ফরেনসিক মেডিসিন-Toxicoloogy (4th Year)

(Toxicology)

প্রশ্ন: টক্সিকোলজি কি? বা বিষ বিজ্ঞান কাকে বলে?

টক্সিকোলজি (Toxicology) বা বিষ বিজ্ঞান হলো বিজ্ঞানের একটি শাখা, যা বিভিন্ন রাসায়নিক, জৈবিক বা প্রাকৃতিক পদার্থের বিষাক্ততা, তাদের কার্যপ্রণালী, প্রভাব এবং সেই বিষক্রিয়ার নির্ণয়, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করে।

প্রশ্ন: বিষ কি? বিষের শ্রেণীবিভাগ কর। ১৫, ১৬, ১৯ বা, বিষের সংজ্ঞা দাও। বিষের চিকিৎসা আইনগত শ্রেণীবিভাগ কর। ১৭ বা, বিষ কি? ইহার শ্রেণিবিভাগ কর। ১২, ১৩, ১৪

বিষ (Poison) হলো যে কোনো রাসায়নিক, জৈবিক বা প্রাকৃতিক পদার্থ যা জীবন্ত প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করে স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং ক্ষতি, অসুস্থতা বা মৃত্যু ঘটাতে পারে।

বিষের বৈশিষ্ট্য:

  1. এটি প্রাণীর শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
  2. মাত্রার ওপর নির্ভর করে এর প্রভাব: অল্প মাত্রায় উপকারী হতে পারে, কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় ক্ষতিকর বা প্রাণঘাতী।
  3. এটি খাবার, পানীয়, বায়ু বা ত্বকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

বিষের শ্রেণীবিভাগ:

বিষকে বিভিন্ন ভিত্তিতে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। প্রধান শ্রেণীবিভাগগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. উৎপত্তির ভিত্তিতে:

    • প্রাকৃতিক বিষ:
      • উদ্ভিদজাত (যেমন: অ্যাট্রোপিন, আফিম, রাইসিন)
      • প্রাণীজাত (যেমন: সাপের বিষ, বিছার বিষ)
      • খনিজ (যেমন: আর্সেনিক, পারদ)
    • কৃত্রিম বা রাসায়নিক বিষ:
      • শিল্পজাত রাসায়নিক (যেমন: সায়ানাইড, কার্বন মনোক্সাইড)
      • কীটনাশক ও হার্বিসাইড (যেমন: ডিডিটি)

২. প্রভাবের ভিত্তিতে:

    • স্থায়ী বিষ (Chronic Poison): দীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে প্রভাব ফেলে। যেমন: পারদ, সিসা।
    • তীব্র বিষ (Acute Poison): অল্প সময়ের মধ্যেই প্রভাব ফেলে। যেমন: সায়ানাইড, কার্বন মনোক্সাইড।

৩. দেহে প্রবেশের পথের ভিত্তিতে:

    • গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল বিষ: খাবার বা পানীয়ের মাধ্যমে প্রবেশ করে। যেমন: আর্সেনিক।
    • শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশকারী বিষ: গ্যাস বা ধোঁয়া। যেমন: কার্বন মনোক্সাইড।
    • ত্বকের মাধ্যমে শোষিত বিষ: যেমন: কীটনাশক।
    • ইনজেকশন বা কামড়ের মাধ্যমে প্রবেশকারী বিষ: সাপ, পোকা বা ইনজেকশন। যেমন: সাপের বিষ।

৪. ক্রিয়াবিধির ভিত্তিতে:

    • স্নায়ু বিষ: স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। যেমন: সায়ানাইড, স্ট্রিকনিন।
    • রক্ত বিষ: রক্তের ক্ষতি করে। যেমন: কার্বন মনোক্সাইড।
    • কোষ বিষ: কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করে। যেমন: সায়ানাইড।
    • যকৃত বিষ: যকৃতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেমন: অ্যালকোহল।
    • কিডনি বিষ: কিডনির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যেমন: ইথিলিন গ্লাইকোল।

৫. প্রাণঘাতী ক্ষমতার ভিত্তিতে:

    • অতি বিষাক্ত (Highly Toxic): অল্প পরিমাণেই প্রাণঘাতী। যেমন: সায়ানাইড।
    • মধ্যম বিষাক্ত (Moderately Toxic): বেশি মাত্রায় ক্ষতি করে। যেমন: নিকোটিন।
    • কম বিষাক্ত (Low Toxic): ক্ষতি কম হয়। যেমন: ইথানল।

প্রশ্ন: বিষ প্রয়োগে ক্রিয়া বর্ণনা কর।

প্রশ্ন: বিষ প্রয়োগে প্রতিক্রিয়া বর্ণনা কর।

প্রশ্ন: বিষক্রিয়া কি? বিষক্রিয়ার নির্ণয় পদ্ধতি বর্ণনা কর।09,18.

বিষক্রিয়া (Poisoning):

বিষক্রিয়া হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে কোনো বিষাক্ত পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে শারীরবৃত্তীয় বা জৈবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়, যার ফলে শরীরের ক্ষতি, অসুস্থতা বা কখনও প্রাণহানি ঘটতে পারে। বিষক্রিয়া হতে পারে খাবার, পানীয়, বায়ু, ত্বক বা ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে।

বিষক্রিয়ার নির্ণয় পদ্ধতি:

বিষক্রিয়া সঠিকভাবে নির্ণয়ের জন্য রোগীর লক্ষণ, ইতিহাস এবং বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে বিষের উৎস ও প্রভাব চিহ্নিত করা হয়।

১. রোগীর ইতিহাস (Patient History):

    • রোগী কী খেয়েছে বা পান করেছে?
    • বিষাক্ত পদার্থে সংস্পর্শের সময়কাল ও পরিমাণ।
    • কাজের জায়গা বা পরিবেশের বিবরণ।
    • কোনো পূর্বের ওষুধ বা রাসায়নিক ব্যবহারের ইতিহাস।

২. শারীরিক পরীক্ষা (Physical Examination):

    • রক্তচাপ, হার্ট রেট এবং তাপমাত্রা পরিমাপ।
    • ত্বক, চোখ ও মুখের ভিজ্যুয়াল পরীক্ষা (যেমন: পীতভাব, প্রসারিত বা সংকুচিত মণি)।
    • স্নায়ুবিক অবস্থার বিশ্লেষণ।
    • শ্বাস নেওয়ার ধরন পর্যবেক্ষণ।

৩. পরীক্ষাগার পরীক্ষা (Laboratory Tests):

বিষক্রিয়া সঠিকভাবে শনাক্ত করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পরীক্ষা করা হয়:

    • রক্ত পরীক্ষা: রক্তে বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি চিহ্নিত করা।
    • প্রস্রাব পরীক্ষা: বিষাক্ত পদার্থ বা তাদের বিপাকীয় পণ্য সনাক্ত করা।
    • গ্যাস্ট্রিক কনটেন্ট এনালাইসিস: গ্যাস্ট্রিক ওয়াশের মাধ্যমে বিষাক্ত উপাদান খুঁজে বের করা।
    • লিভার এবং কিডনি ফাংশন টেস্ট: লিভার ও কিডনির ওপর বিষের প্রভাব বিশ্লেষণ করা।

৪. বিশেষ রাসায়নিক পরীক্ষা (Toxicological Analysis): বিষের নির্দিষ্টতা নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পরীক্ষা। যেমন: সায়ানাইড, কার্বন মনোক্সাইড, আর্সেনিক বা মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি চিহ্নিত করা।

৫. ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG): হৃদপিণ্ডের কার্যক্রমে বিষের প্রভাব পর্যালোচনা করা।

৬. চিকিৎসার সময় পর্যবেক্ষণ (Symptomatic Observation): রোগীর শারীরিক প্রতিক্রিয়া থেকে বিষের প্রকার সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। উদাহরণ: পেশি খিঁচুনি থেকে স্নায়ু বিষের উপস্থিতি ধারণা করা।

প্রশ্ন: বিষক্রিয়ার সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি বর্ণনা কর। ২০

বিষক্রিয়ার সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি: বিষক্রিয়া চিকিৎসার লক্ষ্য হলো বিষের প্রভাব কমানো, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করা, এবং শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা। চিকিৎসা পদ্ধতি বিষের প্রকার, প্রবেশের পথ, রোগীর অবস্থা এবং বিষক্রিয়ার তীব্রতার ওপর নির্ভর করে।

বিষক্রিয়া হলে দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসা বিষের প্রকার, প্রবেশের পথ এবং রোগীর অবস্থার ওপর নির্ভর করে। নিচে সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো:

প্রাথমিক চিকিৎসা (First Aid):

১. বিষের প্রবেশ পথ অনুযায়ী ব্যবস্থা:

    • খাওয়া বিষ (Ingested Poison):
      • অ্যাক্টিভেটেড চারকোল ব্যবহার করা, যা বিষ শোষণ করে বিষক্রিয়া কমায়।
      • এসিড বা ক্ষার খাওয়া হলে বমি করানোর চেষ্টা না করা।
      • গ্যাস্ট্রিক ওয়াশ প্রয়োগ করা, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে।
    • শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ (Inhaled Poison):
      • রোগীকে দ্রুত খোলা বাতাসে নেওয়া।
      • প্রয়োজনে অক্সিজেন দেওয়া।
    • ত্বকের মাধ্যমে প্রবেশ (Absorbed Poison):
      • ত্বকটি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা।
      • বিষাক্ত পদার্থ লেগে থাকলে নিরপেক্ষ দ্রবণ ব্যবহার।
    • ইনজেকশন বা কামড়ের মাধ্যমে প্রবেশ (Injected Poison):
      • কামড়ের জায়গা পরিষ্কার করা।
      • বিষ ছড়ানো বন্ধ করতে আক্রান্ত অঙ্গের নড়াচড়া কমানো।

হাসপাতাল-ভিত্তিক চিকিৎসা:

১. বিষের নিরোধক (Antidote Therapy):
নির্দিষ্ট বিষের জন্য অ্যান্টিডোট দেওয়া হয়। যেমন:

    • সায়ানাইড বিষের জন্য সোডিয়াম থায়োসালফেট।
    • প্যারাসিটামল বিষের জন্য এন-অ্যাসিটাইল সিস্টেইন।
    • সাপের বিষের জন্য অ্যান্টি-ভেনম।

২. শরীর থেকে বিষ অপসারণ (Decontamination):

    • গ্যাস্ট্রিক ওয়াশ ব্যবহার করে পেট পরিষ্কার করা।
    • অ্যাক্টিভেটেড চারকোল প্রয়োগ করে বিষ শোষণ রোধ করা।
    • রক্ত থেকে বিষ অপসারণের জন্য ডায়ালাইসিস করা।

৩. লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা (Symptomatic Treatment):

    • শ্বাস-প্রশ্বাস সমস্যা থাকলে অক্সিজেন দেওয়া।
    • খিঁচুনি থাকলে অ্যান্টি-সিজার ওষুধ ব্যবহার।
    • রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ।

৪. সাপোর্টিভ থেরাপি (Supportive Care):

    • ফ্লুইড এবং ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখা।
    • শ্বাসযন্ত্রের কার্যক্রম বজায় রাখতে ভেন্টিলেশন ব্যবহার।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

১. বিষাক্ত পদার্থ থেকে দূরে থাকা।
২. রাসায়নিক পদার্থের সঠিক সংরক্ষণ।
৩. কাজের সময় সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করা।

সঠিক ও দ্রুত চিকিৎসা রোগীর জীবন বাঁচাতে সহায়ক। বিষক্রিয়া শনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

প্রশ্ন: হত্যামূলক কাজের জন্য কি কি বিষ ব্যবহৃত হয়? ২১

হত্যামূলক কাজের জন্য ব্যবহৃত বিষ:

১. সায়ানাইড: দ্রুত অক্সিজেন গ্রহণ বন্ধ করে মৃত্যু ঘটায়।
২. আর্সেনিক: স্বাদ-গন্ধহীন, কোষের কার্যক্রম বন্ধ করে।
3. মারকিউরিক ক্লোরাইড: কিডনি ও স্নায়ুতন্ত্র ধ্বংস করে।
৪. রাইসিন: কোষের প্রোটিন তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ করে।
৫. বটুলিনাম টক্সিন: স্নায়ু সংকেত বন্ধ করে প্যারালাইসিস ঘটায়।
৬. পটাশিয়াম সায়ানাইড: তাত্ক্ষণিক বিষক্রিয়া।
৭. কার্বন মনোক্সাইড: অক্সিজেন পরিবহন বন্ধ করে।
৮. থ্যালিয়াম: স্নায়ুতন্ত্র ধ্বংস করে।
৯. স্ট্রিকনিন: খিঁচুনি ও শ্বাসকষ্ট ঘটায়।
১০. ডিজিটালিস: হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়।

এগুলো সাধারণত খাবার, পানীয় বা শ্বাসের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন: ধাতব বিষ ক্রিয়ার চিকিৎসা লিখ।

প্রশ্ন: চুরি, ডাকাতি ও গর্ভপাত করতে কোন্ কোন্ বিষ ব্যবহার কার হয়? ০৮

চুরি, ডাকাতি ও গর্ভপাতের জন্য ব্যবহৃত বিষ:

১. ধুতুরা: চেতনানাশক, চুরি বা ডাকাতির সময় ব্যবহার।
২. ক্লোরোফর্ম: অজ্ঞান করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
৩. ক্যারারা (Curare): পেশি অবশ করে, দ্রুত কার্যকর।
৪. আর্সেনিক: গর্ভপাত ও ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া ঘটাতে ব্যবহৃত।
৫. ক্যালোমেল (Mercurous Chloride): গর্ভপাত ঘটাতে ব্যবহৃত হয়।
৬. প্যারাসিটামল ওষুধের অতিমাত্রা: লিভার ক্ষতি করে গর্ভপাত ঘটায়।
৭. পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট: গর্ভপাতের উদ্দেশ্যে ব্যবহার।

এসব পদার্থ অবৈধভাবে ব্যবহৃত হয় এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

 করোসিভ বিষসমূহ (Corrosive poisoning by)

প্রশ্ন: করোসিভ বিষের সংজ্ঞা লিখ।

করোসিভ বিষ হলো এমন একটি পদার্থ যা শরীরের টিস্যুর সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে এলে তা ধ্বংস করতে পারে বা মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এগুলো সাধারণত তীব্রভাবে এসিডিক বা ক্ষারীয় প্রকৃতির হয় এবং ত্বক, চোখ, শ্বাসযন্ত্র বা অন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

উদাহরণ: সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড।

প্রশ্ন: করোসিভ বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলী লিখ।

প্রশ্ন: করোসিভ বিষক্রিয়ার চিকিৎসা লিখ।

প্রশ্ন: হত্যামূলক কাজের জন্য আদর্শ বিষের বৈশিষ্ট্য কি কি? বা, হত্যামূলক বিষের বৈশিষ্ট্য লিখ। ১৭, ১৮ বা, আত্মহত্যামূলক বিষের বৈশিষ্ট্য লিখ। ১৯

হত্যামূলক কাজের জন্য আদর্শ বিষের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

  1. অদৃশ্য এবং স্বাদহীন: বিষটি গন্ধহীন এবং স্বাদহীন হওয়া উচিত, যাতে এটি সহজে শনাক্ত না হয়।
  2. দ্রুত কার্যকর: বিষটির প্রভাব তাড়াতাড়ি দেখা দিতে হবে, যাতে তা দ্রুত মৃত্যুর কারণ হয়।
  3. অল্প পরিমাণে কার্যকর: বিষটির কার্যকারিতা খুব কম পরিমাণে হওয়া উচিত, যাতে সহজেই ব্যবহার করা যায়।
  4. প্রাকৃতিক বা রাসায়নিকভাবে প্রস্তুত: এটি প্রাকৃতিক বা রাসায়নিক হতে পারে, তবে এটি সহজেই পাওয়া এবং ব্যবহৃত হওয়া উচিত।
  5. শরীরে দ্রুত শোষিত: বিষটি শরীরের বিভিন্ন অংশে দ্রুত শোষিত হতে পারে, যাতে সময়মতো প্রভাব ফেলতে পারে।
  6. বিশেষত শারীরিক বা শ্বাসতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বন্ধ করা: বিষটির প্রভাব শ্বাসপ্রশ্বাস, হৃদপিণ্ডের কার্যক্রম বা স্নায়ুতন্ত্রের উপর হতে পারে।
  7. বিষাক্ত পদার্থের ধরন: এর মধ্যে সায়ানাইড, আর্সেনিক, স্ট্রিকনিন, রাইসিন ইত্যাদি থাকতে পারে।

সালফিউরিক এসিড (Sulphuric acid)

রাসায়নিক সংকেত: H2SO4

প্রশ্ন: সালফিউরিক এসিডের প্রাণঘাতী মাত্রা এবং প্রাণঘাতী সময় কত?

প্রশ্ন: সালফিউরিক এসিডের বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর কারণসমূহ লিখ।

প্রশ্ন: সালফিউরিক এসিডের ব্যবহার লিখ।

প্রশ্ন: সালফিউরিক এসিডের বিষক্রিয়ায় মৃতদেহে প্রাপ্ত চিহ্নসমূহ বর্ণনা কর।

প্রশ্ন: সালফিউরিক এসিডের বিষক্রিয়ার লক্ষণ ও চিহ্ন লিখ। ২১

সালফিউরিক এসিডের বিষক্রিয়ার লক্ষণ ও চিহ্ন:

সালফিউরিক এসিড একটি অত্যন্ত করোসিভ (ক্ষয়কারী) পদার্থ, যা শরীরে প্রবেশ করলে তীব্র ক্ষতি ঘটাতে পারে। এর বিষক্রিয়া বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং নিম্নলিখিত লক্ষণ ও চিহ্ন দেখা যায়:

১. ত্বকে প্রবেশের পর:

    • ত্বকে তীব্র জ্বলুনি, লালভাব এবং অগ্নিদগ্ধতার মতো অনুভূতি।
    • ত্বক কালো হয়ে যাওয়া (কেমিক্যাল বার্ন)।
    • ক্ষত বা পুঁজ হওয়া স্থান।

২. চোখে প্রবেশের পর:

    • চোখের তীব্র জ্বালা এবং অস্বস্তি।
    • চোখে লালভাব এবং ফোলাভাব।
    • দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি অন্ধত্বও ঘটতে পারে।

৩. শ্বাসপ্রশ্বাসে প্রবেশের পর:

    • তীব্র শ্বাসকষ্ট এবং কাশির ঘটনা।
    • গলা ও শ্বাসনালির মধ্যে জ্বালা, ব্যথা ও সাসপেনশন।
    • শ্বাসযন্ত্রের তীব্র ক্ষতি, যা শ্বাসরোধ এবং ফুসফুসের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।

৪. মুখ বা পেটে প্রবেশের পর:

    • তীব্র গলা এবং পেট ব্যথা।
    • বমি ও তীব্র ডায়রিয়া।
    • খাদ্যনালির ক্ষতি, যেগুলি মুখের ভিতর পোড়ানোর কারণে রক্তপাত ঘটাতে পারে।
    • পেটের ভিতরে গ্যাস্ট্রিক আলসার বা ক্ষত সৃষ্টি।

৫. স্নায়ুতন্ত্রের প্রভাব:

    • মাথাব্যথা এবং অস্বস্তি।
    • শ্বাসকষ্ট এবং অজ্ঞান হওয়া (কম ক্ষেত্রে)।

৬. সাধারণ শারীরিক প্রভাব:

    • অস্বাভাবিক ঘাম, ঠাণ্ডা হাত-পা।
    • রক্তচাপ কমে যাওয়া (হাইপোটেনশন)।
    • শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি, যেমন কিডনি বা লিভারের ব্যর্থতা।

প্রশ্ন: সালফিউরিক এসিডের বিষক্রিয়ার চিকিৎসা বর্ণনা কর।

প্রশ্ন: সালফিউরিক এসিডের বিষক্রিয়ার জটিলতা লিখ।

নাইট্রিক এসিড (Nitric acid), HNO,

প্রশ্ন: নাইট্রিক এসিডের রাসায়নিক সংকেত, প্রাণঘাতী মাত্রা ও সময় লিখ।

প্রশ্ন: নাইট্রিক এসিডের বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর কারণগুলি লিখ।

প্রশ্ন: নাইট্রিক এসিডের মৃতদেহে প্রাপ্ত চিহ্ন সমূহ লিখ।

প্রশ্ন: নাইট্রিক এসিডের বৈধ ব্যবহার লিখ।

প্রশ্ন: নাইট্রিক এসিডের বিষক্রিয়ার চিহ্ন ও লক্ষণ লিখ।

প্রশ্ন: নাইট্রিক এসিডের বিষক্রিয়ার চিকিৎসা লিখ।

প্রশ্ন: নাইট্রিক এসিডের মেডিকোলিগাল ব্যবহার লিখ।

প্রশ্ন: নাইট্রিক এসিডের বিষক্রিয়ার জটিলতা লিখ।

কার্বলিক এসিড (Carbolic acid)

প্রশ্ন: কার্বলিজম কাকে বলে? প্রাণঘাতী মাত্রা ও প্রাণঘাতী সময় লিখ।

প্রশ্ন:কার্বলিক এসিডের বিষক্রিয়ার মৃত্যুর কারণসমূহ লিখ।

প্রশ্ন: কার্বলিক এসিডের বিভিন্ন প্রকার ব্যবহার লিখ। বা, কার্বলিক এসিড বিষ হিসাবে এবং বৈধভাবে ব্যবহার ক্ষেত্র লিখ।

প্রশ্ন: কার্বলিক এসিডের বিষক্রিয়ার চিহ্ন ও লক্ষণ লিখ।

প্রশ্ন: কার্বলিক এসিডের মৃতদেহে প্রাপ্ত চিহ্ন সমূহ লিখ।

প্রশ্ন: কার্বলিক এসিডের বিষক্রিয়ার চিকিৎসা লিখ।

গ্লাসিয়াল এসিটিক এসিড (Glacial Acetic acid)

প্রশ্ন: এসিটিক এসিডের প্রাণঘাতী মাত্রা ও প্রাণঘাতী সময় লিখ।

প্রশ্ন: এসিটিক এসিডের বিষ ক্রিয়ার লক্ষণাবলী লিখ।

প্রশ্ন: এসিটিক এসিডের বিষক্রিয়ার মৃত দেহের প্রাপ্ত চিহ্ন লিখ।

প্রশ্ন: এসিটিক এসিডের বিষ হিসাবে ব্যবহার লিখ।

প্রশ্ন: এসিটিক এসিড বিষক্রিয়ায় চিকিৎসা লিখ।

প্রশ্ন: এসিড নিক্ষেপের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা লিখ। ১৩,২১

এসিড নিক্ষেপের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা:

এসিড নিক্ষেপের ঘটনা দ্রুত এবং যথাযথ চিকিৎসা প্রয়োজন। এর প্রাথমিক চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা নিম্নরূপ:

১. ত্বকে এসিড লাগলে:

  • দ্রুত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন: আক্রান্ত স্থানটি অতিরিক্ত পরিমাণে পানিতে ধুয়ে ফেলুন (কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট)।
  • পানি বা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট দ্রবণ ব্যবহার করুন: এসিডের প্রভাব কমানোর জন্য পানিতে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট মিশিয়ে ধুতে পারেন।
  • মেডিকেল সহায়তা নিন: গুরুতর ক্ষতি হলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

২. চোখে এসিড পড়লে:

  • পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন: অবিলম্বে চোখগুলো ১৫-২০ মিনিট ধরে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • চোখের ক্ষতি হলে: চিকিৎসককে দেখান। চোখের বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

৩. মুখে বা পেটে এসিড প্রবেশ করলে:

  • মৌখিক পরিষ্কার: আক্রান্ত ব্যক্তিকে পানি বা দুধ পানের জন্য উৎসাহিত করুন, কিন্তু কোনো ধরনের খাবার বা পানীয় না দিতে চেষ্টা করুন যদি অজ্ঞান বা গলা বন্ধ হয়ে যায়।
  • বমি করানোর চেষ্টা করবেন না: এসিডের বিষক্রিয়া বেশি হলে বমি করানো বিপজ্জনক হতে পারে।
  • হাসপাতালে নেওয়া: অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, যেখানে গ্যাস্ট্রিক lavage বা অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৪. শ্বাসপ্রশ্বাসে এসিড প্রবেশ করলে:

  • শ্বাস নিতে সমস্যা হলে: আক্রান্ত ব্যক্তিকে তাজা বাতাসে নিয়ে আসুন, এবং শ্বাসকষ্ট অবস্থা গুরুতর হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
  • মেডিকেল অ্যাটেনশন: চিকিৎসক শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে এবং শ্বাসযন্ত্রের চিকিৎসা করতে পারেন।

৫. সাধারণ ব্যবস্থাপনা:

  • ব্যথা ও প্রদাহ কমানোর জন্য ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।
  • অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবস্থাপনা: ইনফেকশন এড়াতে চিকিৎসক পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন।
  • মেডিকেল ফলোআপ: দীর্ঘমেয়াদী ক্ষত বা দাগের জন্য ডার্মাটোলজিস্ট বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

এসিড নিক্ষেপের চিকিৎসা প্রাথমিকভাবে দ্রুত এবং কার্যকরী হতে হবে, যাতে শারীরিক ক্ষতির মাত্রা কমানো যায়।

অজৈব বিষসমূহ (Inorganic poisons)

ফসফরাস (Phosphorus)

প্রশ্ন: ফসফরাসের সংকেত, প্রাণঘাতী মাত্রা ও সময় লিখ।

প্রশ্ন: ফসফরাসের শ্রেণিবিভাগ লিখ।

প্রশ্ন: ফসফরাস বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর ধরণ লিখ।

প্রশ্ন: ফসফরাসের বিষ হিসাবে ব্যবহার বা অপরাধমূলক ব্যবহার লিখ।

প্রশ্ন: ফসফরাস বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলী লিখ।

প্রশ্ন: ফসফরাস বিষক্রিয়ায় মৃত দেহে প্রাপ্ত চিহ্নসমূহ কি কি?

প্রশ্ন: ফসফরাস বিষক্রিয়ার চিকিৎসা লিখ।

আর্সেনিক (Arsenic)

প্রশ্ন: আর্সেনিকের রাসায়নিক সংকেত, প্রাণঘাতী মাত্রা, প্রাণঘাতী সময় লিখ।

প্রশ্ন: আর্সেনিকের বিষক্রিয়ার উৎস কি কি?

প্রশ্ন: আর্সেনিকের বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলি লিখ। ১২

আর্সেনিকের বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলি:

  • গলা ও পেটে তীব্র ব্যথা।
  • বমি ও ডায়রিয়া (প্রাথমিকভাবে প্রবল স্রাব)।
  • রক্তবমি বা রক্তসমৃদ্ধ মল।
  • শুষ্ক ত্বক, ঘাম, এবং কোল্ড ক্লাম্মি হাত-পা।
  • বিস্মৃতি বা মানসিক অবসাদ।
  • কিডনি ক্ষতি (পানির প্রবাহ কমে যেতে পারে)।
  • হৃদস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা বা শ্বাসকষ্ট।
  • ভ্রমণ, খিঁচুনি বা অস্থিরতা।
  • চুল পড়া বা ত্বকের দাগ।
  • নিষ্ক্রিয়তা, দুর্বলতা ও ক্লান্তি।
  • হালকা বা গা dark ় রক্তচাপ কমে যাওয়া।
  • পেশি অবশ বা দুর্বলতা।

প্রশ্ন: নার্কোটিক ধরনের বিষক্রিয়ার চিহ্ন কি কি?

প্রশ্ন: আর্সেনিকের বিষক্রিয়ার চিকিৎসা লিখ।

ডাইক্লোর-ডাই- ফেনাইল-ট্রাইক্লোরোইথেন (D. D. T)

প্রশ্ন: ডাইক্লোর-ডাই- ফেনাইল- ট্রাইক্লোরোইথেন এর প্রাণঘাতী মাত্রা ও সময় লিখ।

প্রশ্ন: ডাইক্লোর-ডাই- ফেনাইল- ট্রাইক্লোরোইথেনের বিষক্রিয়ার লক্ষণ ও চিহ্ন লিখ।

প্রশ্ন: ডাইক্লোর-ডাই- ফেনাইল-ট্রাইক্লোরোইথেনের বিষক্রিয়ার চিকিৎসা লিখ।

এনড্রিন (Endrine).

প্রশ্ন: এনড্রিন কি? ইহার প্রাণঘাতী মাত্রা, প্রাণঘাতী সময় লিখ।

এনড্রিন (Endrin): এনড্রিন একটি অরগানোফসফেট শ্রেণির কীটনাশক (insecticide), যা প্রাথমিকভাবে কৃষিকাজে ব্যবহৃত হত। এটি স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে এবং বিশেষভাবে স্নায়ু সিগন্যালিংকে ব্যাহত করে, যার ফলে বিষক্রিয়া এবং মৃত্যু ঘটতে পারে। বর্তমানে এটি অনেক দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কারণ এটি পরিবেশ ও মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

এনড্রিনের প্রাণঘাতী মাত্রা: এনড্রিনের বিষক্রিয়া প্রাণঘাতী হতে পারে মাত্র 1-2 মিলিগ্রাম প্রতি কেজি (এটি শরীরের প্রতি কেজি ওজন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে)। এর মধ্যে, গড়ে 2-3 মিলিগ্রাম প্রতি কেজি শরীরের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে, এবং এটি কীটনাশক স্প্রে বা খাবারে মিশে প্রভাব ফেলতে পারে।

এনড্রিনের প্রাণঘাতী সময়: এনড্রিনের বিষক্রিয়া সাধারণত দ্রুত কাজ শুরু করে, এবং মাত্র কয়েক ঘণ্টা (2 থেকে 6 ঘণ্টা) এর মধ্যে গুরুতর বিষক্রিয়া বা মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে, তবে এটা নির্ভর করে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বিষের পরিমাণের উপর। জীবিত থাকলে, বিষক্রিয়া থেকে সুস্থ হতে কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে, কিন্তু এটি দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।

প্রশ্ন: বিষ হিসাবে এনড্রিনের ব্যবহার লিখ।

প্রশ্ন: এনড্রিনের বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলী লিখ। ১৯

এনড্রিনের বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলি:

  • মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট।
  • মাথা ঘোরা ও মাথায় ঘূর্ণন অনুভব।
  • মূর্ছা যাওয়া বা অজ্ঞান হওয়া।
  • খিঁচুনি বা স্নায়ুতন্ত্রের অস্বাভাবিক কার্যক্রম।
  • তীব্র বমি ও ডায়রিয়া।
  • পেটের ব্যথা বা ফোলা।
  • ঘাম এবং শীতল হাত-পা।
  • স্মৃতিশক্তি লোপ বা মনোযোগের অভাব।
  • হৃদস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা (ত্বরিত বা ধীর)।
  • মাংসপেশি দুর্বলতা বা অবশ হয়ে যাওয়া।
  • নিস্তেজতা বা ক্লান্তি।

এনড্রিন বিষক্রিয়া হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: এনড্রিন বিষক্রিয়ার ব্যবস্থাপনা/চিকিৎসা লিখ। ১৯

এনড্রিন বিষক্রিয়ার ব্যবস্থাপনা/চিকিৎসা: এনড্রিন হলো একটি পেস্টিসাইড বা কীটনাশক যা বিষাক্ত এবং এর বিষক্রিয়া মানবদেহে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটি সাধারণত স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে এবং শ্বাসতন্ত্র, হৃদযন্ত্র এবং স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এনড্রিন বিষক্রিয়ার চিকিৎসা জরুরি এবং সঠিকভাবে পরিচালিত হলে জীবন রক্ষা সম্ভব।

এনড্রিন বিষক্রিয়ার লক্ষণ:

  • মাথাব্যথা, বমি এবং অস্থিরতা
  • শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা
  • হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক বা দ্রুত হওয়া
  • পেশী দুর্বলতা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের টানটান অনুভূতি
  • মাথা ঘুরানো বা অচেতনতা

চিকিৎসা / ব্যবস্থাপনা:

  1. ভিকটিমকে দ্রুত শ্বাসনালীতে পৌঁছানোর আগে সঠিক চিকিৎসা প্রদান:

    • আক্রান্ত ব্যক্তি যদি বিষাক্ত পদার্থ শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করে থাকে, তবে তাকে শীতল বাতাসে বা স্বচ্ছ এলাকায় স্থানান্তর করা উচিত।
    • উন্মুক্ত স্থানে রাখা, যাতে বিষাক্ত পদার্থ বাতাসে দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারে।
  2. পেট বা শ্বাসনালী পরিষ্কার করা:

    • বিষক্রিয়াগ্রস্ত ব্যক্তি যদি বিষ খেয়ে থাকে, তবে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে পেট পরিষ্কার করতে হবে (যেমন, ইন্ডাকশন vomit বা গ্যাসট্রিক ল্যাভেজ)।
    • বিষক্রিয়া শ্বাসনালী দ্বারা হলে, শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতির জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে।
  3. অ্যান্টিডোট বা নিরাময়কারী পদার্থ:

    • প্যারাথিওন (Parathion) অথবা পিপেরাজিন (Piperazine) ব্যবহার করা হতে পারে বিষের প্রভাব নষ্ট করার জন্য।
    • যদি বিষক্রিয়ার মাত্রা বেশি হয়, তবে ডিমারকাপ্রল (Dimercaprol) বা পেনিসিলামিন (Penicillamine) ব্যবহার করা হতে পারে।
  4. শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হৃদযন্ত্রের মনিটরিং: শ্বাসকষ্ট এবং হার্টবিট মনিটর করা, যদি প্রয়োজন হয় তবে ভেন্টিলেটর বা আইসিইউ সাপোর্টে রাখা।

  5. পরবর্তী নিরাময়ের জন্য পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং ক্যালসিয়াম প্রয়োগ করা হতে পারে যতটা সম্ভব স্নায়ুতন্ত্র এবং হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরুদ্ধার করার জন্য।

সেরিব্রাল বিষসমূহ (Cerebral poisons)

প্রশ্ন: সেরিব্রাল বিষগুলির নাম লিখ। সেরিব্রাল বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলী লিখ।

এলকোহল (Alcohol)

প্রশ্ন: এলকোহল রাসায়নিক সংকেত লিখ।

প্রশ্ন: এলকোহল কোন ধরনে বিষ, প্রাণঘাতীমাত্রা ও সময় লিখ।

প্রশ্ন: এলকোহল বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলি লিখ। ১০

এলকোহল বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলি:

  • মাথাব্যথা ও মুড পরিবর্তন (আবেগিক বা মনোযোগের অভাব)।
  • শরীরের সমন্বয়ে সমস্যা (হাঁটা বা দাঁড়ানোতে অস্বাভাবিকতা)।
  • শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসের গতি পরিবর্তন।
  • মাথা ঘোরা বা বমি ভাব।
  • শক্তি হ্রাস বা ক্লান্তি অনুভব।
  • বিভ্রান্তি বা দৃষ্টি বিভ্রাট।
  • ঘাম বা তাপমাত্রা পরিবর্তন (ঠাণ্ডা হাত-পা)।
  • বিভ্রান্তি, অস্বাভাবিক আচরণ বা মেমরি লস।
  • হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়া বা অস্বাভাবিকতা।
  • সেন্সরী (স্পর্শ, দৃষ্টি) দুর্বলতা।
  • মূর্ছা যাওয়া বা অজ্ঞান হওয়া।

এলকোহলের বিষক্রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন, বিশেষ করে অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন হলে।

প্রশ্ন: এলকোহল বিষক্রিয়ার চিকিৎসা লিখ।

প্রশ্ন: এলকোহল বিষক্রিয়ায় মৃত দেহে প্রাপ্ত চিহ্ন সমূহ কি কি?

প্রশ্ন: মিথাইল এলকোহল বিষক্রিয়ার চিহ্ন ও লক্ষণাবলী লিখ।

ক্লোরোফর্ম (Chloroform)

প্রশ্ন: ক্লোরোফর্মের রাসায়নিক সংকেত, প্রাণঘাতীমাত্রা ও সময় লিখ।

প্রশ্ন: ক্লোরোফর্মের বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলী লিখ। ০৮, ০৯,

ক্লোরোফর্মের বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলি:

  • মাথাব্যথা এবং মধুর বা ঘুমানো অনুভূতি।
  • শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি কমে যাওয়া।
  • মূর্ছা যাওয়া বা অজ্ঞান হওয়া।
  • মুচড়ানো বা খিঁচুনি।
  • বমি বা পেটে অস্বস্তি।
  • দৃষ্টির সমস্যা বা বিভ্রান্তি।
  • হৃদস্পন্দন ধীর হয়ে যাওয়া (ব্রাডিকার্ডিয়া)।
  • শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া (হাইপোথার্মিয়া)।
  • ক্লান্তি, দুর্বলতা বা শারীরিক অসুস্থতা।
  • কম চাপ (হাইপোটেনশন) এবং ঘাম।

ক্লোরোফর্ম বিষক্রিয়া হলে অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন, কারণ এটি দ্রুত অজ্ঞান করা এবং শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করতে পারে।

প্রশ্ন: বিষ হিসাবে ব্লোরোফর্মের ব্যবহার লিখ।

প্রশ্ন: ক্লোরোফর্ম বিষাক্ততার চিকিৎসা/ব্যবস্থাপনা লিখ।

ধুতুরা (Dhatura)

প্রশ্ন: ধুতুরা কোন গ্রুপের বিষ? ধুতুরা বিষের প্রাণঘাতী মাত্রা ও সময় লিখ।

প্রশ্ন: ধুতুরা বিষ প্রয়োগের কারণসমূহ লিখ। ১০

ধুতুরা বিষ প্রয়োগের কারণসমূহ:

  1. চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহৃত: ধুতুরা বিষ সাধারণত চেতনানাশক (sedative) হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যাতে শরীরের শিথিলতা সৃষ্টি হয়।
  2. সাম্প্রতিক ঘটনা বা অপরাধমূলক কাজ: কখনও কখনও ধুতুরা বিষ চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি আক্রান্ত ব্যক্তিকে অচেতন করতে সহায়ক।
  3. হত্যা বা শারীরিক ক্ষতি: ধুতুরা বিষ ব্যবহৃত হতে পারে হত্যাকাণ্ড বা অন্যদের শারীরিক ক্ষতি করার জন্য, কারণ এটি তীব্র বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং ধীরে ধীরে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
  4. অত্যধিক ব্যথা বা শারীরিক অস্বস্তি কমানোর উদ্দেশ্যে: কিছু ক্ষেত্রে, এটি ব্যথা বা অস্বস্তি কমানোর জন্য ব্যবহার হতে পারে, বিশেষ করে রোগীকে অচেতন করার জন্য।
  5. সোশ্যাল বা মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা: মাদক হিসেবে কিছু ব্যক্তি ধুতুরাকে মনস্তাত্ত্বিক বা শারীরিক অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারে।
  6. সুরক্ষা বা আত্মরক্ষা: কিছু পরিস্থিতিতে, ধুতুরা বিষ দিয়ে সুরক্ষা বা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে শত্রুকে দুর্বল করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।

প্রশ্ন: ধুতুরা কোন শ্রেণির বিষ? এই বিষ প্রয়োগের কারণসমূহ বর্ণনা কর। ১২ বা বিষ হিসাবে ধুতুরার ব্যবহার লিখ।

ধুতুরা বিষের শ্রেণি:

ধুতুরা একটি আলকালয়েড (Alkaloid) শ্রেণির বিষ, যা মূলত আতরোপা বেলাডোনা (Atropa belladonna) গাছের অংশবিশেষ থেকে পাওয়া যায়। এটি একটি সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম (CNS) কে প্রভাবিত করে এবং এটি অ্যান্টিকোলিনার্জিক (Anticholinergic) বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, যার ফলে এটি শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ধুতুরার বিষ এন্টিহিস্টামিন, মাইড্রিয়াটিক, সিডেটিভ ও প্যারা-সিম্প্যাথেটিক ব্লকার হিসেবে কাজ করে।

ধুতুরা বিষ প্রয়োগের কারণসমূহ:

  1. হত্যা বা হত্যার চেষ্টা: ধুতুরা বিষ সাধারণত ধীরে ধীরে কাজ করে এবং এর বিষক্রিয়া থেকে মৃত্যু হতে পারে, তাই এটি হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে।
  2. শারীরিক ক্ষতি বা অচেতন করা: চুরি বা ডাকাতির মতো অপরাধমূলক কাজে, ধুতুরা বিষ ব্যবহৃত হতে পারে কাউকে অচেতন করার জন্য।
  3. আত্মহত্যার প্রচেষ্টা: কিছু ব্যক্তি আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ধুতুরা বিষ ব্যবহার করতে পারে, কারণ এটি মৃত্যুর জন্য ধীরে ধীরে কাজ করে।
  4. ব্যথা বা অস্বস্তি উপশম: কিছু পরিস্থিতিতে ধুতুরা বিষ ব্যবহৃত হতে পারে ব্যথা বা শারীরিক অস্বস্তি কমানোর জন্য, বিশেষ করে অস্ত্রোপচার বা গুরুতর আঘাতের ক্ষেত্রে।
  5. মাদকসেবী ব্যবহার: কিছু মাদকাসক্ত ব্যক্তি ধুতুরাকে মনোভাব বা অনুভূতির পরিবর্তনের জন্য মাদক হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, কারণ এটি স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
  6. ষড়যন্ত্র বা প্রতিশোধ: ধুতুরা বিষ কখনও কখনও ষড়যন্ত্র বা প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে, বিশেষ করে ব্যক্তি বা গ্রুপের মধ্যে সম্পর্কের সমস্যার কারণে।
 

প্রশ্ন: ধুতুরা বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলী লিখ। ১১, ১৩, ১৫

ধুতুরা বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলি:

ধুতুরা বিষক্রিয়া সাধারণত আন্টিকোলিনার্জিক (Anticholinergic) প্রভাব সৃষ্টি করে, যা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকলাপকে ব্যাহত করে। এর বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলি নিচে বর্ণনা করা হলো:

  1. মুখ শুকানো (Dry mouth)
  2. নজরে সমস্যা (মুখস্থ বস্তু অস্পষ্ট দেখাও, পিপিল dilation বা চোখের মণির প্রসারণ)
  3. পেশির দুর্বলতা (Muscle weakness)
  4. অস্বাভাবিক তাপমাত্রা অনুভব করা (ফেব্রাইল কন্ডিশন, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি)
  5. পেটের সমস্যা (পেটে ব্যথা, বমি বা কোষ্ঠকাঠিন্য)
  6. মনোযোগ বা সচেতনতার অভাব (Confusion, hallucinations, or delirium)
  7. খিঁচুনি বা অস্থিরতা (Seizures or tremors)
  8. মূর্ছা বা অজ্ঞান হওয়া (Loss of consciousness)
  9. হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিকতা (Tachycardia বা ধীর হৃদস্পন্দন)
  10. শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা (Respiratory depression)
  11. গরম বা শীত অনুভব করা (Hot and dry skin, with the possibility of sweating reduction)

ধুতুরা বিষক্রিয়া গুরুতর হতে পারে, এবং এই অবস্থায় চিকিৎসা না হলে মৃত্যুও হতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

প্রশ্ন: ধুতুরা বিষের চিকিৎসা/ব্যবস্থাপনা লিখ।

প্রশ্ন: ধুতুরা বিষ প্রয়োগের কারণসমূহ লিখ।

প্রশ্ন: ধুতুরা বিষক্রিয়ায় মৃতদেহে প্রাপ্ত চিহ্নগুলি কি কি?

ক্যানাবিস ইন্ডিকার (Canabis indica)

প্রশ্ন: ক্যানাবিস ইন্ডিকার বিষক্রিয়ার লক্ষণাবলী লিখ।

প্রশ্ন: ক্যানাবিস ইন্ডিকার বা গাঁজার বিষাক্ততার চিকিৎসা লিখ।

সায়ানাইডস (Cyanides)

প্রশ্ন: সায়ানাইডস বিষের নাম লিখ।

প্রশ্ন: সায়ানাইডস কি ধরনের বিষ, প্রাণঘাতী মাত্রা ও সময় লিখ।

প্রশ্ন: সায়ানাইডসের ব্যবহার লিখ।

প্রশ্ন: সায়ানাইডস বিষক্রিয়ার লক্ষণ ও চিহ্ন লিখ। ২০

সায়ানাইড বিষক্রিয়ার লক্ষণ ও চিহ্ন:

সায়ানাইড একটি অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ, যা শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে শরীরে প্রবাহিত হয়ে সেলুলার শ্বাস প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি করে। এটি দ্রুত বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সায়ানাইড বিষক্রিয়ার লক্ষণ ও চিহ্ন গুলি নিচে বর্ণনা করা হলো:

  1. শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি কমে যাওয়া
  2. মাথাব্যথা এবং dizziness (মাথা ঘোরা)
  3. মূর্ছা বা অজ্ঞান হওয়া
  4. সুস্থ্যতা হ্রাস, দুর্বলতা বা ক্লান্তি
  5. অস্থিরতা বা উদ্বেগ
  6. পেটের অস্বস্তি, বমি বা ডায়রিয়া
  7. শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা কমে যাওয়া
  8. লাল বা গা dark ় মুখ ও গা (চামড়ার রঙ পরিবর্তন)
  9. দৃষ্টির অসুবিধা বা মূর্ছা
  10. হৃদস্পন্দন দ্রুত বা ধীর হওয়া
  11. কম স্নায়ু কার্যকলাপ (hypotension)
  12. গা dark ় রঙের রক্ত, কারণ সায়ানাইড রক্তের হিমোগ্লোবিনের সাথে বন্ধন তৈরি করে

সায়ানাইড বিষক্রিয়া হলে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন, কারণ এটি দ্রুত শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার সৃষ্টি করে এবং মৃত্যু ঘটাতে পারে।

প্রশ্ন: সায়ানাইডস বিষক্রিয়ায় মৃতদেহে প্রাপ্ত চিহ্নসমূহ লিখ।

প্রশ্ন: সায়ানাইড বিষক্রিয়ার চিকিৎসা লিখ।

 

কার্ডিয়াক বিষসমূহ (Cardiac poisons)

একোনাইট (Aconite)

প্রশ্ন: বিষ হিসাবে একোনাইটের ব্যবহার লিখ।

প্রশ্ন: একোনাইটের বিষাক্ততার লক্ষণাবলী লিখ।

প্রশ্ন: একোনাইট বিষক্রিয়ায় মৃতদেহে প্রাপ্ত লক্ষণসমূহ লিখ।

প্রশ্ন: একোনাইট বিষাক্ততার চিকিৎসা লিখ।

ডিজিটেলিস (Digitalis)

প্রশ্ন: ডিজিটেলিস কোন প্রকার বিষ? ইহার প্রাণঘাতীমাত্রা ও প্রাণঘাতী সময় কত?

প্রশ্ন:  ডিজিট্যালিস বিষক্রিয়ার ফলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়।

প্রশ্ন:  ডিজিট্যালিস বিষাক্ততার লক্ষণাবলী লিখ।

প্রশ্ন:  ডিজিট্যালিস বিষাক্ততার চিকিৎসা লিখ।

কল্কে ফুল (Yellow oleander)

প্রশ্ন: কল্কে ফুলের প্রাণঘাতী মাত্রা ও প্রাণঘাতী সময় লিখ।

প্রশ্ন: কল্কে ফুল বিষাক্ততার লক্ষণাবলী লিখ।

প্রশ্ন: কল্কে ফুল বিষাক্ততার চিকিৎসা লিখ।

প্রশ্ন: কার্ডিয়াক ও সেরেব্রাল বিষগুলির শ্রেণীবিভাগ কর। ১৭

কার্ডিয়াক বিষ (Cardiac Poisons):

কার্ডিয়াক বিষগুলি মূলত হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে এবং হৃদপিণ্ডের রেট বা স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে হার্টের কার্যক্রমে অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করে। এই বিষগুলির শ্রেণীভেদ হলো:

  1. ইনহিবিটারস (Inhibitors): এই বিষগুলি হৃদস্পন্দনকে ধীর করতে পারে এবং স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে হৃদপিণ্ডের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। উদাহরণ: আর্সেনিক, ক্লোরোফর্ম 

  2. স্টিমুলেন্টস (Stimulants): এই বিষগুলি হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করতে পারে এবং অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণ: কোকেন, অ্যাম্ফিটামিন 

  3. অ্যান্টিহাইপোটেনসিভ (Antihypertensives): উদাহরণ: এই প্রকারের বিষগুলি রক্তচাপ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে অতিরিক্ত মাত্রায় বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। নিট্রেটস, বিটা-ব্লকারস 

সেরেব্রাল বিষ (Cerebral Poisons):

সেরেব্রাল বিষগুলি মূলত মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করে। এর শ্রেণীভেদ হলো:

  1. নিউরোটক্সিনস (Neurotoxins): এই বিষগুলি স্নায়ু কোষের কার্যকলাপকে সরাসরি ব্যাহত করে এবং মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে সংকেত পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।উদাহরণ: সারিন (Sarin), বোতুলিনাম টক্সিন (Botulinum toxin) 

  2. হ্যালুসিনোজেনিক (Hallucinogens): এই বিষগুলি স্নায়ুতন্ত্রে হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি করে এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন কার্যকলাপকে পরিবর্তন করে। উদাহরণ: এলএসডি (LSD), ম্যাশরুম (Psychedelic mushrooms) 

  3. অ্যান্টিকোলিনার্জিক (Anticholinergic) বিষ: এই বিষগুলি স্নায়ুতন্ত্রের অ্যাকিটাইলকোলিন রিসেপ্টরের কার্যকলাপ ব্যাহত করে এবং স্নায়ু সিগন্যালিংয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। উদাহরণ: ধুতুরা, বেলাডোনা 

  4. গ্যাস ও বিষাক্ত পদার্থ: এই বিষগুলি মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ কমিয়ে দেয় এবং স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। উদাহরণ: কার্বন মনোক্সাইড (CO), হাইড্রোজেন সায়ানাইড (Hydrogen cyanide) 

 

 Asphyxiants –

কেরোসিন অয়েল (Kerosine oil)

Asphyxiants হল এমন পদার্থ বা গ্যাস যা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবাহিত হলে অক্সিজেনের অভাব সৃষ্টি করে, যার ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের অভাব (asphyxia) এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। এই বিষগুলি সাধারণত শ্বাসযন্ত্রে প্রবাহিত হয়ে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয় এবং শ্বাসতন্ত্রের অক্ষমতা সৃষ্টি করে, যা মৃত্যু ঘটাতে পারে।

Asphyxiants-এর শ্রেণীভেদ:

  1. Simple Asphyxiants (সরল শ্বাসকষ্টজনক): এই গ্যাসগুলি সাধারণত বাতাসের মধ্যে উপস্থিত থাকে এবং অক্সিজেনের স্তর কমিয়ে দেয়। এই গ্যাসগুলি শ্বাসের জন্য অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, কিন্তু তাদের কোনো নিজস্ব বিষাক্ত প্রভাব নেই। উদাহরণ: নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, আর্গন, হিলিয়াম

  2. Chemical Asphyxiants (রাসায়নিক শ্বাসকষ্টজনক): এই গ্যাসগুলি সরাসরি শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবাহিত হয়ে রক্তে অক্সিজেন পরিবহন ব্যাহত করে। এই গ্যাসগুলি রক্তের হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিজেন পরিবহনে বাধা সৃষ্টি করে, যার ফলে শ্বাসকষ্ট, মস্তিষ্কের ক্ষতি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি হতে পারে। উদাহরণ: কার্বন মনোক্সাইড (CO), হাইড্রোজেন সায়ানাইড (HCN), সালফিউরিক এসিড গ্যাস

প্রশ্ন: কেরোসিন প্রাণঘাতী মাত্রা এবং কেরোসিন প্রাণঘাতী সময় লিখ।

প্রশ্ন: কেরোসিন বিষাক্ততার লক্ষণ ও চিহ্ন লিখ।

প্রশ্ন: কেরোসিন বিষাক্ততার চিকিৎসা লিখ।

প্রশ্ন: কেরোসিন বিষাক্ততার জটিলতা লিখ।

প্রশ্ন: কেরোসিন বিষাক্ততার মেডিকো-লিগাল প্রয়োজনীয়তা লিখ।

প্রশ্ন: তরুণ কেরোসিন বিষক্রিয়ায় মৃতদেহে প্রাপ্ত চিহ্নসমূহ কি কি?

সর্পবিষ (Snake venoms)

প্রশ্ন: সর্প বিষের গঠন বর্ণনা কর।

সর্প বিষের গঠন:

সর্প বিষ একটি জটিল রাসায়নিক মিশ্রণ যা সাপের বিষগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। এর প্রধান উপাদানসমূহ হলো প্রোটিন এবং পেপটাইড, যা বিভিন্ন শারীরিক কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে। সর্প বিষের গঠন সাপের প্রজাতি অনুসারে ভিন্ন হতে পারে।

সর্প বিষের প্রধান উপাদানসমূহ:

  1. এনজাইম (Enzymes): সর্প বিষের প্রধান সক্রিয় উপাদান। এনজাইম শরীরের টিস্যু ধ্বংস করে, রক্তপ্রবাহ পরিবর্তন করে এবং বিষ ছড়াতে সাহায্য করে।

    উদাহরণ:

    • ফসফোলিপেস এ২ (Phospholipase A2): সেল মেমব্রেন ধ্বংস করে।
    • হায়ালুরোনিডেস (Hyaluronidase): টিস্যুতে বিষ ছড়িয়ে দেয়।
    • প্রোটিনাস (Proteases): প্রোটিন ভেঙে রক্তক্ষরণ ও টিস্যু ক্ষতি ঘটায়।
  2. নন-এনজাইমেটিক প্রোটিন (Non-enzymatic Proteins): টক্সিন হিসেবে কাজ করে।

    উদাহরণ:

    • নিউরোটক্সিন (Neurotoxins): স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে।
    • কার্ডিওটক্সিন (Cardiotoxins): হৃদপিণ্ডের কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
    • মায়োটক্সিন (Myotoxins): পেশি কোষ ধ্বংস করে।
  3. পলিপেপটাইড (Polypeptides): পলিপেপটাইড বিষাক্ত প্রভাব সৃষ্টি করে এবং রক্তচাপ ও স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে।

  4. জৈবিক অণু (Bioactive Molecules): শরীরের বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে।

    • উদাহরণ: সার্পেন্টিন (Serpentine), ল্যাকটিন (Lectins)।
  5. ইনঅর্গানিক উপাদান (Inorganic Components): ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান থাকে। টিস্যুর কার্যক্ষমতা ব্যাহত করে।

সর্প বিষের কার্যকারিতা অনুযায়ী প্রকারভেদ:

  1. নিউরোটক্সিক বিষ (Neurotoxic): স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে এবং শ্বাসযন্ত্র পক্ষাঘাত সৃষ্টি করে।

    উদাহরণ: কোবরা, ক্রেট।

  2. হেমোটক্সিক বিষ (Hemotoxic): রক্তপ্রবাহ ও রক্তজমাট বাঁধার ক্ষমতা প্রভাবিত করে।

    • উদাহরণ: ভাইপার।
  3. সাইটোটক্সিক বিষ (Cytotoxic): টিস্যু ধ্বংস করে এবং স্থানীয় সংক্রমণ সৃষ্টি করে।

  4. কার্ডিওটক্সিক বিষ (Cardiotoxic): হৃদপিণ্ডের মাংসপেশিকে দুর্বল করে।

প্রশ্ন: সর্পদংশনে মৃত্যুর কারণ লিখ।

প্রশ্ন: সর্পদংশনে ক্রিয়াগত লক্ষণ লিখ।

প্রশ্ন: বিষধর সর্প দংশনের চিহ্ন কি কি?

প্রশ্ন: সর্প দংশনের প্রাথমিক চিকিৎসা লিখ।

প্রশ্ন: সর্প দংশনের বিষক্রিয়ায় মৃতদেহে প্রাপ্ত চিহ্ন লিখ।

প্রশ্ন: সর্প দংশনের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা লিখ। ০৮, ১০, ১২, ১৪, ১৬

সর্প দংশনের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা:

সর্প দংশন একটি জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতি। এটি দ্রুত সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে সামাল দিতে হয়।

প্রাথমিক ব্যবস্থা:

  1. আক্রান্ত ব্যক্তিকে শান্ত রাখা: আতঙ্ক বা দৌড়ানো রক্তে বিষ ছড়িয়ে পড়ার গতি বাড়ায়।
  2. ক্ষতস্থানের নড়াচড়া সীমিত রাখা: বিষ ছড়ানো কমানোর জন্য আক্রান্ত অঙ্গ স্থির রাখতে হবে।
  3. ক্ষতস্থান পরিষ্কার করা: পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে ক্ষতস্থানের চারপাশ ধুতে হবে। ক্ষতস্থান চুষে বিষ বের করার চেষ্টা করবেন না।
  4. টুর্নিকেট ব্যবহার এড়ানো: রক্ত প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ করলে ক্ষতি হতে পারে।

চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া:

  1. অ্যান্টিভেনম থেরাপি (Antivenom Therapy): সর্পের বিষের ধরণ অনুযায়ী অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা হয়।
  2. সাপের ধরন জানা থাকলে: বিষধর বা বিষহীন সাপ ছিল কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। বিষধর সাপ হলে সাপটির বর্ণনা বা ছবি চিকিৎসককে জানান।

হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা:

  1. জরুরি চিকিৎসা: অক্সিজেন সরবরাহ, শ্বাসযন্ত্রের সহায়তা।
  2. বিষের প্রভাব পর্যবেক্ষণ: রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন, শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়মিত পর্যবেক্ষণ।
  3. ব্যথা এবং প্রদাহের চিকিৎসা: উপযুক্ত পেইনকিলার ও প্রদাহনাশক ওষুধ।
  4. রক্ত পরীক্ষা: রক্তে বিষের মাত্রা, রক্তজমাট বাঁধার ক্ষমতা পরীক্ষা করা।
  5. শরীরে বিষক্রিয়ার লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা: স্নায়ুবিষাক্ত বিষের জন্য শ্বাসযন্ত্রের সহায়তা। রক্তক্ষরণ হলে রক্তজমাট বাঁধার ওষুধ দেওয়া।

পুনর্বাসন: আক্রান্ত অঙ্গের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ফিজিওথেরাপি। সংক্রমণ এড়াতে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক।

সতর্কতা: সর্প দংশনের পর ঘরোয়া চিকিৎসা এড়িয়ে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।

 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

প্রশ্ন: সমন, 16

সমন (Summons) হলো একটি আইনগত নোটিশ বা আদেশ, যা কাউকে আদালতে হাজির হতে বা নির্দিষ্ট কোনো কাজ করতে বাধ্য করার জন্য জারি করা হয়। এটি সাধারণত বিচার বিভাগ বা কোনো প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা হয়।

সমনের বৈশিষ্ট্য:

  1. এটি একটি লিখিত নোটিশ।
  2. নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির হতে বলা হয়।
  3. সমনের মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ বা বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়।

প্রশ্ন: জেরা, ২০

আদালতে সাক্ষীর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আইনজীবীর প্রশ্নোত্তর প্রক্রিয়া।

প্রশ্ন: এন্টিডোট,

এটি একটি পদার্থ যা বিষের প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। যখন কোনো বিষক্রিয়া হয়, তখন এন্টিডোট সেই বিষের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে বা প্রতিহত করে। এন্টিডোট বিষের প্রকার অনুযায়ী বিভিন্ন হতে পারে।

প্রশ্ন: মৃত্যুকালীন বিবৃতি, ২০

মৃত্যুর আগে দেওয়া এমন বিবৃতি, যা মৃত্যুর কারণ বা সংশ্লিষ্ট ঘটনার ওপর আলোকপাত করে এবং আদালতে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য।

প্রশ্ন: রাইগর মর্টিস,

মৃত্যুর পর পেশির সংকোচনের ফলে দেহ কঠিন হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে রাইগর মর্টিস বলে। এটি সাধারণত মৃত্যুর ২-৬ ঘণ্টার মধ্যে শুরু হয় এবং ২৪-৪৮ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়ে যায়।

প্রশ্ন: সাক্ষী কাকে বলে?

যে ব্যক্তি কোনো ঘটনা বা অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় স্বচক্ষে দেখেছে, শুনেছে বা জানে এবং আদালতে তা সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করে।

প্রশ্ন: ময়না তদন্ত, ২০

মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করতে এবং মৃত্যুর পেছনে কোন অপরাধমূলক কাজ রয়েছে কিনা তা যাচাই করার জন্য মৃতদেহের বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা করা। এটি সাধারণত একজন চিকিৎসক বা ফরেনসিক প্যাথোলজিস্ট দ্বারা করা হয়।

প্রশ্ন: মেডিকেল সনদপত্র বা, মেডিকেল সার্টিফিকেট, ১৯ বা, মেডিকেল সার্টিফিকেট বলতে কি বুঝ? ১৩, ১৫, 

এটি একটি লিখিত দলিল, যা একজন চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী প্রদান করেন এবং এতে রোগী বা ব্যক্তির শারীরিক বা মানসিক অবস্থার তথ্য থাকে। এটি সাধারণত রোগের নাম, চিকিৎসা, বিশ্রাম বা কাজ করার ক্ষমতা সম্পর্কিত তথ্যসহ তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন কাজের জন্য যেমন, অসুস্থতার জন্য ছুটি, দুর্ঘটনা, বা চাকরি সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন: গ্রিভিয়াস আঘাত ১৫ বা, গুরুতর আঘাত ০৯,

এটি এমন একটি গুরুতর শারীরিক আঘাত, যা মানুষের জীবন, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বা শরীরের কার্যক্ষমতার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এই ধরনের আঘাতের ফলে শারীরিক অক্ষমতা, দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি বা মৃত্যু হতে পারে। গ্রিভিয়াস আঘাতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

  1. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন হওয়া।
  2. গম্ভীরভাবে কাটা বা ছিঁড়ে যাওয়া।
  3. চোখ বা শ্রবণ ক্ষমতা হারানো।
  4. মস্তিষ্ক বা মেরুদণ্ডের ক্ষতি।
  5. গুরুতর রোগ সংক্রমণ বা স্নায়ু বা হাড়ে গুরুতর আঘাত।

প্রশ্ন: সোডমী। ২১

সোডমী (Sodomy): এটি একটি যৌন কার্যকলাপের রেফারেন্স, যেখানে সাধারণত অস্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক নয় এমন যৌন সম্পর্ক ঘটে। সাধারণভাবে, এটি পুরুষ বা মহিলা মধ্যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাথে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, এবং এটি অনেক দেশের আইন অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। সোডমী সাধারণত পশুদের সাথে বা সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যে ঘটতে পারে, এবং অনেক সংস্কৃতিতে এটি সামাজিকভাবে এবং আইনি দৃষ্টিতে নিন্দিত।

প্রশ্ন: বার্ন / অগ্নিদগ্ধ

বার্ন / অগ্নিদগ্ধ (Burn / Fire Injury):
এটি এমন একটি শারীরিক আঘাত, যা তাপ, আগুন, রশ্মি, বা রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে ত্বক বা অন্যান্য শারীরিক টিস্যুর ক্ষত সৃষ্টি হয়। বার্নের বিভিন্ন প্রকার এবং মাত্রা হতে পারে:

  1. প্রথম ডিগ্রি বার্ন (First-degree burn):
    শুধু ত্বকের উপরের স্তর (এপিডার্মিস) ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বক লাল হয়ে যায়, কিছুটা ব্যথা অনুভূত হয়, এবং সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।

  2. দ্বিতীয় ডিগ্রি বার্ন (Second-degree burn):
    ত্বকের গভীর স্তরের (ডার্মিস) ক্ষতি হয়। ত্বকে ফুসকুড়ি বা পাম্পাল দেখা দেয়, প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে এবং চিকিৎসা প্রয়োজন।

  3. তৃতীয় ডিগ্রি বার্ন (Third-degree burn):
    ত্বকের সব স্তর (এপিডার্মিস, ডার্মিস এবং হাইপোডার্মিস) ধ্বংস হয়ে যায়। ত্বক সাদা, কালো বা পুড়ে গিয়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এতে প্রায়শই ব্যথা অনুভূত হয় না, কারণ স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি গুরুতর এবং দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন।

প্রশ্ন: প্রথম শ্রেণীর মেজিস্ট্রেটের শাস্তিদানের ক্ষমতা কতটুকু? ১৩

প্রথম শ্রেণীর মেজিস্ট্রেটের শাস্তিদানের ক্ষমতা অনুযায়ী, তিনি সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড বা বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় শাস্তি দিতে পারেন। তবে, শাস্তির ধরন এবং পরিমাণ অপরাধের ধরনের ওপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন: বয়ঃসন্ধিকাল কত বছর থেকে কত বছর পর্যন্ত? ১৩

বয়ঃসন্ধিকাল সাধারণত ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে। এই সময়ের মধ্যে শারীরিক, মানসিক এবং যৌন বিকাশ ঘটে, এবং এটি ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক পরিপক্বতার দিকে একটি উত্তরণকাল। তবে, এটি পুরুষ ও মহিলার জন্য আলাদা হতে পারে এবং কিছুটা পার্থক্য দেখা দিতে পারে।

প্রশ্ন: ভ্রুণ হত্যা বলতে কি বুঝ?

ভ্রুণ হত্যা বলতে বোঝায় গর্ভে থাকা ভ্রূণের প্রাণনাশ বা মৃত্যুর ঘটনা। এটি সাধারণত গর্ভধারণের পরবর্তী সময়ে কৃত্রিমভাবে (যেমন, গর্ভপাত বা অ্যাবর্শন) অথবা প্রাকৃতিকভাবে (যেমন, মিসক্যারেজ) ঘটতে পারে। আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে, কিছু দেশে এটি নির্দিষ্ট শর্তে বৈধ হতে পারে, যেমন মায়ের জীবন বাঁচানোর জন্য বা গর্ভস্থ শিশুর গুরুতর অক্ষমতার ক্ষেত্রে, তবে অনেক দেশে এটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রশ্ন: ডি.ডি.টি ০৮, ১৬।

ডি.ডি.টি (DDT) হল একটি রাসায়নিক পেস্টিসাইড, যা ডাইক্লোরোডাইফেনাইলট্রাইক্লোরেথেন নামে পরিচিত। এটি ১৯৪০-এর দশকে আবিষ্কৃত হয় এবং কৃষিক্ষেত্রে পোকামাকড় নির্মূল করতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত। তবে, এর দীর্ঘস্থায়ী পরিবেশগত প্রভাব এবং মানবস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে বর্তমানে অনেক দেশে এটি ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

প্রশ্ন: ঝলসানো ০৮

ঝলসানো হলো তাপ, বাষ্প বা গরম তরল দ্বারা ত্বক বা শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া। এটি সাধারণত গরম পানি, বাষ্প, তেল বা অন্য কোনো তাপীয় পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে ঘটে। ঝলসানো প্রথম শ্রেণীর বার্ন (এপিডার্মিসের ক্ষতি) থেকে তৃতীয় শ্রেণীর বার্ন (তীব্র ক্ষতি) পর্যন্ত হতে পারে, যার জন্য চিকিৎসা ও সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন।

প্রশ্ন: কার্ডিয়াক বিষ ১৫,

এগুলি এমন ধরনের বিষ যা হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে, এবং হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত করে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। কার্ডিয়াক বিষের প্রভাব সাধারণত হৃদস্পন্দনকে অস্বাভাবিক করে ফেলে, যেমন দ্রুত বা ধীর হৃদস্পন্দন, রক্তচাপের পরিবর্তন এবং হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিক কার্যক্রম সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন: সাপের বিষ ০৯

সাপের বিষ একটি রাসায়নিক পদার্থ যা সাপ নিজের শিকার ধরার জন্য বা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে নিঃসরণ করে। সাপের বিষ সাধারণত শিকারকে প্যারালাইজ বা হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হয়, এবং এটি মানুষের জন্যও বিপজ্জনক হতে পারে। সাপের বিষের প্রকারভেদ, তার গঠন এবং প্রভাব নির্ভর করে সাপের প্রজাতির ওপর।

সাপের বিষের শ্রেণীবিভাগ:

  1. হেমোটক্সিন (Hemotoxin): এই বিষ রক্ত এবং শিরার ক্ষতি করে, রক্ত জমাট বাঁধা বন্ধ করে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে অরোগ্য রক্তক্ষরণ ঘটাতে পারে। উদাহরণ: কবর সাপ, কোবরার বিষ।

  2. নিউরোটক্সিন (Neurotoxin): এই বিষ স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে, পেশী প্যারালাইসিস সৃষ্টি করতে পারে এবং শ্বাসযন্ত্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। উদাহরণ: কিং কোবরা, করাল সাপ।

  3. সাইটোটক্সিন (Cytotoxin): এটি কোষের ক্ষতি করে এবং স্থানীয় ক্ষতি যেমন পঁচন সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণ: কোবরা সাপের বিষ।

  4. প্রোটিওলাইটিক (Proteolytic): এটি টিস্যুগুলির প্রোটিন ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে এবং স্থানীয় ক্ষতি ঘটায়।

প্রশ্ন: সনাক্তকরণ (Identification) ২০, ২১

সনাক্তকরণ একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি, বস্তু, বা ঘটনা শনাক্ত বা চিহ্নিত করা হয়। এটি সাধারণত বৈজ্ঞানিক, আইনি বা চিকিৎসাগত প্রেক্ষাপটে ব্যবহার হয়। সনাক্তকরণের উদ্দেশ্য হলো তথ্য বা প্রমাণ সংগ্রহ করে একজন ব্যক্তি বা কোনো ঘটনাকে ঠিকভাবে চিহ্নিত করা।

প্রশ্ন: মমিফিকেশন ১৭

মমিফিকেশন হলো একটি প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে মৃত দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করা হয় যাতে এটি পচন বা ক্ষয় থেকে রক্ষা পায়। এটি সাধারণত শুষ্ক বা ঠান্ডা পরিবেশে ঘটে, যেখানে মৃতদেহের পানির পরিমাণ কমে যায় এবং মাইক্রোবিয়াল কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।

প্রশ্ন: আর্সেনিক বিষ। ১৮

আর্সেনিক একটি অত্যন্ত বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান, যা সাধারণত সাদা বা ধূসর পাউডারের মতো দেখতে হয়। এটি এক ধরণের হেমোটক্সিক বিষ, যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, বিশেষ করে হৃৎপিণ্ড, স্নায়ুতন্ত্র এবং পেটের বিভিন্ন অংশে।

প্রশ্ন: জুরী কাকে বলে?

জুরী হলো এমন একটি গ্রুপ বা কমিটি, যা আদালতে বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির দোষ বা নির্দোষ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য একটি নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত প্রদান করে। জুরী সদস্যদের নির্বাচন করা হয়, এবং তারা মামলার সাক্ষ্য এবং প্রমাণাদি শুনে বিচারককে তাদের মতামত প্রদান করে।

জুরী সদস্যরা সাধারণত সাধারণ নাগরিকদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হন এবং তারা আইনগত পদ্ধতি অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেন।

প্রশ্ন: বন্ধ্যাত্ব, ২১

বন্ধ্যাত্ব হলো এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যেখানে একজন ব্যক্তি (পুরুষ বা মহিলা) স্বাভাবিক উপায়ে সন্তান ধারণ করতে অক্ষম। এটি বিভিন্ন কারণের কারণে হতে পারে এবং এর মধ্যে শারীরিক, জেনেটিক, অথবা পরিবেশগত সমস্যা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

Disclaimer:
This blog post is for study purposes only. It is not a substitute for professional medical advice. Please consult a healthcare professional for personalized guidance and treatment. Self-medication is strongly discouraged.

Scroll to Top