথাঘোরা। হাতুড়ি দিয়ে ঘা মারার মত ব্যথা।
(iii) চোখ জুড়ে যায়। চোখের পাতার প্রদাহ। পুরাতন চক্ষু প্রদাহ, যা বারে বারে দেখা দেয়।
(iv) প্রচুর, দূর্গন্ধযুক্ত লালাস্রাব, গলায় চটচটে শ্লেষ্মা। বারে বারে পুঁজযুক্ত টনসিল প্রদান। এই ঔষধ পূঁজযুক্ত টনসিল প্রদাহের প্রবণতা নাশ করে।
(v) পঁচা ডিমের মত গন্ধযুক্ত ঢেকুর। সর্বদা অত্যন্ত ক্ষুধার্ত; রাত্রির মধ্যভাগে অবশ্যই কিছু আহার করতে বাধ্য হয়।
(vi) শক্ত, কষ্টকর মলত্যাগ তৎসহ সরলাস্ত্র থেকে রক্ত আসে এবং জ্বালাকর অর্শ।
(vii) সন্ধিগুলির দুর্বলতা, যেন মনে হয় ঐগুলি পরস্পরের সঙ্গে আটকিয়ে থাকবে না।
(viii) কানের চারিপাশে দূর্গন্ধযুক্ত রস নিঃসরণশীল একজিমা।
১৮। প্রশ্ন: সোরিণামের চর্মের লক্ষণাবলী লিখ। বা, চর্মরোগে ইহার ব্যবহার লিখ। ২০১৭
সোরিণামের চর্মের লক্ষণাবলী:
(i) চর্ম মলিন, অপরিষ্কার
। (ii) শুদ্ধ, অনুজ্জ্বল, খসখসে চুল। অসহ্য চুলকানি। মাথার চর্মে ও সন্ধিস্থানের বিবৃদ্ধি।
(iii) সিবাশিয়াস গ্রন্থি থেকে প্রচুর পরিমানে স্রাব নির্গত হয়, তৈলাক্ত চর্মে।
(iv) নিষ্ক্রিয় ক্ষতসমূহ, খুব ধীরে-ধীরে আরোগ্য হয়।
(v) সারা শরীরের মামড়ীযুক্ত উদ্ভেদসমূহ। হাতের আঙ্গুলগুলির নখের নিকটে পুঁজযুক্ত উদ্ভেদসমূহ। কানের পিছনে একজিমা।
(vi) জ্বর-প্রচুর উত্তাপ, দূর্গন্ধযুক্ত ঘাম, রাত্রিকালীন ঘাম।
১৯। প্রশ্নঃ সোরিণামের হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ।
সোরিণামের হ্রাস-বৃদ্ধিঃ
হ্রাস: উত্তাপে, গরম জামা-কাপড়ে, এমনকি গ্রীষ্মকালে, আহারে, ঘরের মধ্যে, নাক দিয়ে রক্ত পড়লে।
বৃদ্ধি: কফি সেবন, আবহাওয়া পরিবর্তন, উত্তপ্ত সূর্যালোকে, ঠান্ডায়, সন্ধ্যাকালে, ফল খেলে, রাত্রির দ্বিতীয় প্রহরের পূর্বে।
২০। প্রশ্নঃ সোরিণাম এর পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, অনুপূরক ঔষধ, শত্রুভাবাপন্ন ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
অনুপূরক ঔষধের নাম: সালফার, টিউবারকুলিনাম।
পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ : এলুমিনা, বোরাক্স, ব্যারাইটা কার্ব, কার্বো- ভেজ, চায়না, সালফার।
শত্রুভাবাপন্ন ঔষধ: সিপিয়া। ক্রিয়ানাশক ঔষধ: কফিয়া।
ক্রিয়াকাল: ৩০-৪০ দিন।
প্রয়োকৃত শক্তি: ৩০, ২০০, ১M, ১০M, ৫০M, CM
হায়োসায়েমাস নায়েগ্রার
৩। প্রশ্ন: হায়োসায়েমাস নায়েগ্রার ক্রিয়াস্থল লিখ।
হায়োসায়েমাস নায়েগ্রার ক্রিয়াস্থল (Affinities) 8
(i) মন (Mind), (ii) নার্ভাস (Nerves), (iii) মস্তিষ্ক (Brain), (iv) ব্লাড (Blood), (v) মাংস পেশি (Muscles), (vi) চোখ (Eyes) (vii) মুখমন্ডল (Face)
৪। প্রশ্ন: হায়োসায়েমাস নায়েগ্রা এর কারণতত্ত্ব লিখ। হায়োসায়েমাস নায়েগ্রার কারণতত্ত্ব (Aetiology):
(ক) মূলকারণ (Fandamental cause) : সোরা, সিফিলিস
(খ) উত্তেজক/ আনুসঙ্গিক কারণ (Exiting/Accessory/Auxiliary cause): ভয়, ইন্টেস্টাইনাল প্যারাসাইট, অনাকাক্ষিত ভালবাসা।
৫। প্রশ্ন: হায়োসায়েমাস নায়েগ্রার প্রয়োগ ক্ষেত্র লিখ।
হায়োসায়েমাস নায়েগ্রার প্রয়োগ ক্ষেত্র : এনজিনা পেক্টোরিস, ব্রংকাইটিস, কলেরা, কাশি, উদরাময়, মাথাব্যথা, মৃগী, মেনিনজাইটিস, প্যারালাইসিস, নিউমোনিয়া, নিউরালজিয়া, এন্টেরিক ফিভার।
। ৩। প্রশ্ন: হায়োসায়েমাস নায়েগ্রার মানসিক লক্ষণাবলী লিখ। বা, ইহার মানসিক লক্ষণসহ হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ। ১২ হায়োসায়েমাস নায়েগ্রার মানসিক লক্ষণাবলী:
(i) প্রচন্ড সন্দেহ প্রবণ।
(ii) বাচাল, অশ্লীল, কামুকপ্রবণ, শরীরে আচ্ছাদন রাখে না, হিংসুটে, বোকা।
(iii) প্রচন্ড প্রফুল্লতা, সকল বিষয়ে থাকার প্রবণতা।
(iv) প্রলাপ বকা, তৎসহ দৌড়ে পালাবার প্রবৃত্তি।
(v) বিড়বিড় করে প্রলাপ বকা, অবিরাম হাত বাড়িয়ে কল্পিত কোন বস্তু ধরার চেষ্টা, গভীর অচৈতনা অবস্থা।
৭। প্রশ্ন ও হায়োসিয়ামাসের নির্দেশক লক্ষণগুলি লিখ। ১২, ১৮ বী, হায়োসিয়ামাসের চারিত্রিক/পরিচায়ক লক্ষণাবলী লিখ।
হায়োসিয়ামাসের নির্দেশক লক্ষণসমূহ:
(১) প্রচন্ড সন্দেহপ্রবণ, বাচাল, অশ্লীল, কামুকপ্রবণ, শরীরে আচ্ছাদন রাখে না, হিংসুটে,
(ii) জিহ্বা শুষ্ক, লাল, ফাঁটা, আড়ষ্ট ও নড়াচড়া করতে পারে না।
(iii) জিহ্বা বার করতে কষ্ট হয়, কথা জড়িয়ে যায়।
(iv) মস্তিষ্কের প্রদাহ তৎসহ অচৈতন্য অবস্থা, মাথা এদিক ওদিক নাড়ে।
(v) চোখের তারা বিস্ফরিত, চক্চক্ করে, স্থির। চোখ খোলা, কিন্তু কোন কিছুতেই দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে না।
(vi) হিক্কা, শূণ্য ঢেকুর, তিতো স্বাদ, বমি-বমি ভাব, তৎসহ মাথাঘোরা।
(vii) শূলব্যথা, তৎসহ বমি, ঢেকুর উঠা, হিক্কা, চিৎকার। পেট ফাঁপা। পেটের উপর লাল ছোপ।
৮। প্রশ্ন: হায়োসিয়ামাসের মাথার লক্ষণাবলী লিখ। হায়োসিয়ামাসের মাথার লক্ষণাবলী:
(i) হাল্কা ও বিভ্রান্তিকর অনুভূতি, মাদকাসক্তের ন্যায় মাথাঘোরা।
(ii) মস্তিষ্কের শিথিল, স্থানান্তরিত হবার মত অনুভূতি।
(iii) মস্তিষ্কের প্রদাহসহ অচৈতন্য অবস্থা, মাথা এদিক-ওদিক নাড়তে থাকা।
৯। প্রশ্ন: হায়োসিয়ামাসের চোখের লক্ষণাবলী লিখ।
হায়োসিয়ামাসের চোখের লক্ষণাবলী:
(i) চোখের তারা বিস্ফরিত, চক্চক্ করে, স্থির। চোখ খোলা, কিন্তু কোন কিছুতেই দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে না।
(ii) নিচের দিকে দৃষ্টি এবং স্থির। ট্যারা দৃষ্টি। চোখের পাতার আক্ষেপের সঙ্গে বন্ধ অবস্থা।
(iii) দ্বিত দৃষ্টি। দৃষ্টবস্তুর কিনারাগুলি রঙিন দেখায়।
১২। প্রশ্ন: হায়োসিয়ামাসের প্রস্রাবের লক্ষণাবলী লিখ। হায়োসিয়ামাসের প্রস্রাবের লক্ষণাবলী:
(i) অসাড়ে প্রস্রাব।
(ii) প্রস্রাব থলির পক্ষাঘাত। প্রস্রাব করার কোন বেগ থাকে না।
১৩। প্রশ্নঃ হায়োসিয়ামাসের পুরুষের রোগ লক্ষণাবলী লিখ।
হায়োসিয়ামাসের পুরুষের রোগ লক্ষণাবলী:
(1) ধবজভঙ্গ। কামুক প্রবণ, নিজের (পুং) শরীরে আচ্ছাদন রাখে না।
(ii) জ্বরের সময় যৌনাঙ্গ নিয়ে খেলা করে।
প্রশ্নঃ স্ত্রী রোগে হায়োসিয়ামাসের ব্যবহার লিখ। ২০১২, ১৮ বা, স্ত্রী রোগে হায়োসিয়ামাসের লক্ষণাবলী লিখ।
স্ত্রী রোগে হায়োসিয়ামাসের ব্যবহার:
(ⅰ) ঋতুস্রাবের আগে, হিষ্টিরিয়ার মত আক্ষেপ। কামেচ্ছা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত।
(ii) ঋতুচলাকালে, আক্ষেপিক নড়াচড়া, প্রচুর প্রস্রাব ও ঘাম।
(iii) প্রসবান্তি স্রাবের চাপা পড়া।
(iv) গর্ভাবস্থায় স্ত্রীলোকের আক্ষেপ।
(v) প্রসবাস্তিক উন্মাদ অবস্থা।
১৫। প্রশ্ন: হায়োসিয়ামাসের শ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ।বা, সংক্ষেপে লিখ: কাশিতে হায়োসিয়ামাস ১৩
হায়োসিয়ামাসের শ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী :-
(i) শ্বাসরুদ্ধকর তড়কা। আক্ষেপ, এর ফলে রোগী সামনের দিকে মোচড়িয়ে যেতে বাধ্য হয়।
(ii) রাত্রে শুষ্ক, আক্ষেপিক কাশি শুয়ে পড়লে বৃদ্ধি; বসে থাকলে উপশম।
(iii) গলার ভিতর চুলকানি থেকে কাশি, যেন আলজিহ্বা অনেকটা বড় হবার মত অবস্থা।
(iv) কাশির সঙ্গে রক্ত উঠে।
হেলিবোরাস নাইজার
৩। প্রশ্নঃ হেলিবোরাস নাইজার ক্রিয়াস্থল লিখ। ০৯, ১১, ১৬ হেলিবোরাস নাইজার ক্রিয়াস্থল (Affinities) :
(i) মন (Mind), (ii) মেনিনজেস (Meninges), (iii) মস্তিষ্ক (Brain), (iv) কিডনী (Kidneys), (v) মাংস পেশি (Muscles), (vi) মিউকাস ও সেরাস মেমব্রেন (Mucous & Serous membranes)
৪। প্রশ্নঃ হেলিবোরাস নাইজার কারণতত্ত্ব লিখ।
হেলিবোরাস নাইজার কারণতত্ত্ব (Aetiology):
ক. মূলকারণ (Fandamental cause): সোরা
খ. উত্তেজক/আনুসঙ্গিক কারণ (Exiting / Accessory/ Auxiliary cause) : দাঁত উঠার সময়, পেগনেন্সীর সময়।
গঠনগত/ধাতুগত বৈশিষ্ট্য (Constitution): দুর্বল চিত্তের শিশু। মেজাজ- উত্তেজিত প্রকৃতির। মায়াজম- সোরা। কাতরতা- শীতকাতর।
৫। প্রশ্ন: হেলিবোরাস নাইজার রোগসমূহ লিখ।
রোগসমূহ (Disease): কলেরা, উদরাময়, কনভালশন, হাইড্রোসেপালাস, শোথ, মেনিনজাইটিস, টাইফয়েড, টিটেনাস, মূত্র সম্বন্ধীয় রোগ ইত্যাদি।
৬। প্রশ্ন: হেলিবোরাস নাইজার মানসিক লক্ষণ বর্ণনা কর। ২০০৯, ১৯, ১৬
হিলিবোরাস নাইজার মানসিক লক্ষণাবলীঃ
(i) কোন কিছুর উত্তর করে ধীরে ধীরে। চিন্তাশক্তিহীন, একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
(ii) অনৈচ্ছিকভাবে দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ।
(iii) সম্পূর্ণ অচৈতন্য অবস্থা। ঠোঁট ও জমা-কাপড় খুঁটতে থাকে।
৭। হেলিবোরাস এর নির্দেশক লক্ষণাবলী লিখ। ০৯, ১৬ বা, হেলিবোরাস-এর পরিচায়ক লক্ষণাবলী লিখ। ১১
হেলিবোরাস নাইজারের পরিচায়ক লক্ষণাবলীঃ
(1) কোন কিছুর উত্তর করে ধীরে ধীরে। চিন্তাশক্তিহীন, একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
(ii) মাথার পিছনের অংশে মৃদু ব্যথা, তৎসহ মাথার ভিতরে জলোচ্ছ্বাসের অনুভূতি। মাথা ব্যথার শেষে বমি।
(iii) দাঁত কড়মড় করা। চিবানোর মত নড়াচড়া। লোভের বশবর্তী হয়ে ঠান্ডা জল গিলতে থাকে, যদিও এই অবস্থায় রোগী অচৈতন্য থাকে।
(iv) মুখ থেকে তীব্র দূর্গন্ধ বেরিয়ে থাকে। ঠোঁট শুষ্ক ও ফাঁটা। জিহ্বা লালচে ও শুষ্ক।
(v) মূত্রারোধ, অল্প, কালচে, কফির মত তলানিযুক্ত, বারে বারে বেগ।
(vi) চোখের তারাগুলি উপর দিকে উঠে যায়; ট্যারা দৃষ্টি; উদ্দেশ্যহীনভাবে চেয়ে থাকে।
(vii) চোখের তারা বিস্ফরিত। চোখদুটি বিস্তৃতভাবে খোলা, চোখ কোটর গত।
৮। প্রশ্ন: হেলিবোরাস নাইজারের মাথার লক্ষণাবলী লিখ। বা, মস্তিষ্ক ঝিল্লী প্রদাহে ইহার ব্যবহার উল্লেখ কর। ১১, ১৬ হেলিবোরাস নাইজারের মাথার লক্ষণাবলী:
(i) কপালের চর্ম ভাঁজ হয়ে কুঁচকিয়ে থাকে, ঠান্ডা ঘাম।
(ii) হত চেতনাকারক মাথার ব্যথা। দিনে এবং রাত্রে মাথা এদিক- ওদিক নাড়তে থাকে করুন সুরে কাঁদে, ‘হঠাৎ করে চিৎকার করে উঠে।
(iii) বালিশের উপর মাথা গুজে রাখে; মাথায় হাত দিয়ে আঘাত করে।
(iv) মাথার পিছনের অংশে মৃদু ব্যথা, তৎসহ মাথার ভিতরে জলোচ্ছ্বাসের অনুভূতি। মাথা ব্যথার শেষে বমি।
স্ট্রামোনিয়াম
(Stramonium)
১। প্রশ্নঃ স্ট্রামোনিয়ামের সাধারণ পরিচিতি লিখ।
Botanical name & Datura stramonium. Linn
সমনাম/প্রতিনাম (Synonyms) : দুতুরা, খোর্ন আপেল, পেরুর আতা, কাঁটা আতা, সোলানাম মেনিয়াকাস, ষ্টিংক উইড, স্ট্রামোনিয়াম।
ভূখস (Source): উদ্ভিদ। সোলানেসি গোত্রের উদ্ভিদ
প্রাপ্তিস্থান (Habitat) : ইউরোপ মহাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, হিমালয় পর্বত, ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশে পাওয়া যায়।
ঔষধে ব্যবহৃত অংশ (Part used): ফুল ও ফলসহ সমস্ত উদ্ভিদ।
ঔষধের শক্তি : ১/১০ বা ১ এক্স
প্রস্তুত প্রণালী (Preparation) : মেসেরেশন এবং শ্রেণী- সি
উপাদান- ফুল ও ফলসহ সমস্ত উদ্ভিদ ১০০ গ্রাম
বিশুদ্ধ পানি
৫৫০ মিলি.
স্ট্রংএলকোহল
৪৫০ মিলি,
এক লিটার মাদার টিংচার প্রস্তুত হবে। প্রস্তুত formula F-4
প্রভার (Proved) : ডাঃ ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেড্রিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান
স্ট্রামোনিয়াম ঔষধটি প্রুভ করেন।
২। প্রশ্ন: স্ট্রামোনিয়ামের ক্রিয়াস্থল লিখ।
স্ট্রামোনিয়ামের ক্রিয়াস্থল (Affinities):
(1) মন (Mind), (ii) নার্ভাস সিস্টেম (Nervous system),
(iii) মস্তিষ্ক (Brain), (iv) সারকুলেশন (Circulation),
(v) মাংস পেশি (Muscles), (vi) সেক্স অর্গান (Sex Organs)
৩। প্রশ্ন: স্ট্রামোনিয়াম মানসিক লক্ষণাবলী লিখ। বা, সংক্ষেপে লিখ- মানসিক রোগে স্ট্রামোনিয়াম।০৮
স্ট্রামোনিয়ামের মানসিক লক্ষণাবলী:
(1) ধর্ম প্রবণ, সকাতর, প্রার্থনাশীল এবং অবিরত বকে যাওয়া।
(ii) বাচাল, অবিরত কথা বলে, হাসে, গান গায়, শপথ করে, প্রার্থনা করে, কবিতা আবৃত্তি করে।
(iii) ভূতপ্রেত দেখে, অলীক স্বর শোনে, ভূতের সহিত কথা বলে। আনন্দ হতে হঠাৎ নিরানন্দ দেখা দেয়।
(iv) প্রচন্ডতা এবং কামুকতা, তার নিজের সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা, মনে করে সে লম্বা হয়েছে। দ্বিগুন হয়ে পড়ছে, তার কোন দেহাংশ খসে গেছে।
(v) ধর্ম বিষয়ক উন্মত্ততা। নির্জনতা বা অন্ধকার সহ্য করতে পারে না।
(vi) আলোক ও লোক সংসর্গ থাকা চাই।
(vii) পানি অথবা চকচকে কিছু দেখলে আক্ষেপ উপস্থিত হয়। পালিয়ে যাবার প্রবৃত্তিসহ প্রলাপ (বেল, ব্রায়োনিয়া, রাস-টক্স)।
৪। প্রশ্ন: স্ট্রামোনিয়াম এর পরিচায়ক লক্ষণ লিখ। বা, স্ট্রামোনিয়ামের নির্দেশক লক্ষণাবলী লিখ। ১২, ১৬
স্ট্রামোনিয়ামের নির্দেশক লক্ষণাবলী:
(i) ধর্ম বিষয়ক উন্মত্ততা। নির্জনতা বা অন্ধকার সহ্য করতে পারে না।
(ii) অস্পষ্ট দৃষ্টি দেখা দিয়ে রন্ধ্রকরণবৎ শিরঃপীড়া উপস্থিত হয়।
(iii) মস্তকে রক্তের উচ্ছাস, টলমল করে, সম্মুখে অথবা বামদিকে পড়ে যাবার মত হয়। অলীক শব্দ শোনে।
(iv) চোখ উজ্জ্বল দেখায়, একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে।
(v) চোখের তারকা দুটি প্রসারিত। দৃষ্টিহীনতা।
(vi) খাদ্যবস্তু ঘাসের মত লাগে। প্রবল তৃষ্ণা। শ্লেষ্মা ও সবুজ পিত্ত বমি।
(vii) অতিরজঃ তৎসহ বাচালতা, গান করা। প্রার্থনা করা, সৃতিকা সম্পর্কীয়
উন্মাদ রোগ, তৎসহ চরিত্রগত মানসিক লক্ষণ ও প্রচুর ঘাম।
(viii) আংশিক আক্ষেপ, অবিরত স্থান পরিবর্তন করে। বাম জানুতে প্রবল ব্যথা। বন্ধনীসমূহ কাঁপে ও মোচড়ায় টলমল করে পদক্ষেপ করে।
৯। প্রশ্নঃ তোতলামিতে স্ট্রামোনিয়ামের ব্যবহার লিখ। ১২, ১৬ বা, স্ট্রামোনিয়ামের মুখগহ্বরের লক্ষণাবলী লিখ।
তোতলামিতে স্ট্রামোনিয়ামের ব্যবহার:
(i) বাচাল, অবিরত কথা বলে, হাসে, গান গায়, শপথ করে, প্রার্থনা করে, কবিতা আবৃত্তি করে।
(ii) মুখগহ্বর শুষ্ক, চটচটে লালা গড়িয়ে পড়ে। পানির অপ্রবৃত্তি।
(iii) তোতলামী, আক্ষেপিক ও অনৈচ্ছিক হাসি।
(iv) আক্ষেপ হেতু গিলতে পারে না। চিবানোর ন্যায় ভঙ্গি করে।
(v) ধর্ম বিষয়ক উন্মত্ততা। নির্জনতা বা অন্ধকার সহ্য করতে পারে না।
(vi) অস্পষ্ট দৃষ্টি দেখা দিয়ে রন্ধকরণবৎ শিরঃপীড়া উপস্থিত হয়।
(vii) মস্তকে রক্তের উচ্ছাস, টলমল করে, সম্মুখে অথবা বামদিকে পড়ে যাবার মত হয়। অলীক শব্দ শোনে।
১০। প্রশ্নঃ স্ট্রামোনিয়ামের পুংজনন ইন্দ্রিয়ের লক্ষণাবলী লিখ। স্ট্রামোনিয়ামের পুংজনন ইন্দ্রিয়ের লক্ষণাবলী:-
(i) সংগম লালসা তৎসহ অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করে।
(ii) জনন ইন্দ্রিয়স্থানে অবিরত হাত দেয়।
১১। প্রশ্ন: স্ট্রামোনিয়ামের স্ত্রী জননইন্দ্রিয়ের লক্ষণাবলী লিখ। স্ট্রামোনিয়ামের স্ত্রী জননইন্দ্রিয়ের লক্ষণাবলী:
(i) অতিরজ তৎসহ বাচালতা, গান করা। প্রার্থনা করা, সূতিকা সম্পর্কীয় উন্মাদ রোগ, তৎসহ চরিত্রগত মানসিক লক্ষণ ও প্রচুর ঘাম।
(ii) প্রসবের পড় তড়কা।
(iii) নিদ্রা- ভয় পেয়ে জেগে উঠে, ভয়ে চিৎকার করে।
(iv) গভীর নাক ডাকা ঘুম।
(v) নিদ্রালু কিন্তু ঘুমাতে পারে না (বেল)।
১২। প্রশ্নঃ স্ট্রামোনিয়াম ও হায়োসিয়ামাসের মানসিক লক্ষণের তুলনা কর। ২০১২, ১৬
স্ট্রামোনিয়াম ও হায়োসিয়ামাসের মানসিক লক্ষণের তুলনা:
স্ট্রামোনিয়ামের মানসিক লক্ষণাবলীঃ
(ⅰ) ধর্ম প্রবণ, সকাতর, প্রার্থনাশীল এবং অবিরত বকে যাওয়া।
(ii) বাচাল, অবিরত কথা বলে, হাসে, গান ও শপথ করে, প্রার্থনা করে।
(iii) ভূতপ্রেত দেখে, অলীক স্বর শোনে, ভূতের সহিত কথা বলে। আনন্দ হতে হঠাৎ নিরানন্দ দেখা দেয়।
(iv) প্রচন্ডতা এবং কামুকতা, তার নিজের সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা, মনে করে সে লম্বা হয়েছে। দ্বিগুন হয়ে পড়ছে, তার কোন দেহাংশ খসে গেছে।
(v) ধর্ম বিষয়ক উন্মত্ততা। নির্জনতা বা অন্ধকার সহ্য করতে পারে না।
(vi) আলোক ও লোক সংসর্গ থাকা চাই।
(vii) পানি অথবা চকচকে কিছু দেখলে আক্ষেপ উপস্থিত হয়। পালিয়ে যাবার প্রবৃত্তি সহ প্রলাপ (বেল, ব্রায়োনিয়া, রাস-টক্স)।
হায়োসিয়ামাসের মানসিক লক্ষণাবলী:
(i) প্রচন্ড সন্দেহ প্রবণ।
(ii) বাচাল, অশ্লীল, কামুকপ্রবণ, শরীরে আচ্ছাদন রাখে না, হিংসুটে, বোকা।
(iii) প্রচন্ড প্রফুল্লতা, সকল বিষয়ে থাকার প্রবণতা।
(iv) প্রলাপ বকা, তৎসহ দৌড়ে পালাবার প্রবৃত্তি।
(v) বিড়বিড় করে প্রলাপ বকা, অবিরাম হাত বাড়িয়ে কল্পিত কোন বস্তু ধরার চেষ্টা, গভীর অচৈতন্য অবস্থা।
সিফিলিনাম
(Syphilinum)
১। প্রশ্ন ঃ সিফিলিনামের সাধারণ পরিচিতি লিখ।
সিফিলিনামের সমনাম/প্রতিনাম (Synonyms) : Syphilitic virus, Lucticum, Lucsinum
উৎস (Source) : রোগজ (নোসোড)।
প্রভার (Proved) : Dr. Samuel Swan, Skinner Thomas Wildes, E. B. Nash, H.C Allen, J.T Kent.
২। প্রশ্নঃ সিফিলিনামের ক্রিয়াস্থল লিখ। ১৪
সিফিলিনামের ক্রিয়াস্থল (Affinities) : (ⅰ) মন (Mind), (ii) মিউকাস মেমব্রেন (Mucous membranes), (iii) নার্ভস (Nerves), (iv) হাড়সমূহ (Bones), (v) গ্ল্যান্ডসমূহ (Glands), (vi) চর্ম (Skin)
৩। প্রশ্ন: সিফিলিনামের ক্রিয়াস্থল লিখ।
সিফিলিনামের কারণতত্ত্ব (Aetiology):
ক. মূলকারণ (Fandamental cause): সিফিলিস, সোরা।
খ. উত্তেজক/আনুসঙ্গিক কারণ (Exiting/Accessory/Auxiliary cause): সিফিলিস রোগের চাপা, বংশগত সিফিলিসের কারণে।
৪। প্রশ্ন: সিফিলিনামের গঠনগত/ধাতুগত বৈশিষ্ট্য লিখ। বা, সিফিলিনামের ধাতুগত লক্ষণ লিখ।
সিফিলিনামের গঠনগত/ধাতুগত বৈশিষ্ট্য (Constitution): বিভিন্ন ধরনের উদ্ভেদ যা কপার বর্ণ হতে ব্লু বর্ণ ধারণ করে। মেজাজ- মেলানকোলিক, মায়াজমেটিক অবস্থা- সিফিলিস।
৫। প্রশ্নঃ সিফিলিনামের রোগসমূহ/প্রয়োগ ক্ষেত্র লিখ।
রোগসমূহ (Disease): ফোঁড়া, এলকোহলিজম, কোষ্ঠবদ্ধতা, মাথাব্যথা, লিউকোরিয়া, নিউরালজিয়া, রিউমেটিজম, সায়েটিকা, সিফিলিস, আলসার ইত্যাদি রোগে লক্ষণানুসারে ব্যবহার করা হয়।
৬। প্রশ্নঃ সিফিলিনামের উৎস কি? ইহার মানসিক লক্ষণ লিখ। ১৪ বা, সিফিলিনামের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ।
সিফিলিনামের উৎস: রোগজ।
মানসিক লক্ষণাবলী:
(i) স্মৃতি শক্তির অভাব কিন্তু রোগের পূর্ববর্তী সব কথাই মনে থাকে।
(ii) উদাসীন মনে করে পাগল হয়ে যাবে অথবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়বে।
(iii) রাত হলেই ভয় হতে থাকে এবং নিদ্রাভঙ্গে অবসাদকর যন্ত্রণাকে ভয় করে।
(iv) নিরাশ, আরোগ্য সম্বন্ধে হতাশ।
৭। প্রশ্ন: সিফিলিনামের মানসিক লক্ষণের সহিত ল্যাকেসিসের তুলনা কর। ২০০৯
সিফিলিনামের মানসিক লক্ষণ:
(i) স্মৃতি শক্তির অভাব কিন্তু রোগের পূর্ববর্তী সব কথাই মনে থাকে।
(ii) উদাসীন মনে করে পাগল হয়ে যাবে অথবা পক্ষাঘাত গ্রস্ত হয়ে পড়বে।
(iii) রাত হলেই ভয় হতে থাকে এবং নিদ্রাভঙ্গে অবসাদকর যন্ত্রণাকে ভয় করে।
(iv) নিরাশ, আরোগ্য সম্বন্ধে হতাশ।
ল্যাকেসিসের মানসিক লক্ষণ:
(i) প্রচন্ড বাচালতা। কামবৃত্তিপরায়ন।
(ii) প্রাতঃকালে বিষণ্ণতা, পার্থিব জগতের সঙ্গে মেশার ইচ্ছা থাকে না।
দেবার ইচ্ছা
থাকে না, সব সময় কোথাও পালিয়ে থাকতে চায়। হিংসুটে। (১৮) রাত্রে মানসিক কাজ খুব ভালভাবে করতে পারেংক
(v) সহজ মৃত্যু। সন্দিগ্ধচিত্ত, রাত্রে আগুন সম্পর্কে বিভ্রান্তি।
(vi) ধর্মীয় উন্মাদনা। সময় সংক্রান্ত জ্ঞানের লোপ।
৮। প্রশ্নঃ সিফিলিনামের পরিচায়ক লক্ষণ বর্ণনা কর। ২০০৯ খা, সিফিলিনামের নির্দেশক/চরিত্রগত/পরিচায়ক লক্ষণাবলী লিখ। সিফিলিনামের নির্দেশক/চরিত্রগত/পরিচায়ক লক্ষণাবলীঃ
(1) উদাসীন মনে করে পাগল হয়ে যাবে অথবা পক্ষাঘাত গ্রস্ত হয়ে পড়বে।
(ii) তীব্র আলোকাতঙ্ক। প্রচুর অশ্রুপাত। চোখের পাতা স্ফীত। রাত্রে অত্যন্ত ব্যথা।
(iii) চোখের উপর দিয়ে শীতল বাতাস বইছে এরূপ অনুভূতি।
(iv) দাঁতের কিনারাগুলো করাতের মত খাঁজ কাটা, দাঁতগুলো ক্ষুদ্রাকার।
(v) জিহ্বা লেপাবৃত, দাঁতগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত।
(vi) সংকোচনের জন্য ক্লান্তিবোধ করে। মলদ্বারে জোলাপ (ডুস) দিতে গেলে ব্যথা করে।
৯। প্রশ্ন: সিফিলিনামের মাথার লক্ষণাবলী লিখ। সিফিলিনামের মাথার লক্ষণাবলী:
(i) চোখ হতে পশ্চাৎ দিকে রেখা বরাবর ব্যথা। ঐ ব্যথায় অনিদ্রা এবং রাত্রিকালে প্রলাপ বকে।
(ii) চুল পড়ে যায়, মস্তকের অস্থিতে ব্যথা।
(iii) মনে হয় মাথার খুলি ধড়ে যাবে। হতবুদ্ধিকর মাথার যন্ত্রণা।
১০। প্রশ্নঃ সিফিলিনামের চোখের লক্ষণাবলী লিখ। বা, সদ্যজাত শিশুর চক্ষু প্রদাহে ইহার ব্যবহার লিখ। ২০০৯ সদ্যজাত শিশুর চোখের প্রদাহে সিফিলিনামের ব্যবহার/সিফিলিনামের
চোখের লক্ষণাবলী:
(i) কর্ণিয়ার পুরাতন ও বার বার প্রকাশিত মাস্তুগর্ভ প্রদাহ (Phlyctemular Inflammaliam of Cornea)।
(ii) মণীনিকার উপরের উপতৃকে ক্ষত এবং রক্তাম্বু পূর্ণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফোস্কা বার বার প্রকাশ পায়।
(iii) তীব্র আলোকাতংক। প্রচুর অশ্রুপাত। চোখের পাতা স্ফীত। রাত্রে অত্যন্ত ব্যথা।
(iv) অক্ষিপুটের পতন। ক্ষয় রোগাত্মক উপতারা প্রদাহ। একটি দ্রব্যের নিচের আর একটি দ্রব্য দেখে।
(v) চোখের উপর দিয়ে শীতল বাতাস বইছে এরূপ অনুভূতি (ফ্লোরিক এসিড)। কানের ক্ষুদ্র অস্থিতে সিফিলিটিক ক্ষত।
১১। প্রশ্ন: সিফিলিনামের নাকের লক্ষণাবলী লিখ। সিফিলিনামের নাকের লক্ষণাবলী:
নাকের অস্থি, কঠিন তালু ও সেপ্টাম অস্থিতে ক্ষত, উহা ছিদ্র হয়ে যায়।
১২। প্রশ্ন: সিফিলিনামের মুখগহ্বরের ব্যবহার/লক্ষণাবলী লিখ। সিফিলিনামের মুখগহ্বরের ব্যবহার/লক্ষণাবলী:
(i) দাঁতগুলোর মূলদেশ ক্ষয় হয়।
(ii) দাঁতের কিনারাগুলো করাতের মত খাঁজ কাটা, দাঁতগুলো ক্ষুদ্রাকার।
(iii) জিহ্বা লেপাবৃত, দাঁতগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত।
(iv) দাঁতগুলোর মধ্যে লম্বা ফাঁটা। ক্ষতে চিড়িক মারা ব্যথা ও জ্বালা। অত্যন্ত লালাস্রাব, ঘুমের সময় মুখ দিয়ে লালা পড়ে।
১৭। প্রশ্নঃ চর্মরোগে সিফিলিনামের ব্যবহার লিখ। ২০১৪ বা, সিফিলিনামের চর্মের ব্যবহার/লক্ষণাবলী লিখ।
সিফিলিনামের চর্মের ব্যবহার/লক্ষণাবলী:
(i) চর্ম লালাভ পিঙ্গল বর্ণ উদ্ভেদ তৎসহ ঝিল্লী গন্ধ।
(ii) অতিশয় জীর্ণ শীর্ণ।
(iii) দীর্ঘাস্থিসমূহে ভীষণ ব্যথা। পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে ছিড়ে যাওয়ার মত এবং রক্তিমত (সাইলি)।
(iv) সর্বদা হাত ধোয়ার প্রবৃত্তি। ক্ষত কিছুতেই আরোগ্য হয় না।
(v) তীব্র আলোকাতংক। প্রচুর অশ্রুপাত। চোখের পাতা স্ফীত। রাত্রে অত্যন্ত ব্যথা।
(vi) চুল পড়ে যায়, মস্তকের অস্থিতে ব্যথা।
(ii) উদাসীন মনে করে পাগল হবে অথবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়বে।
(iii) রাত হলেই ভয় হতে থাকে, নিদ্রাভঙ্গে অবসাদকর যন্ত্রণা করবে।
১৮। প্রশ্ন: সিফিলিনামের হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ। ১৪
সিফিলিনামের হ্রাস-বৃদ্ধিঃ
হ্রাস: সমুদ্র হতে দূরে স্থলভাগে, দিবাভাগে, ধীরে ধীরে চলে বেড়ালে।
বৃদ্ধি: রাত্রে, সূর্যাস্ত হতে সূর্যাদয় পর্যন্ত, সমুদ্র তীরে, গ্রীষ্মকালে, এক পূর্ণিমা পরপর, জিহ্বা বাহির করলে।
১৯। প্রশ্ন: সিফিলিনামের পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, অনুপূরক ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ : মার্ক-সল, ক্যালি হাইড্রা, নাইট্রিক এসিড, অরাম মেটারিকাম, এলুমিনা।
ক্রিয়ানাশক ঔষধ: নাক্স-ভমিকা, কফিয়া।
ক্রিয়াকাল: গভীর ক্রিয়াকাল
সোরা, ডায়াথেসিস- টিউবারকুলার ও স্ক্রোফিউলা। কাতরতা- প্রচন্ড শীতকাতর, সামান্য ঠান্ডা বাতাসে অনুভূতি প্রবণ ও ঠান্ডা লাগে।
টিউবারকুলিনাম
৫। প্রশ্ন: টিউবারকুলিনামের রোগসমূহ/প্রয়োগক্ষেত্র লিখ।
রোগসমূহ (Disease): এ্যাজমা, হাড়ের ক্ষয়, ব্রংকাইটিস, ক্যাটারাল নিউমোনিয়া, ইনফুয়েঞ্জা, হার্টের রোগ, মেনিনজাইটিস, লিউকোরিয়া, পুরিসি, থাইসিস, যক্ষ্মা, ম্যারাসম্যাস, ফোঁড়া, উদরাময়, চর্মরোগ, টিউবারকুলার মেনিনজাইটিস প্রভৃতি রোগে লক্ষণানুসারে এই ঔষধ ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্ন টিউবারকুলিনাম এর উৎস কি? ইহার মানসিক লক্ষণ বর্ণনা কর। ১২, ১৬
টিউবারকুলিনামের উৎস: টিউবারকিউলিনামের উৎস রোগজ।
টিউবারকুলিনামের মানসিক লক্ষণাবলী:
(1) টিউবারকুলিনামের মানসিক লক্ষণগুলো পরস্পর বিরুদ্ধ প্রকৃতির উন্মত্তভাব ও বিষাদ, নিদ্রাহীনতা ও প্রগাঢ় নিদ্রা।
(ii) খিটখিটে মেজাজ। বিশেষ করে জাগরিত হলে অবসাদগ্রস্ত বিষাদভাব।
(iii) কুকুরের ভয়। জীবজন্তুসমূহে বিশেষ ভয়,
(iv) অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে, অভিসম্পাত করে এবং কাথায় কথায় শপথ করে।
৭। প্রশ্ন: টিউবারকুলিনামের কানের লক্ষণাবলী লিখ।
টিউবারকুলিনামের কানের লক্ষণাবলী:
(i) অতি পুরাতন দূর্গন্ধযুক্ত কর্ণস্রাব।
(ii) কর্ণপটাহ ছিদ্র হয়ে যায় এবং ঐ ছিদ্রের ধারগুলো অসমান।
প্রশ্ন: টিউবারকুলিনামের প্রয়োগ লক্ষণ লিখ। ২০১২, ১৬ বা টিউবারকুলিনামের レ টিউবারকুলিনামের চারিত্রিক/পরিচায়ক/নির্দেশক। লক্ষণ লিখ। ০৮ চারিত্রিক/পরিচায়ক/নির্দেশক লক্ষণাবী:
(1) অশ্লীল ভাষায় ব্যবহার ও অভিসম্পাত করে এবং কাথায় কথায় শপথ করে।
(ii) মাথায় তীব্র ব্যথা, যেন একটা লোহার পাত দিয়ে চারিদিকে বেঁধে রাখা হয়েছে।
(iii) অতি ভোরে, বিছানা থেকে উঠেই পাতলা পায়খানা। মল ঘোর পিংগলবর্ণ, দূর্গন্ধযুক্ত এবং বেগে নির্গত হয়।
(iv) শ্বাসক্রিয়া শক্তির দুর্বলতা। প্রচুর বিশুদ্ধ বায়ু থাকা সত্ত্বেও শ্বাসরোধভাব।
(v) শিশুদের ব্রংকোনিউমোনিয়া। কষ্টকর খকখকে কাশি, প্রচুর ঘাম এবং শীর্ণ হয়ে পড়া।
(vi) ঘাড়ে ও মেরুদন্ডে টান টানভাব। স্ক্যাপুলাদ্বয় অথবা পিঠের মধ্যে শীত শীত বোধ।
৯। প্রশ্ন: টিউবারকুলিনামের মস্তিষ্কের লক্ষণাবলী লিখ। টিউবারকুলিনামের মস্তিষ্কের লক্ষণাবলীঃ
(i) মস্তিষ্কের গভীরস্থানে ব্যথা এবং প্রচন্ড স্নায়ুশূল।
(ii) সব কিছুই অপরিচিত বোধ হয়।
(iii) মাথায় তীব্র ব্যথা, যেন একটা লোহার পাত দিয়ে চারিদিকে বেঁধে রাখা হয়েছে।
(iv) মেনিনজাইটিসের মারাত্মক অবস্থায় যখন ঘর্ম, মূত্রাধিক্য, উদরাময়, চর্ম উদ্ভেদ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায় তখন ইহা ব্যবহার করা উচিত কিন্তু একেবারে চরম অবস্থা উপস্থিত না হলে ইহার পুনঃপ্রয়োগ উচিত নয়।
(v) রাত্রে অলীক বস্তুসমূহ দেখে এবং ভয় পেয়ে জেগে উঠে।
(v) শিশুদের ব্রংকোনিউমোনিয়া এবং শীর্ণ হয়ে পড়া। । কষ্টকর থকথকে কাশি, প্রচুর ঘাম
(vi) বুকের সর্বত্র ঘড়ঘড় শব্দ। ফুসফুসের মূলদেশে শ্লেষ্মা জন্মে।
১৩। প্রশ্ন: গ্রন্থি পীড়ায় টিউবারকুলিনামের লক্ষণ বর্ণনা কর। ১২, ১৮ ✓ প্রন্থিপীড়ায় ইহার প্রয়োগ লক্ষণসহ হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ। ২০০৮ গ্রন্থি পীড়ায় টিউবারকুলিনামের লক্ষণঃ
(1) টনসিল বিবর্ধিত।
(ii) ঘুমের সময় কষ্টকর শুষ্ক কাশি। অতি সহজে প্রচুর ও ঘন শ্লেষ্মা উঠে। বায়ুনালী হতে প্রচুর শ্লেষ্মা নিঃসরণ
(iii) ঘাড়ে ও মেরুদন্ডে টান টানভাব। স্ক্যাপুলাদ্বয়ের মধ্যে অথবা পিঠের উপর শীত শীত বোধ।
(iv) মাথায় তীব্র ব্যথা, যেন একটা লোহার পাত দিয়ে চারিদিকে বেঁধে রাখা হয়েছে।
(v) শিশুদের ব্রংকোনিউমোনিয়া। কষ্টকর খকথকে কাশি, প্রচুর ঘাম এবং শীর্ণ হয়ে পড়া।
১৪। প্রশ্ন : চর্ম পীড়ায় টিউবারকুলিনামের সহিত সোরিনামের তুলনা কর। ০৮
টিউবারকুলিনামের চর্মের লক্ষণ/ব্যবহার:
(i) পুরাতন একজিমা, অত্যন্ত চুলকানি, রাতে বৃদ্ধি।
(ii) ক্ষয়রোগ প্রবণ শিশুদের মুখ ব্রণ, হাম। বিচর্চিকা, জাতীয় চর্ম উদ্ভেদ থাইরয়েড।
‘চর্ম পীড়ায় সোরিনামের লক্ষণ:
| (ⅰ) চর্ম মলিন, অপরিষ্কার।
(ii) শুষ্ক, অনুজ্জ্বল, খসখসে চুল। অসহ্য চুলকানি। মাথার চর্মে ও সন্ধিস্থানের বিবৃদ্ধি।
(iii) সিবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে প্রচুর পরিমাণে স্রাব নির্গত হয়, তৈলাক্ত চর্মে।
(iⅱ) আঙ্গুলের অগ্রভাগ স্ফীতি, লালবর্ণ এবং অবশ। পেশীসমূহের স্পন্দন, দুর্বলতা, কম্পন।
(iii) সন্ধিসমূহ কট কট করে গোড়ালি ও গোড়ালির কন্ডরায় ব্যথা।
(iv) নখগুলো ভেঙ্গে পড়ে। পায়ের নখগুলো ভিতরে ঢোকান ব্য
১৭। প্রশ্নঃ থুজা অক্সিডেন্টালিসের চর্মের লক্ষণাবলী লিখ। লিখঃ- আঁচিলে
✓ সংক্ষেপে থুজা। ২০১৭ পুজা অক্সিডেন্টালিসের চর্মের লক্ষণাবলী:
(১) বৃত্তযুক্ত টিউমার (অর্বুদ), শ্লেষ্মাগুটি। উপত্বকে আঁচিল, জচুল, দুষ্ট ব্রণ, ক্ষত বিশেষ করে মলদ্বারে এবং জনন ইন্দ্রিয়ের মধ্যবর্তীস্থানে।
(ii) তিল ও ফোষ্কা। ঘর্ম মিষ্টি গন্ধযুক্ত ও উগ্র।
(ii) চর্ম শুষ্ক তৎসহ পিংগল বর্ণের দাগ। চক্রাকার দাগ বিশিষ্ট দাঁদ, দাঁদ রোগ।
(iv) গ্রন্থিসমূহে ছিড়ে ফেলার ন্যায় ব্যথা। গ্রন্থি বৃদ্ধি, নখগুলো কুঞ্চিত, ভঙ্গর, নরম।
(v) শরীরের ঢাকা স্থানে উদ্ভেদ। চুলকালে বৃদ্ধি অত্যন্ত স্পর্শকাতরতা।
(vi) এক পার্শ্বের শীতলতা। মাংসার্বুদ, বৃত্তযুক্ত অর্বুদ। হাতে ও বাহুতে পিঙ্গলবর্ণের দাগ। দীর্ঘদিন পর্যন্ত অনিদ্রার ভাব।
১৮। প্রশ্নঃ থুজা অক্সিডেন্টালিসের জ্বরের লক্ষণাবলী লিখ।
থুজা অক্সিডেন্টালিসের জ্বরের লক্ষণাবলী:
(i) জ্বর- শীত শীত ভাব উরুদেশে আরম্ভ হয়।
(ii) ঘর্ম কেবলমাত্র দেহের অনাবৃত অংশে দেখা যায়।
(iii) মাথা ব্যতীত সর্বাঙ্গে ঘাম। ঘুমের সময় প্রচুর ঘাম, অম্ল গন্ধযুক্ত, মধুর মত গন্ধ।
(iv) সন্ধ্যাকালে রক্তের উচ্ছ্বাস এবং রক্তবহানালীর মধ্যে দপদপকর ব্যথা।
ভেরিওলিনাম
(Variolinum)
১। প্রশ্নঃ ভেরিওলিনামের সাধারণ পরিচিতি লিখ।
সমনাম/প্রতিনাম (Synonyms): গুটিবসন্তের জীবাণু।
উৎস (Source) : রোগজ। গুটি বসন্তের গুটিকার পুঁজ হতে প্রস্তুত ঔষধ।
প্রস্তুত প্রণালী ( Preparation): ফরমূলা- এফ ৮।
প্রভার (Proved) : ডাঃ বানেট, ডাঃ স্যান ভেরিওলিনাম ঔষধটি ন্ড করেন।
২। প্রশ্নঃ ভেরিওলিনামের ক্রিয়াস্থল লিখ। ১৪
ভেরিওলিনামের ক্রিয়াস্থল (Affinities) :
মন, মস্তিষ্ক, রেসপিরেটরী সিস্টেম, চর্ম, অঙ্গ-প্রত্যংগের উপর ক্রিয়া করে থাকে।
৩। প্রশ্নঃ প্রতিষেধক হিসেবে ভেরিওলিনামের ব্যবহার লিখ। ১১, ১৫ প্রতিষেধক হিসেবে ভেরিওলিনামের ব্যবহার: ভেরিওলিনামের ঔষধটি আভ্যন্তরিক টিকা রূপে ব্যবহৃত হয়। ইহা
গুটি বসন্তের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং রোগের আক্রমনরোধ করে। ইহা গুটি বসন্ত রোগের আরোগ্য ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
৪। প্রশ্ন : ভেরিওলিনামের কারণতত্ত্ব লিখ।
ভেরিওলিনামের কারণতত্ত্ব (Aetiology):
ক. মূলকারণ (Fandamental cause): সোের, সিফিলিস।
খ. উত্তেজক/আনুসঙ্গিক কারণ (Exiting / Accessory/ Auxiliary cause) : দূষিত বায়ু ও পানি। সংক্রামক ব্যক্তি থেকে, দূষিত পরিবেশ।
৫। প্রশ্নঃ ডেরিওলিনামের নির্দেশক লক্ষণাবলী লিখ। ১১, ১৫ ভেরিগুলিনামের নির্দেশক লক্ষণাবলী:
(1) মাথার পিছনে ব্যথা। বধিরতা।
(ii) চোখের পাতার উপদাহ।
(iii) কষ্টকর শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়া। গলনালী আবদ্ধ হয়।
(iv) কাশির সাথে ঘন চটচটে রক্তাক্ত শ্রেষ্মা উঠে।
(v) গলগহ্বরের ডানপাশে দলার মত কি যেন রয়েছে এমন অনুভূতি।
(vi) পিঠে ভয়ানক যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা। ব্যথা পিঠ হতে তলপেট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
(vi) পা দুইটিতে কামড়ানো ব্যথা, অস্থিরতাসহ সর্বাঙ্গে ক্লান্তিবোধ, হাতের কব্জিতে ব্যথা।
(vii) চর্ম উষ্ণ শুষ্ক, পুঁজযুক্ত গোলাকার উদ্ভেদ।
৬। প্রশ্ন: ভেরিওলিনামের উৎস কি? ইহার জ্বরের লক্ষণ বর্ণনা কর। বা, ভেরিওলিনামের জ্বরের লক্ষণ বর্ণনা কর। ১১, ১৪
ভেরিওলিনামের উৎস:
রোগজ। গুটি বসন্তের গুটিকার পুঁজ হতে প্রস্তুত ঔষধ।
ভেরিওলিনামের জ্বরের লক্ষণ বর্ণনা:
(i) জ্বরে প্রচন্ড উত্তাপ, উত্তাপ সমস্ত দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
(ii) প্রচুর দূর্গন্ধযুক্ত ঘাম নিঃর্গত হয়।
(iii) মাথার পিছনে ব্যথা।
(iv) কষ্টকর শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়া। গলনালী আবদ্ধ হয়।
(v) কাশির সাথে ঘন চটচটে রক্তাক্ত শ্লেষ্মা উঠে।
(vi) পা দুইটিতে কামড়ানো ব্যথা, অস্থিরতাসহ সর্বাঙ্গে ক্লান্তিবোধ, হাতের কব্জিতে ব্যথা।
৭। প্রশ্ন: বসন্ত চিকিৎসায় ভেরিওলিনামের গুরুত্ব লিখ। ১৪ বসন্ত চিকিৎসায় ভেরিওলিনামের গুরুত্ব: বসন্ত একটি একিউট সংক্রামক রোগ। এটি সাধারণতঃ
মহামারীরূপে প্রাদুভার্ব দেখা দেয়। বসন্তের লক্ষণ প্রকাশের সাথে ভেরিওলিনাম প্রয়োগে দ্রুত জ্বরকে হ্রাস করে এবং গুটিকাসমূহের পুঁজ সঞ্চয়ের পূর্বে দমন করে রোগ আরোগ্য করে। ভেরিওলিনামের ঔষধটি আভ্যন্তরিক টিকা রূপে ব্যবহৃত হয়। ইহা গুটি বসন্তের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং রোগের আক্রমনরোধ করে। ইহা গুটি বসন্ত রোগের আরোগ্য ক্রিয়ায় সাহায্য করে। মহামারীরূপে যখন বসন্তের প্রাদুভার্ব দেখা দেয় তখন ইহা প্রতিষেধকরূপে ব্যবহার করা যায়। সুতরাং বসন্ত চিকিৎসায় ভেরিওলিনামের গুরুত্ব অপরিসীম।
৮। প্রশ্নঃ ভেরিওলিনামের হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ।
ভেরিওলিনামের হ্রাস-বৃদ্ধিঃ
হ্রাস: সুনির্দিষ্ট কোনও অবস্থায় ইহার হ্রাস লক্ষ্য করা যায় নাই।
বৃদ্ধি: নড়াচড়ায়, টিকা দেয়ার পর।
৯। প্রশ্ন: ভেরিওলিনামের পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, অনুপূরক ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
অনুপূরক/পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ : ভ্যাক্সিনিনাম, ম্যালানড্রিনাম।
ক্রিয়ানাশক ঔষধঃ থুজা, এন্টিম টার্ট।
ক্রিয়াকাল: সঠিক জানা যায় নাই।
প্রয়োগকৃত শক্তি: ৬ থেকে ৩০, ২০০ শক্তি এবং উচ্চশক্তি।
৪। প্রশ্নঃ স্যানিকিউলা একোয়ার শিশুরোগের স্যানিকিউলা একোয়ার শিশুরোগের লক্ষণাবলী : (1) শিশুর নিম্নাভিমুখী গতিতে ভয় (বোরাক্স)। লক্ষণাবলী লিখ। ০৮
ঘাম (ক্যাক্ষ, সাইদি)।
(iii) আলোেকাতংক। ঠান্ডা বায়ু এবং ঠান্ডা কিছুর বাহ্য প্রয়োগে চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে।
(iv) চর্ম মলিন, তৈলাক্ত, বাদামীবর্ণ ও কুঞ্চিত। কানের পিছনে ব্যথা।
৫। প্রশ্ন ঃ স্যানিকিউলার গলগহ্বরের লক্ষণাবলী লিখ।
স্যানিকিউলার গলগহ্বরের লক্ষণাবলী:
(ⅰ) গলগহ্বর- ঘন; দড়ির ন্যায়, দুচ্ছেদ্য শ্লেষ্মা।
(ii) মুখগহ্বর- জিহ্বা প্রশস্ত, থলথলে, জ্বালাকর।
(iii) ঠান্ডা রাখার জন্য জিহ্বা বের করতে হয়।
(iv) জিহ্বার উপর দাঁদের মত উদ্ভেদ।
৬। প্রশ্ন: স্যানিকিউলার পাকস্থলীর লক্ষণাবলী লিখ।
স্যানিকিউলার পাকস্থলীর লক্ষণাবলী:
(i) গাড়িতে চড়লে বমিবেগ ও বমি।
(ii) পিপাসা, ঘন ঘন অল্প পানি পান করে (আর্স, চায়না)। পানি
পাকস্থলীতে পৌঁছা মাত্রই বমি হয়ে যায়।
(iii) সরলাস্ত্র- মল বৃহৎ আকার, ভারী, ব্যথাদায়ক।
(iv) সমগ্র পেরিনিয়ামে ব্যথা।
(v) প্রচুর মল সঞ্চয় না হলে মলবেগ হয় না।
(vi) অনেক কুন্থনের পর মলের অংশমাত্র নির্গত হয়। মল পুনরায় রেক্টামে মধ্যে ঢুকে যায় এবং মল মলদ্বারে এসে ভেঙ্গে যায়।
(vii) গুহ্যদ্বার, পেরিনিয়াম ও জননইন্দ্রিয়ের ত্বকের ছাল উঠে যায়।
(vii) অতিদুর্গন্ধ। উদরাময়- মলের প্রকৃতি ও বর্ণ পরিবর্তনশীল। আহারের পর উদরাময়।
জিংকাম মেটালিকাম
(Zincum metallicum)
১। প্রশ্নঃ জিংকাম মেটালিকামের সাধারণ পরিচিতি লিখ। সমনাম/প্রতিনাম (Synonyms) : জিঙ্ক, দস্তা, মেটালিক জিঙ্ক।
উৎস (Source) : খনিজ।
প্রাপ্তিস্থান (Habitat) : খনিতে পাওয়া যায়।
প্রভার (Proved) ঃ ডাঃ ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেড্রিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ও তাঁর সঙ্গী।
২। প্রশ্নঃ জিংকাম মেটালিকামের প্রস্তুত প্রণালী লিখ।
প্রস্তুত প্রণালী (Preparation) : খনি হতে বিভিন্ন আকরিক আকারে ইহা পাওয়া যায়। ইহা নীলাভ সাদা বর্ণের এক প্রকার ধাতব পদার্থ। ইহার আপেক্ষিক গুরুত্ব ৭.২। তরল হাইড্রোক্লোরিক এসিডে বা সালফিউরিক এসিডে ইহা দ্রবীভূত হয়। প্রস্তুত formula F-7
৩। প্রশ্নঃ জিংকাম মেটালিকামের ক্রিয়াস্থল লিখ। ১৩ বা, ইহার ক্রিয়াস্থল লিখ। ১৩
জিংকাম মেটালিকামের ক্রিয়াস্থল (Affinities):
(i) শিরা (Veins), (ii) সরলাস্ত্র (Rectum), (iii) লিভার
(Liver), (iv) মাথা (Head), (v) কোমর (Lumbar region), (vi)
স্ত্রী অঙ্গ (Female organs)
৪। প্রশ্ন: জিংকাম মেটালিকামের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ। জিংকাম মেটালিকামের মানসিক লক্ষণাবলী:
(ⅰ) স্মৃতিশক্তি দুর্বল। গোলমাল সহ্য করতে পারে না।
(ii) কথা বলতে বা কাজ করতে ইচ্ছা করে না।
(iii) শিশু যা শোনে তাই বার বার বলতে থাকে।
(iv) কল্পিত পাপের ভয়ে ভীত। বিষাদবায়ু।
(v) অলস, হতবুদ্ধি। আংশিক পক্ষাঘাতের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
৫। প্রশ্নঃ জিংকাম মেটালিকামের নির্দেশক/চরিত্রগত লক্ষণাবলী লিখ। বা, জিংকাম মেট এর উৎস কি? ইহার চরিত্রগত লক্ষণ লিখ।১৩ বা, জিংকাম মেটালিকামের চরিত্রগত লক্ষণ বর্ণনা কর। ২০০৮, ১০
জিংকাম মেটালিকামের নির্দেশক/চরিত্রগত লক্ষণাবলীঃ
(i) এপাশ ওপাশ মাথা চালনা করে। বালিশের মধ্যে মাথা গোজে। মস্তিকের পশ্চাতে ব্যথা এবং মস্তক শীর্ষে ভারবোধ।
(ii) খোঁচান ব্যথা, অশ্রুস্রাব এবং চুলকানি। চাপ দেয়া ব্যাথা, যেমন- মাথা পর্যন্ত ধাবিত হয়।
(iii) মুখমন্ডল- ওষ্ঠদ্বয় বিবর্ণ, মুখের কোন দুইটি ফাঁটা। গন্ডস্থলে লাল ও চুলকানিযুক্ত পীড়কা। মুখমন্ডলের অস্থিতে ছিন্নকর ব্যথা।
(iv) জিহ্বার উপরে ফোস্কা, কষ্টকর দন্ত উদগমন, শিশু দুর্বল, তার গা দুটি ঠান্ডা এবং অনবরত নড়তে থাকে
(vii) উদর গহ্বর- সহজ পাচ্য আহারের পরেও ব্যথা এবং পেট ফাঁপা। নাভির নীচে বিশেষ স্থানে ব্যথা।
(viii) লিঙ্গের গোড়ার চুল পড়ে যায়। অন্ডকোষে আকর্ষনবৎ ব্যথা, রেতরজ্জু পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
(ix) ডিম্বাশয়ে ব্যথা, বিশেষত বাম ডিম্বাশয়ে, চুপ করে থাকতে পারে না (ভাইবার্নাম)।
(x) পায়ের বৃহৎ শিরাগুলো স্ফীত হয়ে উঠে। তড়কা তৎসহ বিবর্ণ মুখশ্রী।
২৬ প্রশ্ন: জিংকাম মেটালিকামের পৃষ্ঠদেশ এর লক্ষণাবলী লিখ। জিংকাম মেটালিকামের পৃষ্ঠদেশ এর লক্ষণাবলী:
(ⅰ) পিঠের নিচের দিকে ব্যথার অনুভব।
(ii) পিঠে স্পর্শকাতরতা, স্পর্শ সহ্য করতে পারে না (সালফার, থেরিডিয়ন, সিঙ্কোনা)।
(ii) সোল্ডারদ্বয়ের মধ্যে টান টান ও হুলবিদ্ধবৎ জ্বালা। (iv
) মেরুদন্ডের উপদাহ। পিঠের সর্বনিম্ন অস্থি অথবা কটি দেশের প্রথম কশেরুকা অস্থিতে ব্যথা, বসলে বৃদ্ধি। (v) মেরুদন্ড বরাবর জ্বালা লিখলে বা কোন কাজ করলে গ্রীবাদেশে
ক্লান্তিবোধ। (vi) স্কন্ধাস্থিতে ছিড়ে ফেলার ন্যায় ব্যথা।
১৭। প্রশ্নঃ জিংকাম মেট এর হার্নিয়ার লক্ষণ লিখ। ১৩ দ্বী, হার্নিয়া চিকিৎসায় জিংকাম মেটের লক্ষণসমূহ লিখ। ২০০৮, ১০
হার্নিয়া চিকিৎসায় জিংকাম মেটের লক্ষণসমূহঃ
(i) মস্তিষ্কের ক্লান্তি। অতিরিক্ত পড়াশোনার জন্য স্কুলের বালকদের মাথায় যন্ত্রণা।
(ii) চোখে খোঁচামারা ব্যথা, অশ্রুস্রাব এবং চুলকানি। চাপ দেয়া ব্যথা, যেমন- মাথা পর্যন্ত ধাবিত হয়।
(iii) পায়ের বৃহৎ শিরাগুলো স্ফীত হয়ে উঠে। তড়কা তৎসহ বিবর্ণ মুখশ্রী।
(iv) মেরুদন্ডের উপদাহ। পিঠের সর্বনিম্ন অস্থি অথবা কটি দেশের প্রথম কশেরুকা অস্থিতে ব্যথা, বসলে বৃদ্ধি।
(v) পিঠে স্পর্শকাতরতা, স্পর্শ সহ্য করতে পারে না।
(vi) লিঙ্গের গোড়ার চুল পড়ে যায়। অন্ডকোষে আকর্ষণবৎ ব্যথা, রেতরজ্জু পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
২০। প্রশ্নঃ জিংকাম মেটালিকামের চর্মের লক্ষণাবলী লিখ।
জিংকাম মেটালিকামের চর্মের লক্ষণাবলী:
(i) শিরা স্ফীতি বিশেষ করে নিম্নাঙ্গে (পালস)।
(ii) পা দুইটিতে এবং জানুতে সুড় সুড়িবোধ যেন উহার উপর দিয়ে ছারপোকা চলে বেড়াচ্ছে। সেই জন্য ঘুমাতে পারে না।
(iii) একজিমা, বিশেষতঃ রক্তস্বল্পতা ও স্নায়ুবিক প্রকৃতির রোগীর।
(iv) উরুদেশ ও জানুর পশ্চাতে চুলকানি। উদ্ভেদগুলো এক স্থান থেকে অন্যত্র সরে যায়।
১৮। প্রশ্নঃ জিংকাম মেটালিকামের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী লিখ। বা, নিম্ন প্রান্তদেশের চিকিৎসায় জিংকাম মেটের ব্যবহার লিখ। ০৮, ১০ জিংকাম মেটালিকামের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লক্ষণাবলী/নিম্ন প্রান্তদেশের চিকিৎসায় জিংকাম মেটের ব্যবহার:
(i) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিভিন্ন পেশীতে খঞ্জতা বোধ, দুর্বলতা, কম্পন ও ঝাঁকি দিয়ে উঠে।
(ii) শীত স্ফোটক। পা দুইটি অনবরত নাড়াতে থাকে, ইহা কখনোই স্থির থাকে না।
(iii) পায়ের বৃহৎ শিরাগুলো স্ফীত হয়ে উঠে। তড়কা তৎসহ বিবর্ণ মুখশ্রী।
(iv) আড়াআড়িভাবে ব্যথা প্রকাশ পায় বিশেষত উর্ধাঙ্গে। পায়ের তলা স্পর্শকাতর।
(v) সম্পূর্ণ পা পেতে হাঁটতে হয়।
১৯। প্রশ্নঃ জিংকাম মেটালিকামের নিদ্রার লক্ষণাবলী লিখ।
জিংকাম মেটালিকামের নিদ্রার লক্ষণাবলী:
(i) ঘুমের মধ্যে কেঁদে উঠে, দেহ ঝাঁকি মেরে উঠে, ভয়ে জেগে উঠে, এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে।
৪। প্রশ্ন: জাস্টিশিয়া অডোটোডার রোগসমূহ/প্রয়োগ ক্ষেত্র লিখ।
রোগসমূহ (Disease): সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, হুপিংকাশি, লিভারের রোগ।
৫। প্রশ্ন: জাস্টিশিয়া অডোটোডার মানসিক লক্ষণাবলী লিখ।
জাস্টিশিয়া আধাটোডা এর মানসিক লক্ষণাবলী:
বেশী কথা বলতে ভাল লাগে না, মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, বাহিরের ধ্যানধারনায় সচেতন।
২৬। প্রশ্নঃ জাস্টিশিয়া অডোটোভার চরিত্রগত লক্ষণ লিখ। ১৩, ১৫ বা, জাস্টিশিয়া অডোটোডার চরিত্রগত/নির্দেশক/পরিচায়ক লক্ষণাবলী লিখ।
জাস্টিশিয়া আধাটোডার চরিত্রগত লক্ষণ:
(i) মেজাজ খিটখিটে, কথা বলতে অনিচ্ছা।
(ii) মাথায় খামচানোর ব্যথা বোধ হয়, মাথাকে পূর্ণ ভারী বলে মনে হয়।
(iii) হাঁচি, সর্দি, নাক থেকে সবসময় পানি পড়ে, কোন কিছুর গন্ধ ও স্বাদ পাওয়া যায় না।
(iv) পানির পিপাসা থাকে, মুখ ও জিহ্বা শুকনো থাকে। জিহ্বায় ময়লার স্তর পড়ে।
(v) গলা শুকনো, খালি গলায় ঢোক গিললে ব্যথা লাগে, গলার নিচে যেন একটু শ্লেষ্মা জমে আছে কিন্তু কাশির সাথে উঠে না।
(vi) বুকে শ্লেষ্মা জমে আছে, শুকনো কাশি কাশির সাথে হাঁচি। কাশির সাথে যে শ্লেষ্মা উঠে তা তরল নয়, আঠাল জমাট হলুদ বর্ণের, সাথে শ্বাসকষ্ট।
(vii) হুপিং কাশিতে শিশুদের দম বন্ধ হয়ে আসে, কাশিতে কাশিতে শরীর শক্ত হয়ে যায়।
(viii) কাশির সাথে বমি হওয়ায় পেটে কোন খাবার রাখতে পারে না।
১১। প্রশ্নঃ শ্বাসতন্ত্রের পীড়ায় জাস্টিশিয়া অডোটোডার লক্ষণ বর্ণনাকর। ১৩-১৫ বা, জাস্টিশিয়া অডোটোডার শ্বাস-প্রশ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ।
জাস্টিশিয়া অডোটোড়ার শ্বাস-প্রশ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী:
বুকে শ্লেষ্মা জমে আছে, শুকনো কাশি কাশির সাথে হাঁচি। কাশির সাথে যে শ্লেষ্মা উঠে তা তরল নয়, আঠাল জমাট হলুদ বর্ণের, সাথে শ্বাসকষ্ট। স্বরভংগ- ল্যারিংসে ব্যথা। বুকে আড়ষ্টভাব মনে হয় বুকে যেন দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাধা। হাঁপানি টান, গরম ঘরে থাকতে চায় না। হুপিং কাশিতে শিশুদের দম বন্ধ হয়ে আসে, কাশিতে কাশিতে শরীর শক্ত হয়ে যায়। কাশির সাথে বমি হওয়ায় পেটে কোন খাবার রাখতে পারে না। কাশি ও শ্লেষ্মা বুকে হিসহিস শব্দ হয়, গলায় যন্ত্রণা ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, রাতে কাশি।
১৩। প্রশ্ন: জাস্টিশিয়া অডোটোডার উৎস ও হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ। ১৩, ১৫
বা, জাস্টিসিয়া অডোটোডার হ্রাস-বৃদ্ধি লিখ।
জাস্টিশিয়া অডোটোডার উৎস: উদ্ভিদ।
জাস্টিশিয়া অডোটোডার হ্রাস-বৃদ্ধি:
হ্রাস: ঠান্ডায়, মুক্ত বাতাসে।
বৃদ্ধিঃ রাতে, গরম ঘরে, উষ্ণতায়।
১৪। প্রশ্ন: জাস্টিসিয়া অডোটোডার পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ, অনুপুরক
ঔষধ, ক্রিয়ানাশক ঔষধের নাম লিখ।
অনুপূরক/পরিপূরক/তুলনীয় ঔষধ : বেলেডোনা, হায়োসায়েমাস,
ড্রসেরা, রিউমেক্স, মার্কসল।
ক্রিয়ানাশক ঔষধ: নাক্স-ভমিকা, কফিয়া।
ক্রিয়াকাল: কয়েক দিন।
প্রয়োগকৃত শক্তি: Prescribsd dose: 3x,, 6x, 30.
৭। প্রশ্নঃ ভিরেট্রাম এলবামের মানসিক লক্ষণাবলী লিখ।
ভিট্রোম এলবামের মানসিক লক্ষণাবলীঃ
(1) বিষন্নতা তৎসহ গভীর নিদ্রা এবং মনের উন্মাদনা।
(ii) বোকার মত-বসে থাকে, কোন কিছুই লক্ষ্য করে না।
(ii) বিষন্নতা, উদাসীন হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে দুর্দান্ত হয়ে উঠে, চিৎকার করে, অভিসম্পাত দেয়।’
(iv) প্রসবান্তে সূতিকা ক্ষেত্রে, উন্মাদনা বা উন্মত্ততা। মহিলারা মনে করে তার গর্ভধারণ হয়েছে, শীঘ্রই প্রসব হবে।
(v) বাড়ী হতে লক্ষ্যহীনভাবে বের হয়ে ঘুরে বেড়ায়, শীঘ্রই কোন বিপদ আসবে এমন আশংকা করে।
(vi) জিনিসপত্র কেটে ফেলার ও ছিঁড়ে ফেলার প্রবৃত্তিসহ উন্মাদ।
(vii) ব্যথার আক্রমনকালে উন্মাদের মত প্রলাপ বকতে থাকে।
(viii) সারা রাত ধরে চিৎকার করে এবং অভিসম্পাত দেয়।
৮। প্রশ্ন: ভিরেট্রাম এলবাম এর উৎস কি? ইহার পরিচায়ক লক্ষণ লিখ। ১৪, ১৬:
বা, ভিরেট্রাম এলবামের নির্দেশক/চরিত্রগত/পরিচায়ক লক্ষণাবলী লিখ।
উৎস (Source): ভিরেট্রাম এলবাম এর উৎস উদ্ভিদ।
ভিরেট্রাম এলবামের নির্দেশক/চরিত্রগত/পরিচায়ক লক্ষণাবলী:
(i) বিষন্নতা তৎসহ গভীর নিদ্রা এবং মনের উন্মাদনা। এক দৃষ্টে উপর দিকে চেয়ে থাকা, চোখে দীপ্তি নেই।
(ii) মুখ কুচকে যায়। কপালে শীতল ঘর্ম। মনে হয় যেন মস্তক শীর্ষে
এক টুকরা বরফ চাপানো আছে।
(iii) জিহ্বার মধ্যভাগ শুষ্ক, পানি পানে উপশম হয় না। লবণাক্ত লালাস্রাব।
(iv) উৎকণ্ঠাসহ বুক ধড়ফড়ানি, বাহির হতে স্পন্দনের শব্দ শোনা যায়।
নাড়ীর গতি অনিয়মিত এবং ক্ষীণ।
১৪। প্রশ্নঃ কলেরা রোগে ভিরেট্রাম এলবামের লক্ষণ বর্ণনা কর। ২০১৪, ১৬, ১৭.
কলেরা রোগে ভিরেট্রাম এলবামের লক্ষণ বর্ণনা:
(i) তলপেটের মধ্যে শূন্যতা এবং অবসন্নতা অনুভূতি।
(ii) পাকস্থলী ও তলপেটে ঠান্ডার অনুভূতি।
(iii) মলত্যাগের পূর্বে উদর গহ্বরে ব্যথা, খিলধরা, তলপেট ও পা দুটি শক্ত হয়ে যায়। ‘মনে হয় যেন অস্ত্র বের হয়ে যাবে।
(iv) এবডোমেনে চাপসহ হয় না, তীব্র শূলব্যথাসহ স্ফীতি।
(v) সরলান্তের নিষ্ক্রিয়তা হেতু কোষ্ঠকাঠিন্য তৎসহ উত্তাপ ও মাথার যন্ত্রণা।
(vi) শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য- অত্যন্ত ঠান্ডার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য।
(vii) মল বৃহদাকারের, অত্যন্ত কুন্থন দিতে দিতে রোগী অবসন্ন হয়ে পড়ে এবং সাথে শীতল ঘাম দেখা দেয়।
১৫। প্রশ্ন: ভিরেট্রাম এলবামের উদরাময়ের লক্ষণাবলী লিখ।
ভিরেট্রাম এলবামের উদরাময়ের লক্ষণাবলী:
(i) অত্যন্ত ব্যথাদায়ক, পানি মত প্রচুর মল, সজোরে নির্গত হয় এবং অত্যন্ত অবসন্ন হয়ে পড়ে।
(ii) উদরাময়িক কলেরা ও প্রকৃত কলেরা, তখন মলত্যাগের সাথে বমি একই সঙ্গে দেখা দেয়।
১৮। প্রশ্নঃ ভিরেট্রাম এলবামের স্ত্রীজননতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ।
ভিরেট্রাম এলবামের স্ত্রীজননতন্ত্রের লক্ষণাবলী:
(i) নিয়মিত সময়ের বহু পূর্বে ঋতু প্রকাশ, স্রাব প্রচুর এবং অবসাদকর।
(ii) কষ্টরজঃ তৎসহ সর্বাংগীন শীতলতা। বাহ্য ও ঠান্ডা ঘাম।
(iii) সামান্য পরিশ্রমেই রোগিনীর মূর্ছার মত হয়।
(iv) ঋতুকালের পূর্বে যৌন বিষয়ক উন্মাত্ততা।
১৬। প্রশ্নঃ ভিরেট্রাম এলবামের শ্বাসতন্ত্রের লক্ষণগুলি বর্ণনা কর। খা, ভিরেট্রাম এলবামের শ্বাস-প্রশ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী লিখ। ১৪ ভিরেট্রাম এলবামের শ্বাস-প্রশ্বাসতন্ত্রের লক্ষণাবলী:
(i) স্বরভঙ্গ, দুর্বল বা ক্ষীণ স্বর।
(ii) বুকে ঘড় ঘড় শব্দ, বায়ুনালীতে প্রচুর শ্লেষ্মা সঞ্চয়, কাশি দিয়ে বাহির করে ফেলতে পারে না।
(iii) বুকের মধ্যে কর্কশ ঘড় ঘড় শব্দ।
(iv) বৃদ্ধ ব্যক্তিদের পুরাতন ব্রংকাইটিস (হিপোজানিন)।
(V) পাকাশয় গোলযোগের কারণে উচ্চ শব্দযুক্ত কাশি তৎপর বায়ু উদগার, গরম ঘরে বৃদ্ধি।
(vi) গলনালীর নিম্নদিকে সুড়সুড়ি, মুখমন্ডল নীলবর্ণ। কিছু পান করলে বিশেষত ঠান্ডা পানি পান করলে কাশির উদ্রেক হয়।
(vii) কাশিতে কাশিতে দুই এক ফোঁটা মূত্র বের হয়ে পড়ে।
(viii) শীতল বাতাস হতে গমর ঘরে প্রবেশ করলে কাশি আবেগ দেখা দেয় (ব্রায়ো)।
১৭। প্রশ্নঃ ভিরেট্রাম এলবামের হৃদপিন্ডের লক্ষণাবলী লিখ। ভিরেট্রাম এলবামের হৃদপিন্ডের লক্ষণাবলী:
(ⅰ) উৎকণ্ঠাসহ বুক ধড়ফড়ানি, বাহির হতে স্পন্দনের শব্দ শোনা যায়।
নাড়ীর গতি অনিয়মিত এবং ক্ষীণ।
(ii) তামাক সেবন কারণজনিত অভ্যাস হতে হৃদতন্ত্রের রোগ।
(iii) লিভার রোগগ্রস্থ দুর্বল ব্যক্তিদের বিরামশীল হৃদক্রিয়া।
(iv) ইহা হোমিওপ্যাথি মতে একটি উৎকৃষ্ট হৃদপিন্ডের শক্তিবর্ধকঔষধ।